BJP-তে যোগ দেওয়ার পথে হাইজ্যাক সাংসদ! তুলে নিয়ে গেল পুরোনো দল
Lok Sabha lections 2024: বুধবার (১৩ মার্চ), এক আশ্চর্য দৃশ্যের সাক্ষী হল তেলঙ্গানা। লোকসভা ভোটের আগে, রোজই ঘটছে দলবদল। একদল দল ছেড়ে নেতারা যাচ্ছেন আরেক দলে। সেই দলে নাম লেখাতে চেয়েছিলেন অরুরি রমেশও। কিন্তু তারপর যা ঘটল, তা তিনি কল্পনাও করতে পারেননি।
হায়দরাবাদ: প্রাক্তন বিধায়ককে নিয়ে বিজেপি এবং ভারত রাষ্ট্র সমিতি বা বিআরএস-এর তীব্র টানাটানি। একেবারে আক্ষরিক অর্থে। যার জেরে জামা ছিঁড়ে গেল বিধায়কের। দুই দলই চায় আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে প্রার্থী করতে। বুধবার (১৩ মার্চ), এক আশ্চর্য দৃশ্যের সাক্ষী হল তেলঙ্গানা। লোকসভা ভোটের আগে, রোজই ঘটছে দলবদল। একদল দল ছেড়ে নেতারা যাচ্ছেন আরেক দলে। সেই দলে নাম লেখাতে চেয়েছিলেন অরুরি রমেশও। মঙ্গলবার, তেলঙ্গানার বিজেপি প্রধান জি কিশান রেড্ডির সঙ্গে দেখা করেছিলেন কেসিআর-এর দল, বিআরএস-এর এই প্রাক্তন বিধায়ক। বুধ সন্ধাতেই বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর।
এদিন সকালে দলবদলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করার জন্য এক সাংবাদিক সম্মেলন ডেকেছিলেন রমেশ। কিন্তু সেই সম্মেলন শুরুর আগেই প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী ইরাবেলি দায়কারের নেতৃত্বে তাঁর বাড়িতে হানা দেন বিআরএস নেতারা। রমেশকে তাঁরা বিজেপিতে যোগ না দেওয়ার জন্য বোঝানোর চেষ্টা করেন। বিআরএস নেতা হরিশ রাও তাঁর সহপাঠী, তাঁর সঙ্গেও কথা বলানো হয়। তারপর তাঁরা মিস্টার রমেশকে জোর করে গাড়িতে তুলে হায়দরাবাদে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সেখানে হরিশ রাও, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও-সহ পদস্থ বিআরএস নেতারা তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু, যাওয়ার পথে ফের আরেক প্রস্থ নাটক হয়।
Watch: High drama ensued after former BRS MLA Aroori Ramesh hinted joining the BJP. Former minister Errabelli Dayakar Rao arrived to convince Aroori Ramesh and began taking him to Hyderabad. Upon learning about this, BJP workers intercepted the car on the way and forcibly removed… pic.twitter.com/8zZtebNtoE
— IANS (@ians_india) March 13, 2024
বিজেপি সমর্থকরা খবর পেয়ে মাঝরাস্তাতেই গাড়িটি আটকান। ঘটনাস্থলের ছবি ও ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, বিজেপি সমর্থকরা রমেশকে গাড়ি থেকে টেনে বের করছেন। ইরাবেলি দয়াকর গাড়িটির সামনের সিটে বসে ছিলেন। গাড়িটিকে বিজেপি সমর্থকরা বাধা দেয় এবং হায়দ্রাবাদের দিকে যেতে বাধা দেয়। বিজেপি সমর্থকরা, বিজেপির রাজ্য সভাপতির সঙ্গে রমেশকে ফোনে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে বাধ্য করে। তাঁকে বলতে শোনা যায়, তিনি বিআরএস নেতৃত্বকে বলবেন যে তিনি পদত্যাগ করছেন। এই টানাহেঁচড়ার মধ্যে রমেশের শার্ট ছিঁড়ে যায়। পুরো ঘটনায় তাঁকে দৃশ্যতই বিভ্রান্ত লেগেছে।
BRS Ex MLA Aroori Ramesh calls press meet to inform that he is joining BJP. Errabelli Dayakar Rao and other BRS leaders storm his house, stop his press meet, force him to wait until his classmate MLA T.Harish Rao arrives. pic.twitter.com/ljFUFokJzP
— Raj Karsewak (@rajkarsewak) March 13, 2024
অরুরি রমেশকে নিয়ে কেন এই টানাটানি? আসলে, লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য প্রার্থী খুঁজতে হিমশিম খাচ্ছে বিআরএস। সম্প্রতি তাদের একজন সাংসদ কংগ্রেসে এবং আরও দুইজন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। আরও এক সাংসদ জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান না। এই অবস্থায়, ওয়ারঙ্গল থেকে রমেশকে প্রার্থী করতে চেয়েছিল বিআরএস। বিজেপিও তাঁকে একই প্রস্তাব দিয়েছে। তবে রমেশের দাবি, অতীতে ভাল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়ী হওয়া সত্ত্বেও, বিআরএসে তাঁকে অপমানিত হতে হয়েছে। বিজেপিরও জিতবেন এমন গ্যারান্টিযুক্ত প্রার্থীর অভাব রয়েছে। তাই তারা বিআরএসের মতো অন্যান্য দল থেকে নেতাদের দলে নিয়ে লড়তে চাইছে। ভাড়াটে সৈন্য দিয়ে যুদ্ধ জয় করতে চাইছে। বুধবার রাতে বিজেপি দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। তেলঙ্গানার ৬টি আসনের প্রার্থীদের নাম জানানো হয়েছে। তার মধ্যে অবশ্য অরুরি রমেশের নাম নেই। তবে, দুই প্রাক্তন বিআরএস সাংসদ আজমীরা সীতারাম নায়েক এবং গোদাম নাগেশকে যথাক্রমে মাহবুবাবাদ এবং আদিলাবাদ আসন থেকে প্রার্থী করা হয়েছে।