আমার বিরুদ্ধে দিনে কম করে ২০০টা এফআইআর হয়েছে: কঙ্গনা রানাওয়াত

মাস তিনেক আগে টুইটার ব্যান করে কঙ্গনাকে। ঠিক কী কারণে বন্ধ করা হয়েছিল কঙ্গনার অ্যাকাউন্ট? পশ্চিমবঙ্গে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পরেই সরব হয়েছিলেন বিজেপি সমর্থক কঙ্গনা।

আমার বিরুদ্ধে দিনে কম করে ২০০টা এফআইআর হয়েছে: কঙ্গনা রানাওয়াত
কঙ্গনা রানাওয়াত। ছবি: ইনস্টাগ্রামের সৌজন্যে।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 13, 2021 | 11:02 PM

ছয় মাসের বেশি টুইটারে থাকতে পারেননি তিনি। টুইটার ব্যান করে কঙ্গনা রানাওয়াতকে এই বছরেরই মে মাসে। তাঁর এই টুইটার জার্নি একেবারেই সুমধুর ছিল না, সে কথা নিজেই স্বীকার করেছেন বলিপাড়ার ‘কুইন’। এমনও নাকি দিন গিয়েছে যে গড়ে ২০০টা এফআইআর হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে, জানাচ্ছেন অভিনেত্রী নিজেই।

সম্প্রতি কপিল শর্মার শো’য়ে হাজির হয়েছিলেন কঙ্গনা। সেখানেই অভিনেত্রীর সামনে টুইটারের প্রসঙ্গ তোলেন কপিল। কঙ্গনাও বলেনম “যখন করোনা ছিল না তখন আমি ব্যস্ত ছিলাম। যখন কোভিড এল তখন টুইটারে হাজির হলাম। যেই লকডাউন উঠল টুইটার আমায় ব্যান করে দিল।” কঙ্গনা নিজে থেকেই জানান, সেখানে ছয় মাসের বেশি তিনি থাকতে পারেননি। তাঁর কথায়, “আমার বিরুদ্ধে এত মামলা হয়েছে… কম করে ২০০টা এফআইআর হয়েছে রোজ। তার পরেই টুইটার আমায় ব্যান করে দেয়।” যদিও টুইটার ব্যান করে দিলেও ইনস্টাগ্রামে বহাল তবিয়তে রয়েছেন অভিনেত্রী। যুক্ত হয়েছেন এ দেশের ‘টুইটার’ কু নামক একটি অ্যাপেও।

মাস তিনেক আগে টুইটার ব্যান করে কঙ্গনাকে। ঠিক কী কারণে বন্ধ করা হয়েছিল কঙ্গনার অ্যাকাউন্ট? পশ্চিমবঙ্গে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পরেই সরব হয়েছিলেন বিজেপি সমর্থক কঙ্গনা। শেয়ার করছিলেন একের পর এক টুইট। কখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘রাবণ’ আবার কখনও বা তাঁর নিশানায় ছিল এনআরসি এবং সিএএ । এক টুইটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে কঙ্গনা লেখেন, ” ২০১৯ সালের পর মমতাদিদি আহত বাঘের মতো ফিরে এসেছে, কেন্দ্রকে হুমকি দিয়েছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তাঁর হেলিকপ্টার থেকে নামতে দেননি, সিএএ/এনআরসি বন্ধ করে দিয়েছেন,বিজেপি কর্মীদের হত্যা করেছেন, খোলাখুলি গুন্ডামি করেছেন, এবং মোদীকে সতর্কবাণী দিয়ে বলেছেন আসুন, খেলা হবে। তিনি প্রকাশ্যে শরণার্থী জড়ো করে তাঁদের আরও ভোটার কার্ড দিয়েছেন…।”

এখানেই শেষ নয় তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ এনে ‘#বেঙ্গলইজবার্নিং’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে বেশ কয়েকটি টুইটও শেয়ার করেন তিনি। এর পরেই টুইটারে তরফে বন্ধ করে দেওয়া হয় তাঁর অ্যাকাউন্ট। যদিও সংবাদ সংস্থা এএনআইকে কঙ্গনা জানিয়েছেন, “টুইটার ছাড়াও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া রয়েছে যেখানে আমি যা বলতে চাইছি তা বলতে পারব। যদি সেটাও সম্ভব না হয় তাহলে আমার নিজের কৃষ্টি, আমার সিনেমার মধ্যে দিয়ে তা আমি বলব।”

এ নিয়ে ফেসবুকেও একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছিলেন কঙ্গনা। সেখানে কাঁদতেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে। সে সময় তিনি বলেছিলেন, “বাংলা থেকে খারাপ খবর আসছে। মানুষের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। গণধর্ষণ হচ্ছে, খুন হচ্ছে। কেউ কিছু বলছে না। আমি বুঝতে পারছি না হিন্দু রক্ত কি এতটাই সস্তা। কীসের ষড়যন্ত্র?” পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি তিনি যে ‘হতাশ’ তা ব্যক্ত করে কঙ্গনা বলেন, “আপনারা বাংলায় হওয়া ঘটনার নিন্দা করতে চাইছেন, ধর্না করতে চাইছেন কিন্তু দেশদ্রোহীদের এতটা ভয় পেয়ে গেলেন আপনারা রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার কথা ভাবছেন না?”

যদিও এই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই ট্রোল্ড হয়েছিলেন তিনি। অনেকেই কমেন্ট বক্সে তাঁকে কটাক্ষ করে লিখেছেন, “আপনি আপনার রাজ্যের কথা ভাবুন, বাংলায় কী হচ্ছে তা নিয়ে আপনাকে মাথা না ঘামালেও চলবে।”

আরও পড়ুনVidyut Jammwal: কমান্ডোর মতো কী করলেন বিদ্যুৎ? প্রেমিকা তো অবাক!

আরও পড়ুন: সুশান্তের পর সিদ্ধার্থ শুক্লার আত্মার সঙ্গেও কথা বললেন প্যারানর্মাল বিশেষজ্ঞ স্টিভ হাফ 

আরও পড়ুনArjun Rampal: কোন যাত্রায় নিজেকে ডুবিয়েছেন অর্জুন?