TMC Candidate List : অস্বস্তি কাটাতে নয়া কৌশল! ফোন-ইমেলেই যাচ্ছে জোড়াফুল মনোনীত প্রার্থীর নাম

Municipal Elections 2022: সূত্রের খবর, নতুন করে আর কোনও প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পথে হাঁটছে না তৃণমূল নেতৃত্ব। ফোনে অথবা ই-মেইল করে প্রার্থী বদলের কথা জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে জেলা নেতৃত্বকে। দলীয় সূত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে।

TMC Candidate List : অস্বস্তি কাটাতে নয়া কৌশল! ফোন-ইমেলেই যাচ্ছে জোড়াফুল মনোনীত প্রার্থীর নাম
তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা নিয়ে ফের বিস্ফোরক মালদার নেতা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 07, 2022 | 4:21 PM

কলকাতা : পুরভোটের (Municipal Elections 2022) প্রার্থী তালিকা ঘিরে তৃণমূলের (Trinamool Congress Candidate List) অন্দরে চূড়ান্ত বিভ্রান্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দুই বার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হয়েছে। জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভ চলছে। জোড়াফুলের প্রতীক ছেড়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়ার হুঁশিয়ারিও ভেসে আসছে। কোথাও আবার দুই জন প্রার্থীই প্রচারে নেমে পড়েছেন। মোটের উপর প্রার্থী তালিকাকে ঘিরে অস্বস্তি চেপে রাখাটা ক্রমেই কঠিন হয়ে যাচ্ছে রাজ্যের শাসক দলের কাছে। আক্রমণ শানাতে ছাড়ছেন না বিরোধীরা। বিরোধীদের অনেকেই কটাক্ষ করে বলছেন, প্রার্থী তালিকা ঘিরে তৃণমূলের মুশল পর্ব চলছে। এবার সেই ‘মুশল পর্ব’ সামলাতে কৌশল বদলাচ্ছে তৃণমূল শিবির। সূত্রের খবর, নতুন করে আর কোনও প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পথে হাঁটছে না তৃণমূল নেতৃত্ব। ফোনে অথবা ই-মেইল করে প্রার্থী বদলের কথা জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে জেলা নেতৃত্বকে। দলীয় সূত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে। জেলায় জেলায় বর্তমানে যে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা সামাল দিতে এবার এই নতুন কৌশলেই এগোচ্ছে তৃণমূল নেতৃত্ব।

উল্লেখ্য, প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর থেকেই এক বিভ্রান্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশ বকলমে সেই বিভ্রান্তির কথা স্বীকারও করছেন। কিন্তু তাঁদের বক্তব্য যে দুটি তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, খুব বেশি ফারাক নেই। সূত্রের দাবি, দুই তালিকার মধ্যে ফারাক মাত্র ৫ শতাংশের মতো। যদিও রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন, এই দুই তালিকার মধ্যে ফারাক রয়েছে ৫-১০ শতাংশ। তবে এক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা হল – এরপরেও যে সব জায়গায় দেখা যাচ্ছে কিছু বিভ্রান্তি রয়েছে, সেই বিভ্রান্তি কাটাতে তাঁরা ফোনে বা ইমেইল মারফত জেলা নেতৃত্বকে জানিয়ে দিচ্ছে – কোন ওয়ার্ডে, কাকে দলের তরফে মনোনীত করা হয়েছে। এদিকে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। তাই এর মধ্যে দলীয় প্রতীকও জমা দিতে হবে। ফলে, তার জন্য যে প্রয়োজনীয় অ্যানেক্সার ফর্ম, সেটাও জেলা নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে দলীয় নেতৃত্বকে বলে দেওয়া হচ্ছে কোন প্রার্থীকে তা দিতে হবে। কারণ, যদি সবটাই প্রকাশ্যে চলে আসে, তার ফলে যে সমস্যা তৈরি হচ্ছে – তাতে গোষ্ঠীদন্দ্বের চেহারা আরও বেআব্রু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলছেন, “কে কাকে কীভাবে প্রার্থী করবেন, সেটা সম্পূর্ণভাবে তাদের দলের বিষয়। এই নিয়ে আমাদের কিছু বলার থাকতে পারে না। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের এটাই হওয়ার ছিল। কারণ, যারা এত শৃঙ্খলা, গণতন্ত্র, এক দল এক পদ, একটাই অফিস থেকে দল পরিচালনা হবে, পাওয়ার সেন্টার বা শক্তি কেন্দ্র একটাই – অন্য কোনও পাওয়ার সেন্টার নেই – এই ধরনের কথা বলছে। শুধুমাত্র জো জিতা ওহি সিকন্দর – এটা যদি কোনও রাজনৈতিক দলের একমাত্র মতাদর্শ হয়, এবং কোনও রাজনৈতিক দল যদি কোনও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট দিয়ে পরিচালিত হয়, তাহলে এটাই হওয়া স্বাভাবিক। এটা তো শেষের শুরু। অপেক্ষা করুন, আরও অনেক কিছু দেখতে পাবেন।”

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা