দুর্গা পুজোয় গিয়ে একটি মেয়ের প্রেমে পড়েন সায়ন্তনী, তারপর?
Sayantani GuhaThakurta: এই গল্পে কোনও পুরুষ নেই। রয়েছে নারীর মধ্যে প্রেম।
‘শুভ মঙ্গল জাদা সাবধান’-র গল্পের কথা আপনার মনে পড়ে যাবে। দুই পুরষের প্রেম। বাবার মনে দুঃখ। তারপর বাবাই মেনে নিয়েছিল ছেলের বয়ফ্রেন্ডকে। এই গল্পে যদিও পুরুষ নেই। নারীর মধ্যে প্রেম। পূর্ণ দৈর্ঘের ছবি নয়। মিউজিক্যাল ড্রামা – ‘সাইড দেবেন প্লিজ’। গানের কথা জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের। সুর দিয়েছেন ও গেয়েছেন শঙ্খ শুভ্র ঘোষ। মূল গল্প অনিন্দিতা দাশ ঘোষের। চিত্রনাট্য লিখেছেন মণিদীপা দাস ভট্টাচার্য। অভিনয় করছেন সায়ন্তনী গুহ ঠাকুরতা, অর্চিকা হিয়া গুপ্ত ও বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার শুটিং।
View this post on Instagram
গল্পের প্রেক্ষাপটে রয়েছে এক বনেদী বাড়ি। সেই পরিবেশে বেড়ে ওঠে এক মেয়ে, যার নাম রূপকথা। চরিত্রটিতে অভিনয় করবেন অর্চিকা। মা হারা মেয়েটিকে একা হাতে মানুষ করে তার বাবা। অর্থাৎ, যে চরিত্রে ভাবা হয়েছে বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বাবা তাকে অন্যভাবে বড় করে তোলে। মার্শাল আর্টস শেখায়, বাইক চালানো শেখায়, গিটার বাজিয়ে গান করা – যেভাবে একটি ছেলে বড় হয় আরকী। এরই সঙ্গে সিদ্ধান্তে অটল থাকা, নৈতিক বিচারবোধের শিক্ষাও সে বাবার থেকেই পায়। দেখা যায়, তাঁর জীবনে রয়েছে সম্পূর্ণ এক অন্যদিক। সে ভালবাসে এক মেয়েকে। বাবা বিরোধিতা করে। বিষয়টা তার কাছে অস্বাভাবিক বলে মনে হয়।
TV9 বাংলা থেকে যোগাযোগ করা হলে অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা বলেন, “ছবিটা একটা মিউজিক্যাল শর্টস। দুটি মেয়ের প্রেমের গল্প। সমকামী প্রেমের গল্প। এই ধরনের সম্পর্ককে এখনও আমাদের সমাজ ঠিকভাবে মেনে নেয় না। দেখানো হবে একটি মেয়ে। সে আমার বন্ধুর চরিত্রে। ওর বাড়িতে দুর্গাপুজো হবে। আমাকে নিমন্ত্রণ করে। আমি পুজোতে যাই। সেই প্রথম আমাদের মধ্যে ভালবাসার সম্পর্ক তৈরি হয়। শেষে দেখানো হবে মেয়েটির বাবা সম্পর্কটি মেনে নেয়। রবিবার থেকে আমাদের শুটিং।”
মিউজিক্যাল শর্টসটি পরিচালনা করছেন সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। চিত্রগ্রহণের দায়িত্বে রয়েছেন সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্পাদক অনির্বাণ মাইতি। পোশাক পরিকল্পনা দেবারতি গুহর। শর্টসের প্রযোজক দেব ঘোষ।
আরও পড়ুন: নাটকের দল খুুললেন ‘রসগোল্লা’র ক্ষীরোদমণি অবন্তিকা; নাম দিলেন ‘ইচ্ছে’