AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘Swiss Killer’ Watch: ঘড়ি শিল্পে বিপ্লব আনার স্বপ্ন Tata-র ‘Titan’-এর, বাস্তব হওয়া কি সময়ের অপেক্ষা?

Titan, Mechanical Watch: মাত্র ৬ বছর আগেও টাইটান বছরে ১ কোটি ৫০ লক্ষ সাধারণ কোয়ার্টজ ঘড়ি তৈরি করত। কিন্তু বর্তমানে তারা প্রিমিয়াম ঘড়ি তৈরির দিকে মন দিয়েছে। সম্প্রতি টাইটান নেবুলা জালসা নামের একটি ঘড়ি বাজারে নিয়ে এসেছে।

'Swiss Killer' Watch: ঘড়ি শিল্পে বিপ্লব আনার স্বপ্ন Tata-র ‘Titan’-এর, বাস্তব হওয়া কি সময়ের অপেক্ষা?
| Updated on: Oct 04, 2025 | 7:45 PM
Share

ভারতে চলছে এক নীরব বিপ্লব। ঘড়ি নিয়ে। কেন বললাম? কারণ, টাটা গ্রুপের অধীনস্থ সংস্থা টাইটান চাইছে প্রিমিয়াম লাক্সারি ঘড়ির বাজারে নিজেদের তুলে ধরতে। আর সেই স্বপ্নকে সার্থক করতে বেঙ্গালুরুর সিলিকন ভ্যালিতে নীরবে কাজ করে চলেছে টাটা গোষ্ঠীর অধীনস্থ এই সংস্থা।

টাটা গ্রুপের ১৫ লক্ষ ৯৮ হাজার কোটি টাকা বা ১৮ হাজার কোটি ডলার ব্যবসার বিরাট একটা অংশ আসে টাইটানের হাত ধরেই। টাইটানের অধীনে সোনাটা, ফাসট্র্যাক বা তানিস্কের মতো সংস্থা রয়েছে। আর এবার টাটা চাইছে ভারতকে বিলাসবহুল যান্ত্রিক ঘড়ির মানচিত্রে তুলে ধরতে। টাইটানের লক্ষ্য নতুন এই ঘড়ির পিছনে যেন থাকে ইঞ্জিনিয়ারিং দক্ষতা, ভারতীয় কারুকার্য ও সমস্ত বিষয়টার সঠিক মূল্য।

মাত্র ৬ বছর আগেও টাইটান বছরে ১ কোটি ৫০ লক্ষ সাধারণ কোয়ার্টজ ঘড়ি তৈরি করত। কিন্তু বর্তমানে তারা প্রিমিয়াম ঘড়ি তৈরির দিকে মন দিয়েছে। সম্প্রতি টাইটান নেবুলা জালসা নামের একটি ঘড়ি বাজারে নিয়ে এসেছে। যার দাম ৪৬ হাজার ডলার। যা ভারতীয় মুদ্রায় ৪১ লক্ষ টাকার প্রায় সমান। আর এই ঘড়ির মধ্যে রয়েছে ইন-হাউস ট্যুরবিলন মুভমেন্ট।

‘ভারতের বাইরে ভারতীয় গয়নার বাজার রয়েছে। কিন্তু ভারতীয় ঘড়ির বাজার নেই’, বলছেন টাইটানের ম্যানেজিং ডিরেক্টর। তবুও টাইটান এখন মাসে ১১ হাজারের আশেপাশে যান্ত্রিক ঘড়ি তৈরি করে। তাদের লক্ষ্য আন্তর্জাতিক বাজারে ২ হাজার ৫০০ ডলার থেকে ৬ হাজার দামের ঘড়ির বাজার ধরা।

এখানে চ্যালেঞ্জও কম নয়। বর্তমানে টাইটানের এই মেকানিক্যাল ঘড়ি নির্ভুল নয়। সুইস টাইম পিসে -৪ থেকে +৬ সেকেন্ড পর্যন্ত সময়ের গোলমাল হয়। সেখানে টাইটানে হয় -১০ থেকে +৩০ সেকেন্ড পর্যন্ত। যদিও টাইটান বলছে, সাধারণ মানুষ এই ‘সুইস লেবেল’-এর দিকে না তাকিয়ে পণ্যের মানের দিকে লক্ষ্য রাখছেন। ফলে, এই ঘড়ির গুণগত মান বাড়াতে ফিনিশিং ওয়ার্কশপ তৈরি করছে। ফলে, আগামী দিনে আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য বনাম মানের এই লড়াইয়ে ভারত তার ছাপ রাখতে পারে।