Karishma Wedding Controversy: করিশ্মার জীবন শেষ করে দিয়েছে, জানেন কার দিকে উঠল আঙুল?
যদিও অতীত অন্য কথাই বলে। করিশ্মা কাপুর নাকি এই সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে মোটেও ভাল ছিলেন না। নানাভাবে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের শিকার হয়েছিলেন তিনি। তাই একটা সময় বাধ্য হয়েই তিনি বিচ্ছেদের পথ বেছে নেন বলেই জানা গিয়েছিল অতীতে।

শিল্পপতি সঞ্জয় কাপুরের অকালপ্রয়াণের পর তাঁর বিপুল সম্পত্তি এবং সংস্থার ভবিষ্যৎ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। বয়স মাত্র ৫৩, জুন মাসে আচমকা পোলোর মাঠে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন তিনি। রেখে গেলেন দুই সংসার, তিন সন্তান, আর কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি। সঞ্জয়ের প্রথম স্ত্রী অভিনেত্রী করিশ্মা কাপুর ও তাঁদের দুই সন্তান এখন এই সম্পত্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তার রয়েছেন। একইসঙ্গে সঞ্জয়ের বর্তমান স্ত্রী প্রিয়া সচদেব ও তাঁদের পুত্রসন্তানকে ঘিরেও তৈরি হয়েছে আইনগত ও পারিবারিক টানাপড়েন।
সম্প্রতি সঞ্জয়ের বোন মন্দিরা কাপুর এক সাক্ষাৎকারে বিস্ফোরক দাবি করেছেন, “প্রিয়াই করিশ্মার দাম্পত্যে বিষ ঢেলেছিল।” তিনি জানান, সঞ্জয়-করিশ্মার সংসার ভাঙার নেপথ্যে ছিলেন প্রিয়া। মন্দিরা দাবি, “প্রেম, সন্তান, সবই ছিল লোলোর (করিশ্মা) কাছে। কিন্তু অন্য এক সম্পর্ক সবকিছু নষ্ট করে দিল।”
তাঁর আরও অভিযোগ, “প্রিয়া এক মহিলার মা হওয়ার লড়াই বুঝতে পারেননি। ওঁর মধ্যে সহানুভূতির অভাব ছিল।” শুধু তাই নয়, তিনি দাবি করেন, কাপুর পরিবারের অধিকাংশ সদস্যই প্রিয়াকে মেনে নিতে পারেননি। এমনকি তাঁদের বাবা একপ্রকার নিষেধই করেছিলেন সঞ্জয়কে—প্রিয়াকে যেন তিনি বিয়ে না করেন।
বর্তমানে সঞ্জয়ের সংস্থা ও স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির মালিকানা ঘিরে শুরু হয়েছে আইনি লড়াই। করিশ্মা-প্রিয়ার সন্তানদের মধ্যে কে শেষমেশ উত্তরাধিকার পাবে, সে প্রশ্নের উত্তর সময় দেবে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে করিশ্মার সঙ্গে যে সঞ্জয়ের সম্পর্ক স্বাভাবিক হচ্ছিল, সে বিষয় ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। করিশ্মা কাপুর ও সঞ্জয় গোপনে ছুটি কাটাতেও গিয়েছিলেন। আর সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই শুরু নেটদুনিয়ায় শোরগোল।
যদিও অতীত অন্য কথাই বলে। করিশ্মা কাপুর নাকি এই সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে মোটেও ভাল ছিলেন না। নানাভাবে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের শিকার হয়েছিলেন তিনি। তাই একটা সময় বাধ্য হয়েই তিনি বিচ্ছেদের পথ বেছে নেন বলেই জানা গিয়েছিল অতীতে। যদিও এখন সঞ্জয়ের পরিবারের মুখে পাল্টাচ্ছে সুর। এখন দেখা, করিশ্মার দুই সন্তানের ভাগ্যে কী লেখা!
