ভারত ছাড়তে হলে জমা রাখতে হবে ৬০ কোটি, শিল্পা-রাজকে নির্দেশ আদালতের
এই মামলার সূত্রপাত হয় ২০২৩ সালের ১৪ আগস্ট, যখন ব্যবসায়ী দীপক কোঠারি অভিযোগ করেন যে, রাজ কুন্দ্রা তাঁর কাছ থেকে বিনিয়োগ ও ঋণের নামে প্রায় ৬০ কোটি টাকা নিয়ে প্রতারণা করেছেন। তদন্তে রাজ কুন্দ্রা দাবি করেছেন, এই টাকার একটি বড় অংশ বলিউড তারকাদের ‘প্রফেশনাল ফি’ হিসেবে দেওয়া হয়েছিল।

রাজ কুন্দ্রা ও শিল্পা শেট্টি, বরাবরই তাঁরা পরিবার নিয়ে থাকতে পছন্দ করেন। কাজের বাইরে পরিবারের সকলে মিলে সময় কাটানোকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকেন তাঁরা। তবে এবার ফ্যামিলি ভ্যাকেশনে মস্ত বাধা। প্ল্যান হয়ে গিয়েছিল সব। তবে যাওয়ার আগেই অন্তরায় হয়ে দাঁড়ালো বম্বে হাইকোর্ট। দিল কড়া নির্দেশ। দেশ ছাড়তে হলে মোটা টাকা জমা করে যেতে হবে তাঁদের। আর এই টাকার অঙ্ক কত জানেন? ৬০ কোটি টাকা। কেন রাতারাতি এই নির্দেশ দেওয়া হল তারকা জুটিকে?
গত ২৪ ঘণ্টায় এই দম্পতির নাম একাধিকবার খবরের শিরোনামে উঠে আসতে দেখা গিয়েছে। কারণ আর্থিক প্রতারণা মামলা। শিল্পা শেট্টিকে ৬০ কোটি টাকার প্রতারণা মামলায় টানা সাড়ে চার ঘণ্টার বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে মুম্বই পুলিশের ইকনমিক অফেন্সেস উইং (EoW)। আর্থিক প্রতারণার সংক্রান্ত মামলায় এই পুলিশি বিভাগ এবার জিজ্ঞাসাবাদ করল অভিনেত্রীকে। এই মামলায় তাঁর স্বামী ও ব্যবসায়ী রাজ কুন্দ্রার নাম আগেই উঠে এসেছিল। তাঁদের Best Deal TV Private Limited- বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, বিষয়টি ঘিরে তদন্ত চলছে।
এই কোম্পানিটি এক সময় হোম শপিং ও অনলাইন রিটেল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করত। রাজ কুন্দ্রা ও শিল্পা শেট্টি দুজনেই এই কোম্পানির ডিরেক্টর ছিলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত রাজ কুন্দ্রাসহ পাঁচজনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কোম্পানির নিযুক্ত রেজোলিউশন প্রফেশনাল রাজেন্দ্র ভূতাড়া, যিনি লিকুইডেশন চলাকালীন কোম্পানির দায়িত্বে ছিলেন।
এই মামলার সূত্রপাত হয় ২০২৩ সালের ১৪ আগস্ট, যখন ব্যবসায়ী দীপক কোঠারি অভিযোগ করেন যে, রাজ কুন্দ্রা তাঁর কাছ থেকে বিনিয়োগ ও ঋণের নামে প্রায় ৬০ কোটি টাকা নিয়ে প্রতারণা করেছেন। তদন্তে রাজ কুন্দ্রা দাবি করেছেন, এই টাকার একটি বড় অংশ বলিউড তারকাদের ‘প্রফেশনাল ফি’ হিসেবে দেওয়া হয়েছিল। তিনি জানান, অভিনেত্রী বিপাশা বসু, নেহা ধুপিয়া ও প্রযোজক একতা কাপুরের নাম সেই তালিকায় রয়েছে।
সেই মামলাতেই এবার বড় সমস্যার মুখে তাঁরা। দেশ ছাড়তে হলে মামলার মূল ৬০ কোটি টাকা তাঁদের জমা রাখতে হবে, নইলে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া যাবে না বলেই এবার স্পষ্ট জানিয়ে দিল বম্বে হাইকোর্ট।
