West Bengal Assembly Election 2021 Phase 2: থার্মাল গানে তাপমাত্রা বেশি, বুথ থেকে ভোটার ফেরানোর অভিযোগ

West Bengal Assembly Election: যাদের দেহে বেশি তাপমাত্রা তাদের একটু অপেক্ষা করার পর তাপমাত্রা কমলে বুথের ভিতর ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে, দাবি প্রিসাইডিং অফিসারের।

West Bengal Assembly Election 2021 Phase 2: থার্মাল গানে তাপমাত্রা বেশি, বুথ থেকে ভোটার ফেরানোর অভিযোগ
থার্মাল গানে তাপমাত্রা বেশি থাকায় ভোটকেন্দ্রে না ঢুকতে দেওয়ার অভিযোগ কোতুলপুরে।
Follow Us:
| Updated on: Apr 01, 2021 | 12:47 PM

বাঁকুড়া: থার্মাল গানে তাপমাত্রা বেশি থাকায় ভোটকেন্দ্রে (West Bengal Eslections 2021) না ঢুকতে দেওয়ার অভিযোগ কোতুলপুরে। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফার ভোটে এই ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় কোতুলপুর বিধানসভার সরিষাদিঘি এসএসকে স্কুলে ১২৩ নম্বর বুথে। ভোটারদের দাবি, আশা কর্মীদের এই থার্মাল স্ক্রিনিং করার কথা। অথচ কেন্দ্রীয় বাহিনী তা করছে। আর তাপমাত্রা বেশি দেখলে বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছে। ভোটারদের দাবি, এই গরমে তাপমাত্রা খানিকটা বাড়বে, সেটাই তো স্বাভাবিক। যদিও কেন্দ্রীয় বাহিনীর তরফে পাল্টা দাবি, তারা এরকম কিছুই করেননি। আশা কর্মীরাই বরং তাদের অতিরিক্ত তাপমাত্রার বিষয়টি জানান।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ভোট দিতে গেলে দেহের তাপমাত্রা বেশি থাকলে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। আশা কর্মীদের বদলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাই এই তাপমাত্রা মাপছেন। পাশাপাশি তাঁদের অভিযোগ, প্রচণ্ড রোদ ও গরমে এমনিতেই দেহের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। ফলে থার্মাল গানে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেশিই দেখাচ্ছে। আর এমনটা হলেই ভোটারদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।

ভোটের সারাদিনের সব আপডেট জানতে ক্লিক করুন: West Bengal Election 2021 Phase 2 Voting LIVE: ‘১০০ বুথে এজেন্ট নেই মমতার’, ভোট দিতে যাওয়ার পথে বললেন শুভেন্দু 

ঘটনার কথা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কোতুলপুর বিধানসভার তৃণমুল প্রার্থী সঙ্গীতা মালিক। তাঁর প্রশ্ন, স্বাস্থ্য দফতরের কর্মী থাকতে কেন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে দেহের তাপমাত্রা মাপানো হচ্ছে। যদিও প্রিসাইডিং অফিসারের দাবি, কেন্দ্রীয় বাহিনী নয় স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীই তাপমাত্রা পরীক্ষা করছেন। যাদের দেহে বেশি তাপমাত্রা তাদের একটু অপেক্ষা করার পর তাপমাত্রা কমলে বুথের ভিতর ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে।

যদিও বিষয়টি নিয়ে গ্রামবাসীরা ব্যাপক বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের দাবি, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট হোক। কিন্তু কেন ভোট না দিতে দিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূল প্রার্থীর অভিযোগ, ৩০০-৩৫০ মানুষকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতেই মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েন।