দুই দিনের মধ্যে দিতে হবে ২৫ কোটি…কোন সমস্যার মুখে কপিল শর্মা?
একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মকে ২৫ কোটি টাকার লিগ্যাল নোটিস পাঠালেন প্রযোজক ফিরোজ এ. নাদিয়াদওয়ালা, হেরা ফেরি-র ‘বাবুরাও’ চরিত্রকে দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো-তে ব্যবহারের অভিযোগে। অক্ষয় কুমারের অংশগ্রহণে বহু প্রতীক্ষিত ফিনালের ঠিক আগেই, দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো আইনি জটিলতায় পড়েছে।

একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মকে ২৫ কোটি টাকার লিগ্যাল নোটিস পাঠালেন প্রযোজক ফিরোজ এ. নাদিয়াদওয়ালা, হেরা ফেরি-র ‘বাবুরাও’ চরিত্রকে দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো-তে ব্যবহারের অভিযোগে। অক্ষয় কুমারের অংশগ্রহণে বহু প্রতীক্ষিত ফিনালের ঠিক আগেই, দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো আইনি জটিলতায় পড়েছে। প্রযোজক ফিরোজ এ. নাদিয়াদওয়ালা ওটিটি এবং শোয়ের নির্মাতাদের বিরুদ্ধে ২৫ কোটি টাকার লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন, হেরা ফেরি ফ্র্যাঞ্চাইজির আইকনিক বাবুরাও গণপতরাও আপ্তে চরিত্রটি অনুমতি ছাড়াই ব্যবহারের অভিযোগে।
নাদিয়াদওয়ালা এক অফিসিয়াল বিবৃতিতে বলেন, “বাবুরাও কেবল একটি চরিত্র নয়, বরং হেরা ফেরির আত্মা। এই উত্তরাধিকার গড়ে উঠেছে আমাদের পরিশ্রম, দৃষ্টিভঙ্গি ও সৃজনশীলতার মাধ্যমে। পরেশ রাওয়ালজি এই চরিত্রে হৃদয় ও আত্মা ঢেলে দিয়েছেন। এটি কেউ বাণিজ্যিক লাভের জন্য ব্যবহার করতে পারে না। সংস্কৃতি কোনও শোষণের উপকরণ নয়, এটি সংরক্ষণের জন্য।” এই নোটিসে ওটিটি এবং শোয়ের প্রযোজকদের বিরুদ্ধে ১৯৫৭ সালের কপিরাইট আইন এর ধারা ৫১ অনুসারে কপিরাইট লঙ্ঘন এবং ট্রেডমার্ক আইনের ধারা ২৯ অনুসারে ট্রেডমার্ক লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলা হয়েছে। নাদিয়াদওয়ালার টিমের মতে, ‘বাবুরাও’ একটি রেজিস্টার্ড ট্রেডমার্ক, যার মালিকানা রয়েছে নাদিয়াদওয়ালা পরিবারের কাছে। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, কপিরাইট আইনের ধারা ১৪ অনুসারে এই চরিত্রকে চলচ্চিত্রে ব্যবহার এবং জনসমক্ষে উপস্থাপনের একচেটিয়া অধিকারও লঙ্ঘিত হয়েছে।
দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো-এর আসন্ন পর্বের প্রোমোতে দেখা গেছে, অক্ষয় কুমার শো-এর অন্যান্য চরিত্রদের সঙ্গে মজা করছেন, যেখানে কিকু শারদা ‘বাবুরাও’ সেজে এসেছেন। নাদিয়াদওয়ালার আইনি টিম দাবি করেছে, এই সংক্রান্ত সব ভিডিও ও কনটেন্ট নেটফ্লিক্স, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং তৃতীয় পক্ষের সব চ্যানেল থেকে অবিলম্বে সরিয়ে ফেলতে হবে। পাশাপাশি তারা লিখিতভাবে একটি প্রতিশ্রুতি চেয়েছেন যে ভবিষ্যতে অনুমতি ছাড়া এই চরিত্র ব্যবহার করা হবে না এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করতে হবে। প্রযোজক ফিরোজ এ. নাদিয়াদওয়ালা দুই দিনের মধ্যে ২৫ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ এবং আর্থিক ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। নোটিশে বলা হয়েছে, এই নির্দেশ মানা না হলে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলা করা হবে।
নাদিয়াদওয়ালার আইনি প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট সানা রইস খান বলেন, “আমার মক্কেলের আইকনিক চরিত্রের অনুমতি ছাড়া ব্যবহার শুধু কপিরাইট লঙ্ঘন নয়, এটি স্পষ্টভাবে বাণিজ্যিক লাভের উদ্দেশ্যে চুরি। এই অধিকারগুলো আইনত অর্জিত এবং কঠোরভাবে রক্ষা করা হয়েছে এবং এখন আমরা তা পুরো আইনি শক্তি দিয়ে রক্ষা করব। কেউই সৃজনশীল উত্তরাধিকারকে অবাধে ব্যবহারের অধিকার রাখে না।”
