লখনউ: আগামী ফেব্রুয়ারি মাসেই বহু প্রতীক্ষিত উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন (Uttar Pradesh Assembly Election)। এবারের নির্বাচন একদিকে যেমন বিজেপির কাছে ক্ষমতা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ অন্যদিকে বিজেপিকে পর্যদুস্ত করে রাজ্যের মসনদে বসার স্বপ্ন দেখছেন সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব। দুই দলের রাজনৈতিক তত্ত্বের মধ্যে, উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা জানালো উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা। শিবসেনা সাংসদ তথা দলের মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত জানিয়েছেন আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ৫০ থেকে ১০০ আসনে প্রার্থী দিতে পারে শিবসেনা। প্রার্থী দেওয়ার কথা জানানোর পাশাপাশি সঞ্জয় রাউত জানিয়েছেন চলতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার উত্তর প্রদেশ যাবেন তিনি।
উত্তর প্রদেশের বিজেপি সরকারের মন্ত্রী স্বামী প্রসাদ মৌর্যের দলত্যাগের পর বিজেপি কে আক্রমণ করেছিলেন সঞ্জয় রাউত। মৌর্য বিজেপি তাকে সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিলেন তিনি। সংবাদ সংস্থা এএনআই কে সঞ্জয় রাউত জানিয়েছিলেন, “উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে কথিত আছে মৌর্য যেদিকে যায় সেই দলই নির্বাচনে জয়লাভ করে। তিনি যখন বিজেপি ছেড়ে সমাজবাদী পার্টিতে যোগদান করছেন তার অর্থ আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি আর ক্ষমতায় আসছে না।” সঞ্জয় রাউত জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রে যেভাবে শিবসেনা, এনসিপি ও কংগ্রেস মিলে বিজেপি সরকার বানিয়েছে ঠিক একইভাবে গোয়াতেও অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গে কথাবার্তা চালু আছে। ফেব্রুয়ারি মাসের ১৪ তারিখেই গোয়া বিধানসভা নির্বাচন।
উত্তর প্রদেশের ক্ষমতা ধরে রাখা বিজেপির কাছে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। ভারতীয় রাজনীতিতে কথিত আছে ‘দিল্লির রাস্তা উত্তর প্রদেশ হয়ে যায়’ তাই যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে বিজেপি যদি আবার রাজ্য সরকার তৈরি করতে সক্ষম হয় তবে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে অন্য দলগুলোর তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে যাবে বিজেপি। অন্যদিকে নির্বাচনে যদি আশানুরূপ ফলাফল না হয় তবে লোকসভা নির্বাচনের আগে দলের ভাবমূর্তিতে ধাক্কা লাগতে পারে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উত্তর প্রদেশ থেকে নির্বাচিত সাংসদ, ভোটে বিজেপির ভরাডুবি হলে সেই দায় নরেন্দ্র মোদীর ওপর গিয়ে পড়বে। তাই উত্তরপ্রদেশের ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া চেষ্টা চালাবে বিজেপি, এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের।
আরও পড়ুন Sushmita Dev on opposition: বিরোধীদের উচিৎ নরেন্দ্র মোদীর ‘বিকল্প মুখ’ তুলে ধরা, মত সুস্মিতা দেবের