পেট্রোল পাম্পে জালিয়াতি! কীভাবে ফারহানের পরিবারের ১২ কোটি উধাও, জানলে চমকে যাবেন
এই অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩১৮, ৪১৮ ও ৩(৫) ধারায় মামলা রুজু হয়েছে নরেশের বিরুদ্ধে। মুম্বই পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে, এবং এই প্রতারণায় আর কেউ জড়িত কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বলিউডের অন্দরে ইতিমধ্যেই এ ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

বলিউড অভিনেতা ও পরিচালক ফারহান আখতারের পরিবারে বড় বিপত্তি। আর্থিক জালিয়াতির শিকার এবার অভিনেতার পরিবার। অভিনেতার মা, প্রবীণ চিত্রনাট্যকার হানি ইরানির গাড়িচালক নরেশ সিং ও একটি পেট্রোল পাম্পের কর্মচারীর বিরুদ্ধে প্রায় ১২ লক্ষ টাকার জালিয়াতির অভিযোগ করলেন তাঁরা। বান্দ্রা থানায় এই মর্মে এফআইআর-ও দায়ের করা হয়েছে। জানাগিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে ফারহানের পরিবারের গাড়ির জ্বালানি কেনার নামে কার্ড সোয়াইপ করে লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করছিলেন ড্রাইভার নরেশ। আর তাকে এই প্রতারণায় সহায়তা করতেন বান্দ্রার এসভি রোড সংলগ্ন একটি পেট্রোল পাম্পের কর্মী অরুণ সিং।
বিষয়টা নজরে আসেন, যখন হানি ইরানির ম্যানেজার দিয়া ভাটিয়া গাড়ির জ্বালানির হিসাব যাচাই করতে গিয়ে দেখেন, সর্বোচ্চ ৩৫ লিটার তেল রাখতে সক্ষম মারুতি গাড়িতে একটানা ৬২১ লিটার ডিজেল ভরা হয়েছে বলে রেকর্ডে উল্লেখ রয়েছে। এতে সন্দেহ হলে তিনি বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেন এবং জানতে পারেন, নরেশ তিনটি বিভিন্ন কার্ড ব্যবহার করেছেন—সব ক’টি জাভেদ আখতারের নামে রেজিস্টার্ড।
তদন্তে উঠে আসে আরও বিস্ফোরক তথ্য—নরেশ নাকি ৭ বছর আগে বিক্রি হওয়া গাড়ির জন্যও জ্বালানি কেনার নামে কার্ড ব্যবহার করেছেন। নিজেই স্বীকার করেন, তিনি ২০২২ সাল থেকে কার্ডগুলি ব্যবহার করে নিয়মিতভাবে পেট্রোল পাম্পে কার্ড সোয়াইপ করতেন কিন্তু গাড়িতে তেল না ভরেই নগদ টাকা নিতেন। বদলে কর্মীরা তাকে হাজার, দেড় হাজার টাকা করে ফেরত দিতেন।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩১৮, ৪১৮ ও ৩(৫) ধারায় মামলা রুজু হয়েছে নরেশের বিরুদ্ধে। মুম্বই পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে, এবং এই প্রতারণায় আর কেউ জড়িত কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বলিউডের অন্দরে ইতিমধ্যেই এ ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
