Indian Stock Market: মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা, শুরুতে সামান্য টলমল করলেও ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ভারতের বাজার!
Iran-Israel Conflict: ২৩ তারিখ বাজার খুলতেই মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার প্রভাব দেখা গেল। হুড়মুড়িয়ে পড়ল ভারতের শেয়ার বাজার।

ভারতীয় সময় রবিবার ভোর রাতে ইরানে বোমাবর্ষণ করে আমেরিকান বোমারু বিমান বি-২। আর বিশ্ব অর্থনীতিতে তার কী প্রভাব হবে, সেটা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত ছিল বিশ্বই। আর ২৩ তারিখ বাজার খুলতেই মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার প্রভাব দেখা গেল।
২৩ জুন, সোমবার বাজার খুলতেই ভারতের দুই বেঞ্চমার্ক সূচক নিফটি ৫০ ও সেনসেক্স পড়ে যায় ০.৯ শতাংশের আশেপাশে। দিনের শুরুতেই ২২৫ পয়েন্ট পড়ে নিফটি ৫০ দাঁড়ায় ২৪,৮৫৩ পয়েন্টে। অন্যদিকে, সেনসেক্স পড়ে যায় ৭৫৬ পয়েন্ট। দিনের শুরুতেই সেনসেক্স দাঁড়ায় ৮১,৫৬৭ পয়েন্টে।
বাজার খোলার সঙ্গে সঙ্গে ভারতের বাজার পড়লেও ১০.০৫ বাজার পর থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে ভারতের বাজার। তারপর থেকে ধীরে ধীরে ঊর্ধ্বমূখী হয়েছে দিও বেঞ্চমার্ক সূচক।
২২ জুন TV9 বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শেয়ার বাজার বিশেষজ্ঞ ও চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট সিদ্ধার্থ চট্টোপাধ্যায় বলে ছিলেন, “সোমবার বাজার খুললে হঠাৎ একটা পতন দেখা যেতে পারে সূচকে। যদিও সেই পতনের মুডে বাজার কতদিন থাকবে সেটা বলা মুশকিল। বাজার কিন্তু এখন আপট্রেন্ড। অর্থাৎ বাজার ঊর্ধ্বমূখী। তার মানে বাজার যে খারাপ হতে পারে না, এমনটা নয়। তবে, বাজার যে জায়গায় শুক্রবার বন্ধ হয়েছে সোমবার বাজার খোলার পর সেই জায়গাটা পার করে আরও একটু উঠলে বলা যাবে বাজার উপরের দিকে যাবে।”
ভারত ইলেকট্রনিক্স, ট্রেন্ট, আইআরএফসি, আদানি পাওয়ারের মতো একাধিক শেয়ারের দাম বাজার খোলার পর থেকেই ধীরে ধীরে বেড়েছে। ফলে ভারতের বাজারে মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনার প্রভাব সামান্য পড়লেও বাজার আবার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। ফলে আগামীতে কী হবে সেদিকেই তাকিয়ে বিশেষজ্ঞ মহল।
কোথাও বিনিয়োগ করতে চাইলে সেই বিষয়ে যথাযথ তথ্যানুসন্ধান ও বিশ্লেষণ করুন। এই লেখা শুধুমাত্র শিক্ষাগত উদ্দেশ্যে। TV9 বাংলা বিনিয়োগের কোনও উপদেশ দেয় না।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: যে কোনও বিনিয়োগে বাজারগত ঝুঁকি রয়েছে। ফলে, আগে বিনিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত নথি সাবধানে পড়ে নেবেন। তারপর বিনিয়োগ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।





