Tejas Mark 2 Engine: আমেরিকা নয়, তেজসের ইঞ্জিনের জন্য কি ফ্রান্সের উপর নির্ভর করতে চলেছে ভারত?
Tejas Mark 2, Safran Or GE: সীমান্তে পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষের পর পর প্রতিরক্ষা শক্তি দ্রুত বাড়াতে বদ্ধপরিকর কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই অবসর নিয়েছে মিগ। ব্রিটিশ জাগুয়ার ও ফরাসি মিরাজ-২০০০-এর মতো পুরোনো যুদ্ধবিমানগুলোও কয়েক বছরের মধ্যে হয়তো অবসরে যাবে।

ভারতের অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান তেজস মার্ক-২-এর ইঞ্জিন নিয়ে নতুন জল্পনা। আমেরিকার জিই এফ ৪১৪ ইঞ্জিন প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে ভারতে তৈরির আলোচনা ধীর গতিতে চলায়, ভারত হয়তো এবার ফ্রান্সের স্যাফরন সংস্থার ইঞ্জিনের দিকে ঝুঁকছে। হ্যালের এক কর্মকর্তা এই বিষয়ে জানাচ্ছেন, প্যারিসের সঙ্গে ইঞ্জিন নিয়ে আলোচনা চলছে।
রাশিয়ার উপর নির্ভরতা কমাতে ইঞ্জিন নিয়ে আমেরিকান সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করেছিল হ্যাল। কিন্তু সেই আলোচনার গতি খুব বেশি না হওয়ায় ভারতের সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে যত ইঞ্জিন দরকার, সেই প্রয়োজন মিটছে না।
সীমান্তে পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষের পর পর প্রতিরক্ষা শক্তি দ্রুত বাড়াতে বদ্ধপরিকর কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই অবসর নিয়েছে মিগ। ব্রিটিশ জাগুয়ার ও ফরাসি মিরাজ-২০০০-এর মতো পুরোনো যুদ্ধবিমানগুলোও কয়েক বছরের মধ্যে হয়তো অবসরে যাবে। আর সেই কারণেই ভারত প্রায় ২০০টি তেজস মার্ক-২ জেট তৈরি করতে চাইছে।
স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (SIPRI) তথ্য অনুযায়ী, ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অস্ত্র আমদানিকারক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই ছবি বদলাতে দেশীয় সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদনে জোর দিচ্ছেন।
এদিকে, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৫০ শতাংশ শুল্কের কারণেও ভারত-আমেরিকার সম্পর্কেও টানাপোড়েন চলছে। এই কূটনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও অবশ্য সামরিক যোগাযোগ ধরে রাখার চেষ্টা করছে উভয়পক্ষই। সম্প্রতি বোয়িং কোম্পানি-র কাছ থেকে ৪ বিলিয়ন ডলারের নজরদারি বিমান কেনার আলোচনা হয়েছে। তবে তেজস মার্ক-২-এর ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে ইঞ্জিনের দ্রুত সিদ্ধান্তের ওপর।
