Karnataka Election 2023: কর্নাটকে দারুণ জয়, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সরকার গড়তে পারবে তো কংগ্রেস?
Karnataka Election 2023: কর্নাটকে সরকার গঠন নিশ্চিত হওয়ার পরও, পুরোপুরি নিশ্চিন্ত হতে পারছে না কংগ্রেস। আসলে অতীতে একের পর এক রাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েও হয় সরকার গঠনে ব্যর্থ হয়েছে, অথবা সরকার গঠনের পরও তা ধরে রাখতে পারেনি কংগ্রেস।

বেঙ্গালুরু: কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচন ২০২৩-এর সম্পূর্ণ ফল এখনও প্রকাশিত হয়নি। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কংগ্রেস ১৩১ আসনে জয়ী হয়েছে এবং আরও ৫টিতে এগিয়ে আছে। অন্যদিকে, বিজেপি আটকে গিয়েছে ৬০-এর ঘরেই। এখনও পর্যন্ত জয়ী ৬০ আসনে, এগিয়ে ৫ আসনে। অন্যদিকে জেডি (এস) জিতেছে মাত্র ১৯টি আসন। ২২৪ আসনের বিধানসভায় সরকার গঠনের ম্যাজিক ফিগার ১১৩। অর্থাৎ, রাজ্যের জনগণ স্পষ্ট মত দিয়েছেন কংগ্রেসের পক্ষে। সরকার গঠন নিশ্চিত হওয়ার পরও, পুরোপুরি নিশ্চিন্ত হতে পারছে না কংগ্রেস। ঘোড়া কেনাবেচায় লাগাম লাগাতে ইতিমধ্যেই জয়ী বিধায়কদের অন্য রাজ্যে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে। শোনা যাচ্ছে তাঁদের তামিলনাড়ুতে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। আসলে অতীতে একের পর এক রাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েও হয় সরকার গঠনে ব্যর্থ হয়েছে, অথবা সরকার গঠনের পরও তা ধরে রাখতে পারেনি কংগ্রেস। অরুণাচল প্রদেশ, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, মণিপুর, গোয়া – একের পর এক নির্বাচনে এই ব্যর্থতার স্বাদ পেয়েছে কংগ্রেস –
অরুণাচল প্রদেশ – ২০১৪ সালের অরুণাচল প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে বড় জয় পেয়েছিল কংগ্রেস। ৬০ আসনের বিধানসভায় ৪২ আসনে গিয়েছিল ‘হাতে’র মুঠোয়। বিজেপির ঘরে গিয়েছিল মাত্র ১১টি আসন। প্রথমে নবাম টুকি এবং পরে পেমা খান্দুকে মুখ্যমন্ত্রী করেছিল কংগ্রেস। কিন্তু, মাত্র ২ বছর টিকেছিল সেই সরকার। ২০১৬-র জুলাইয়ে ৪০ কংগ্রেস বিধায়ক নিয়ে কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে এসে প্রথমে পিপলস পার্টি অব অরুণাচল এবং পরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন পেমা।
কর্নাটক – ২০১৯ সালের কর্নাটক নির্বাচনে সবথেকে বড় দল হয়েছিল বিজেপি। বিএস ইয়েদুরাপ্পা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথও গ্রহণ করেছিলেন। পরে কংগ্রেসের ৮০ বিধায়ক এবং জেডি (এস)-এর ৩৭ বিধায়ক জোট সরকার গঠন করেছিল। এক বছর যেতে না যেতেই শাসক জোটের ১৬ বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। ফলে এইচডি কুমারস্বামী সরকারের পতন ঘটেছিল এবং ফের সরকার গঠন করেছিলেন ইয়েদুরাপ্পা।
মধ্যপ্রদেশ – মধ্যপ্রদেশ হল তৃতীয় রাজ্য, যেখানে সরকার গঠন করেও ক্ষমতা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছিল কংগ্রেস। ২০১৮ সালে ১২১ আসনে জিতে সরকার গঠন করেছিল কংগ্রেস। কিন্তু, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া-সহ কংগ্রেসের ২৬ জন বিধায়ক কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। উপনির্বাচনে ওই ২৬ আসনের মধ্যে ১৯টিতে জয় পেয়েছিল বিজেপি। সরকার গঠন করেন শিবরাজ পাতিল।
মণিপুর – ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৬০ আসনের মণিপুর বিধানসভায় ২৭ আসনে জয়ী হয়েছিল কংগ্রেস। বিজেপি জয়ী হয়েছিল ২১টি আসনে। তারপরও, সরকার গঠন করতে ব্যর্থ হয়েছিল কংগ্রেস। কম আসনে জয় পাওয়া সত্ত্বেও বিজেপিকে সরকার গঠন করতে আহ্বান জানান রাজ্যপাল। পরে, ৯ কংগ্রেস বিধায়ক দল বদল করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। বিরোধী আসনে বসেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় কংগ্রেসকে।
গোয়া – গোয়ার কাহিনিও মণিপুরের মতোই। একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হয়েও সরকার গঠন করতে পারেনি হাত শিবির। ২০১৭ সালে নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা পূর্বাভাস দিয়েছিলেন যে, ক্ষমতা ধরে রাখবে কংগ্রেস। ৪০ আসনের বিধানসভায় ১৭ আসনে জিতেছিল কংগ্রেস। বিজেপি জিতেছিল ১৩টি আসন। তারপরও, একজন কংগ্রেস বিধায়ক এবং অন্যান্য দলের আরও ১০ জন বিধায়কের সমর্থনে সরকার গঠন করেছিল বিজেপি।





