Lata Mangeshkar Death: লতা মঙ্গেশকরকে রাজি করা… সে কম বড় চ্যালেঞ্জ নয় : তোচন ঘোষ

" এত বড় মাপের শিল্পীকে নিয়ে শো করা সে এক বিশাল কর্মকাণ্ড। ওনাকে রাজি করা তা ও কম বড় চ্যালেঞ্জ ছিল না। উনি ঊষা মঙ্গেশকরের কথা কখনও ফেলতে পারতেন না।

Lata Mangeshkar Death: লতা মঙ্গেশকরকে রাজি করা... সে কম বড় চ্যালেঞ্জ নয় : তোচন ঘোষ
গ্রাফিক্স- অভীক দেবনাথ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 06, 2022 | 7:33 PM

আমার সঙ্গে তাঁর প্রথম সাক্ষাৎ প্রায় ৪৪ বছর আগে। ১৯৭৮-এ একটি সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন সেই আমাদের প্রথম দেখা। লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণে প্রায় দু-যুগ আগে ফিরে গেলেন তোচন ঘোষ।

ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁকে চেনেন না এমন কম ব্যক্তিই আছেন। সঙ্গীত এবং বিনোদন জগতের অন্যতম সফল উদ্যোগপতি তোচন ঘোষ। বহু বহু শোয়ের আয়োজক তিনিই। লতা মঙ্গেশকর এবং তাঁর পুরো পরিবারের সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক তোচন ঘোষের। টিভি নাইন বাংলার তরফে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বললেন, “গতকাল রাতেও খবর নিয়েছি। খুবই সংকটজনক ছিলেন। আর সকালেই এই খবর। লতা মঙ্গেশকর একজনই ছিল একজনই থাকবে, লতা আর দ্বিতীয় কেউ হবে না। আমাদের লেজেন্ড ছিলেন।”

কেমন ছিল লতাজিকে কাছ থেকে দেখার মুহূর্ত? কেমন ছিলেন তিনি? কথা বলতে বলতে স্মৃতির সাগরে ডুব দিলেন তোচন ঘোষ, “আমি ভাগ্যবান। আমি তাঁকে খুব কাছ থেকে দেখেছি। শেষ, কলকাতায় দমদমে এইচ এম ভি স্টুডিওতে গান রেকর্ড করতে এসেছিলেন। সুরকার ছিলেন সলিল চৌধুরি।  তাও নয় নয় করে কেটে গিয়েছে বহু বছর। এটা ভেবে খুব ভাল লাগে ওনার জীবনের প্রথম বাংলা গান আকাশ প্রদীপ জ্বলে… আমার আপন পিসেমশাই সতীনাথ মুখোপাধ্যায়ের সুরে গাওয়া। ” তিনি আরও যোগ করেন, “লতাজি খুব কম কথা বলতেন। প্রশ্ন করলে তার উত্তর দেওয়া ছাড়া খুব বেশি কথা বলতে ওঁনাকে আমি কোনও দিন দেখিনি।”

লতাজির কথা বললে কোন স্মৃতি বারবার আপনার ঘুরে ফিরে আসে? “আজ বার বার অনেক কিছুই মনে পড়ে যাচ্ছে। কিন্তু সেইদিনটার কথা আমি হয় তো ভুলব না।  ভূপেন হাজারিকার অনুরোধে তিনি গুয়াহাটিতে একটি শো করতে গিয়েছিলেন। তাও প্রায় ২০-২২ বছর আগের কথা। একই সময় আরও একটি শো করেন দূর্গাপুরে। এই দুই শোয়েই আমি উপস্থিত ছিলাম। সেই দুই শোয়ের তাঁর গান আমি কোনও দিনও ভুলতে পারব না। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়কে ভীষণ শ্রদ্ধা করতেন। ভূপেন হাজারিকা, সলিল চৌধুরির খুব কাছের মানুষ ছিলেন লতাজি।”

কলকাতার মানুষের প্রতি এক অদ্ভুত টান ,অন্যরকম ভালবাসা শ্রদ্ধা ছিল তাঁর। আশাজি যখন কলকাতায় শো করতে আসেন তখন তাঁকে কী বলেছিলেন লতাজি, তা শুনলে অবাক হবেন। কথা বলতে বলতে সুরটা নরম হয়ে উঠল তাঁর (তোচন ঘোষ)। বললেন, “আশাজি আমাকে বলেছেন, যখনই লতাজি জানতে পারতেন আমি কলকাতায় তোচনের ফাংশন করতে যাচ্ছি, তিনি বলতেন কলকাতার মানুষরা গান খুব ভালবাসে এবং গান বোঝেও। সুতরাং তুমি যেখানেই গান গাও, মন প্রাণ ঢেলে গান গেও। যাতে তোমার গান দর্শক উপভোগ করতে পারে।” তিনি আরও বলেন, ” এত বড় মাপের শিল্পীকে নিয়ে শো করা সে এক বিশাল কর্মকাণ্ড। ওনাকে রাজি করা তা ও কম বড় চ্যালেঞ্জ ছিল না। উনি ঊষা মঙ্গেশকরের কথা কখনও ফেলতে পারতেন না। তাই তাঁকে রাজি করানোর সব দায়িত্ব ছিল বোন ঊষা মঙ্গেশকরের কাঁধে। এককথায় এটাই বলব লতাজি ছিলেন, আছেন , থাকবেন…….”

আরও পড়ুন:Lata Mangeshkar Death: মনে হচ্ছে আমার স্বজন বিয়োগ হল: ইমন চক্রবর্তী