দোলের দিনও জনসংযোগ। তাই তাতে রঙের ছোঁয়া। রবিবার দোলের সকালে এভাবেই রঙিন ভোটপ্রচারে দেখা গেল বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের। তৃণমূল, বিজেপি কিংবা সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী—সকলেই নিজেদের পছন্দের রঙে রাঙিয়ে তুললেন নিজেদের। কারও সঙ্গী রবীন্দ্রনাথের বসন্ত আবাহনের গান, কারও প্রচারে আবার শোনা গেল খোল-করতাল সহযোগে রাই-কৃষ্ণ বন্দনা। এদিকে এদিন পাথরপ্রতিমা থেকে ফের মমতাকে হারানোর চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়, “যতই নাটকবাজি করুন না কেন। পা ভাঙা, হাত ভাঙা, মাথা ভাঙা, কোনও কাজে লাগবে না। নিজেকে পাথর প্রতিমার কুটুম বলে জানিয়ে জনতার উদ্দেশে শুভেন্দুর ঘোষণা, “সামনে কী পুজো আসছে? রাম নবমী। ভগবান রামচন্দ্র মাকে পুজো করেছিলেন কোন ফুল দিয়ে? তাহলে ভোটটা দিতে হবে কোথায়?” বললেন, ওই দলে ল্যাম্পপোস্ট হয়ে থাকতে বলা হত। তাই তিন দফতর ছেড়ে এসেছিলাম।
পূর্ব মেদিনীপুর: তৃণমূল সুপ্রিমোর (Mamata Banerjee) দ্বিতীয় দফার সফরের ঠিক আগেই ফের উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম। সিপিএমের (CPM) বিধায়ক প্রার্থী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের উপর তৃণমূলের কর্মীদের হামলা করা ও হুমকি দেওয়ার প্রতিবাদে রবিবার নন্দীগ্রাম থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন সংযুক্ত মোর্চার কর্মী সমর্থকেরা।
বিস্তারিত পড়ুন: উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম! মীনাক্ষীর উপর হামলার প্রতিবাদে থানা ঘেরাও সংযুক্ত মোর্চার
পশ্চিম বর্ধমান: প্রথম দফার ভোটের পর দোলের দিনেই প্রচারে নামলেন আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি (BJP) তারকা প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল। রবিবার সকালে, ঢাকঢোল-খোল-কর্তাল বাজিয়ে অভিনব উপায়ে প্রচারে নামলেন অগ্নিমিত্রা ও গেরুয়া কর্মী সমর্থকেরা। এ দিন, সকালে, বিএনআর মোড় থেকে গান বাজিয়ে শোভাযাত্রা শুরু হয়। শেষ হয়, বার্নপুরের বারি ময়দানে।
বিস্তারিত পড়ুন: ‘তৃণমূল রঙ দিয়েও ক্ষতি করতে পারে, সাবধানে থাকুন’, বিস্ফোরক অগ্নিমিত্রা
“বিরুলিয়ায় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। দুর্ঘটনা থেকে পায়ের আঘাত লাগেনি। এতে মানুষের কোনও দোষ নেই।’ শনিবার নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া সভা থেকে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
গত ১০ মার্চ নন্দীগ্রামের বিরুলিয়ায় পায়ে আঘাত পান মুখ্যমন্ত্রী। ঘটনায় তীব্র শোরগোল পড়ে রাজনৈতিক মহলে। মমতা নিজে সেদিন অভিযোগ করেন যে তাঁকে ষড়যন্তর করে আঘাত করা হয়েছিল। এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহত হওয়ার ঘটনার তদন্তভার হাতে নিয়েছে সিআইডি। কী ভাবে তিনি আহত হয়েছিলেন, তা খতিয়ে দেখতে গঠিত হয়েছে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। বিরুলিয়ার ঘটনার পর পায়ে প্লাস্টার নিয়ে ভোট প্রচারে নেমেছেন মমতা। ১৮ দিনের মাথায় আবার সেই বিরুলিয়াতেই সভা করলেন তিনি। তাঁর কথায়,”বিরুলিয়ায় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। দুর্ঘটনা থেকে পায়ের আঘাত লাগেনি। এতে মানুষের কোনও দোষ নেই।” এর পর মমতা ফের যোগ করেন, সেদিন চার-পাঁচ জন তাঁকে ধাক্কা দিয়েছিল।
“সাড়ে ন’বছর তোষণ করে এখন নারায়ণকে বলছেন বিষ্ণুমাতা।” শনিবার পাথরপ্রতিমার সভা থেকে এভাবেই নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) কে আক্রমণ শানালেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নন্দীগ্রামে গিয়ে মমতার সরস্বতী পুজোর মন্ত্রোচ্চারণকে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। সেই সঙ্গে শুভেন্দুর তীব্র কটাক্ষ, “চণ্ডীপাঠ দেখেছেন? মা চণ্ডীর পিণ্ডি চটকে ভূত করে দিচ্ছে। কলমাটা ঠিক পড়ে।” মমতাকে ভোট না দেওয়ার আর্জি জানিয়ে নন্দীগ্রাম বিধানসভায় তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীর আহ্বান, “ওনাকে ভোট দেবেন না। ধুতি, কণ্টি, মাথায় টিপ পরতে পারবেন না, যদি আর একবার ক্ষমতায় আসে। তাই হারাতেই হবে।”
বিস্তারিত পড়ুন: মা চণ্ডীর পিণ্ডি চটকে ভূত করে দিয়েছেন, কিন্তু কলমাটা ঠিক পড়েন: শুভেন্দু
আমি নন্দীগ্রামে যাচ্ছি, জানি না আর কী প্ল্যান করে রেখে দিয়েছে। আমাকে যদি খুনও করে ফেলে জানবেন, আমার যতক্ষণ প্রাণ থাকবে বিজেপি, সিপিএমকে ক্ষমা করব না। চণ্ডীপুরে জনসভায় বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সবিস্তারে পড়ুন: রসগোল্লা খাবে, রস ছাড়া! ৩০-এর মধ্যে নাকি ২৬ পাবে: মমতা
পূর্ব মেদিনীপুর: এ জমি থেকেই লড়াই শুরু করেছিলেন বাম বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সে দিন মমতার পাশে ছিলেন তরুণ নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেই জমি নন্দীগ্রাম (Nandigram) ফের আরও একবার ‘প্রেস্টিজ ফাইট’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, যুযুধান প্রতিপক্ষ মমতা এবং তাঁর একদা সহযোদ্ধা শুভেন্দু। বিনা যুদ্ধে সূচগ্র মেদিনী ছাড়তে নারাজ দুজনেই। একদা গুরু-শিষ্যের লড়াইয়ে রাজনীতির ভরকেন্দ্র হয়ে উঠেছে নন্দীগ্রাম।
বিস্তারিত পড়ুন: নন্দীগ্রাম যেন কুরুক্ষেত্র! বিনা যুদ্ধে সূচগ্র মেদিনী ছাড়তে নারাজ মমতা-শুভেন্দু
চন্দ্রকোণায় রোড শো মিঠুন চক্রবর্তীর। তিনি নিজে ভোটে না লড়লেও বিজেপি প্রার্থীদের হয়ে এক টানা প্রচার করে যাচ্ছেন। রবিবার প্রথমে বাঁকুড়ার ইন্দাসে প্রচার করেন। তারপর চন্দ্রকোণায় প্রার্থী শিবরাম দাসের সমর্থনে রোড শো করেন। জারা থেকে রামজীবনপুর পর্যন্ত এই রোড শো।
‘প্রমোদতরী’তে রঙিন বসন্তযাপন তৃণমূল নেতা মদন মিত্রের (Madan Mitra)। সঙ্গে বিজেপির তিন তারকাপ্রার্থী পায়েল সরকার, তনুশ্রী চক্রবর্তী ও শ্রাবন্তী। রবিবার সকালে গঙ্গাবক্ষে এভাবেই রঙের উৎসব উদযাপনে দেখা গেল ‘মদনগোপাল’ মিত্রকে। ‘মদনদা’র জনপ্রিয় গানের বোল ‘ওহ লাভলি’তে তুমুল উচ্ছ্বাস পায়েল, তনুশ্রীদের। রাজনীতির রংকে দূরে ঠেলে এ এক অন্য রঙের সকাল দক্ষিণেশ্বরের গঙ্গাবক্ষে।
বিস্তারিত পড়ুন: ‘ওহ লাভলি’! দোলের সকালে বিজেপির তিন তারকাপ্রার্থীর সঙ্গে নাচের তালে ‘মদনগোপাল’
১ এপ্রিল দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। এর মধ্যে ভোট হবে বাঁকুড়ার আটটি বিধানসভা কেন্দ্রে। রবিবার ইন্দাস বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী নির্মল ধারার প্রচারে রোড শো করলেন মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী। এদিন তিনি চপারে ইন্দাস স্কুল মাঠে নামেন। সেখান থেকে প্রার্থী নির্মল ধারা ও সৌমিত্র খাঁ-কে নিয়ে ইন্দাস বাজার পরিক্রমা করে হাসপাতাল মোড় পর্যন্ত রোড শো করেন।
মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী বদল করল তৃণমূল কংগ্রেস। এ কেন্দ্রে প্রথমে প্রার্থী হিসাবে ক্যাপ্টেন নলিনীরঞ্জন রায়ের নাম ঘোষণা করা হয়। রবিবার সেই প্রার্থীকে বদল করে ঘোষণা করা হল রাজেন সুনদাসের নাম।
বিস্তারিত পড়ুন: এবার মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্র
দোলের সকালে বিজেপির (BJP) ফ্লেক্স ছিড়ে দেওয়াকে কেন্দ্রকে উত্তেজনা ছড়াল বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রের আওতাধীন কলমবাগানে। অভিযোগের আঙুল তৃণমূলের দিকে। যদি তৃণমূল এই অভিযোগ মানতে নারাজ।
বিস্তারিত পড়ুন: বিজেপির ফ্লেক্স ছেড়াকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে উত্তেজনা বাগদায়
দোলের দিন আবারও নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আবারও সেই বিরুলিয়া বাজারে। গত ১০ মার্চ যেখানে পায়ে চোট পান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে চোট গত কয়েকদিনে বারবার রাজ্য রাজনীতির শিরোনামে উঠে এসেছে। রবিবার নন্দীগ্রামে দু’টি কর্মসূচি রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তার আগে চণ্ডীপুরে রয়েছে জনসভা।
বিস্তারিত পড়ুন: চোটের ১৮ দিন পর আজ ফের সেই বিরুলিয়া বাজারে মমতা
রাজারহাট গোপালপুর বিধানসভা কেন্দ্রে সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত সিপিআইএম প্রার্থী শুভজিৎ দাশগুপ্ত। রবিবার সকালে কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকায় ভোটপ্রচার করেন তিনি। রঙিন আবির আর গিটারে ‘ওরে গৃহবাসী’র সুর, অন্যরকম জনসংযোগে দেখা গেল প্রার্থীকে।
দমদম বিধানসভা কেন্দ্রে এবারের তৃণমূল প্রার্থী ব্রাত্য বসু। দোলের সকালে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে ভোটপ্রচারে বের হন ব্রাত্য।
দোলের দিন সকালে সল্টলেকের জিডি চিলড্রেন পার্ক থেকে প্রভাতফেরী বের হয়। নাচে-গানে রঙিন সেই প্রভাতফেরীতে অংশ নেন বিধাননগর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সব্যসাচী দত্ত।