AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Intel-কে বাঁচাতে এবার আসরে NVidia? চুক্তি স্বাক্ষর হল দুই চিপ জায়ান্টের!

Intel Vs NVidia: কিন্তু এক সময় যে সংস্থা ইন্টেলের কাছে নিজেদের বিক্রি করতে চেয়েছিল, তারাই আজ ইন্টেলকে বাঁচাতে ৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে। ইন্টেলের সঙ্গে এনভিডিয়ার এই চুক্তিটি আসলে ইন্টেলের জন্য একপ্রকার লাইফলাইন।

Intel-কে বাঁচাতে এবার আসরে NVidia? চুক্তি স্বাক্ষর হল দুই চিপ জায়ান্টের!
Image Credit: VCG/VCG via Getty Images
| Updated on: Sep 21, 2025 | 6:18 PM
Share

ইন্টেল আর এনভিডিয়া। আজকের এআই আর তথ্য-প্রযুক্তির যুগে এই দুই সংস্থাকে বাদ দিয়ে কিছু ভাবা একপ্রকার অসম্ভব। কারণ, ইন্টেল যেমন কম্পিউটারের সিপিইউ বা সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট তৈরি করে তেমনই এনভিডিয়া তৈরি করে জিপিইউ বা গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট। একটা সময় ছিল যখন কম্পিউটারের সব গ্রাফিক্যাল কাজই করে ফেলত প্রসেসর। আর সেখানেই ছিল ইন্টেলের মনোপলি। পরবর্তীতে যখন গ্রাফিক্সের উন্নতি হয়, তখন বাজারে আসে জিপিইউ। আর আজকের দিনে জিপিইউ ছাড়া কোনও কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ভাবাই অসম্ভব।

কিন্তু ২০০৫ সালে যখন আজকের এনভিডিয়া বাজারে তাদের নতুন চিপ নিয়ে খানিকটা স্ট্রাগল করছে, সেই সময় ইন্টেলের কাছে তারা প্রস্তাব নিয়ে গিয়েছিল এনভিডিয়াকে কিনে নেওয়ার। কিন্তু সেই সময় চিপ তৈরিতে ১ নম্বরে থাকা ইন্টেল এনভিডিয়ার সেই প্রস্তাব বাতিল করে দেয়। পরবর্তীতে এনভিডিয়া একাধিক সমস্যাকে কাটিয়ে আজ বিশ্বের অন্যতম বড় চিপ সংস্থা। আর বিশ্বের তাবড় তাবড় সংস্থা যারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করছে তারা এনভিডিয়ার চিপই ব্যবহার করে। আজ এনভিডিয়ার মার্কেট ক্যাপ ৪ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি।

কিন্তু এক সময় যে সংস্থা ইন্টেলের কাছে নিজেদের বিক্রি করতে চেয়েছিল, তারাই আজ ইন্টেলকে বাঁচাতে ৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে। ইন্টেলের সঙ্গে এনভিডিয়ার এই চুক্তিটি আসলে ইন্টেলের জন্য একপ্রকার লাইফলাইন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে প্রবল চাপের মুখের পড়ে একটি কৌশোলগত অংশীদারিত্বে এসেছে ইন্টেল। জানা গিয়েছে নতুন এই চুক্তি অনুযায়ী ইন্টেল তাদের পিসির চিপে এনভিডিয়ার শক্তিশালী গ্রাফিক্স প্রযুক্তি ব্যবহার করবে। পরিবর্তে, ইন্টেল এনভিডিয়ার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সিস্টেমের জন্য বিশেষ প্রসেসর তৈরি করবে। এটি শুধুমাত্র পারস্পরিক সহযোগিতা নয়, এটি একপ্রকার এনভিডিয়ার জয়গাথা রচনা করে।

এক সময়ের অপ্রতিরোধ্য ইন্টেলের বাজারমূল্য আজ ১০০ বিলিয়ন ডলারের চেয়ে কম। অন্যদিকে, এনভিডিয়ার শুধুমাত্র ডেটা সেন্টার বিভাগটিই বাজারমূল্য ও রেভেনিউয়ের বিচারে অনেক বড় বড় চিপ কোম্পানিকে ছাড়িয়ে গেছে। এন্টেল যখন সাধারণ প্রসেসর তৈরিতে আটকে ছিল, তখনই এনভিডিয়া আগামীর প্রযুক্তি অর্থাৎ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিপ্লব আসবে অনুমান করে নিয়ে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ করেছিল।

ইন্টেলের সিইও একপ্রকার খোলাখুলি স্বীকার করে নিয়েছেন যে, ইন্টেল খুব তাড়াতাড়ি এমন দিন আসতে পারে যখন তারা এনভিডিয়ার হাই-এন্ড এআই সিস্টেমের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে না। আর সেই কারণেই বলা যায় ইন্টেল আর এনভিডিয়ার এই যুক্তি শুধুমাত্র অর্থের জন্য নয়। এই চুক্তি আসলে যেমন ইন্টেলের কাছে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার একটা প্রচেষ্টা।