শকিং শব্দটা অনেক ছোট একটা শব্দ মনে হচ্ছে আজ। গতকাল সন্ধ্যামাসি যাওয়ার পরে সময় পাওয়া গেল না। মনটাকে গোছাতে না গোছাতেই আরও একটা খারাপ খবর ভেসে এল। বাপ্পিদার তো সেরকম বয়সও হয়নি। ওঁকে আমরা সকলেই খুব ভালবাসতাম। সকলের সঙ্গে সহজে মিশে যেতে পারতেন। সঙ্গীত জগৎ তাঁর সবচেয়ে হাসিখুশি মানুষটাকে হারাল।
কিছু অসামান্য সৃষ্টি রেখে গিয়েছেন বাপ্পি লাহিড়ি। গানের মধ্যে নতুন শব্দ নিয়ে এসেছিলেন। ডিস্কো ছাড়াও তো আরও অনেক গান তৈরি করেছিলেন। সুর করেছেন ‘চলতে চলতে’-এর মতো। অসম্ভব সুন্দর সুন্দর সুর। গজ়ল গাইতেন। দারুণ একজন সঙ্গীত পরিচালক। দারুণ তবলা বাজাতেন বাপ্পি লাহিড়ি। সেই কারণেই রিদম নিয়ে নানা কাজ করতে পেরেছেন। সেটা খুবই আকর্ষণীয় ছিল। ভারতবর্ষের অপূরণীয় ক্ষতি। বিধির বিধান তো কেউ খণ্ডাতে পারবে না।
খুব যে আড্ডা দিয়েছিলাম বাপ্পিদার সঙ্গে তেমনটা কিন্তু নয়। তবে কাজের আলোচনাই বেশি হত। জানতে চাইতেন আমি কী কাজ করছি। আমাদের প্লেনে দেখা হয়েছে অনেকবার। গল্প করতে করতে যাতায়াত করতাম। সবসময়ই মনে হত দারুণ প্রাণ শক্তিতে ভরপুর মানুষ ছিলেন। শেষবার যখন দেখা করি, তখনও সেটাই লক্ষ্য করেছিলাম। নিজের কাজ নিয়ে আলোচনা করতেন। পরবর্তী প্রজন্ম কী ধরনের সঙ্গীত তৈরি করছেন সেটা নিয়ে আলোচনা করতেন। খোঁজ খবর রাখতেন। এমন একজন মানুষ ছিলেন যাঁর সান্নিধ্য ভাল লাগত। সারাক্ষণই ইতিবাচক শক্তি ঘিরে থাকত তাঁকে।
আরও পড়ুন: Bappi Lahiri Death: একই সময়ে ৫-৬টি স্টুডিয়োতে ওঁর রেকর্ডিং চলত: স্মৃতিচারণায় উদিত নারায়ণ
আরও পড়ুন: Bappi Lahiri Death: মনে প্রাণে বাঙালি, মাছ প্রিয় ছিল বাপ্পিদার: স্মৃতিচারণায় জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
আরও পড়ুন: Bappi Lahiri Death: কাল সন্ধ্যাদি আজ বাপ্পিদা! ২০২২ এ কী নিয়ে এল: কুমার শানু
আরও পড়ুন: Bappi Lahiri Death: যখনই দেখা হত বলতেন, তুমি তো আমার জামাই: স্মৃতিচারণায় কৈশাল খের