বক্স অফিস কালেকশন নিয়ে কোমল নাহাটার বিস্ফোরক মন্তব্য
'স্কাই ফোর্স ' ছবির কথাই বলা যায়, ছবি যখন চলেনা, তখন পাঁচশ বাল্ক টিকিট কেটে প্রযোজক বলেন হল ভরিয়ে দাও, তবে মনে রাখতে হবে ছবির বিষয় ভালো না থাকলে ফ্রিতেও কেউ ছবি দেখতে যাবেনা। পাঁচশ টিকিট কাটলে, পঞ্চাশ জন দর্শকদের হলে জোর করে আনতে পারবে, তবে বাকি লোক জোগার করা অসম্ভব।

ছবির সামনে ‘হাউসফুল’ বোর্ড দেখতে কার না ভালো লাগে। তবে সম্প্রতি বলিউডের সাংবাদিক তথা বক্স অফিস অ্যানালিস্ট কোমল নাহাটা একটি পডকাস্টে এসে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন। তাঁর দাবি, “বক্সঅফিস কালেকশন নিয়ে চলছে ভাওতাবাজি।” তিনি জানিয়েছেন, ”বহু বছর ধরেই বক্স অফিস কালেকশন নিয়ে মিথ্যে রটনা চলে আসছে। কোনও ছবি পঞ্চাশ শতাংশ লাভ করলে, প্রযোজকরা বলে থাকেন আশি শতাংশ লাভ করেছে। বহুআগে থেকেই চলছে এই ম্যানুপুলেশন। প্রযোজক অভিনেতারা বলতেন এটা আদতে ছবির প্রোমোশন। যদিও আগে মাত্র দুই শতাংশ ম্যানুপুলেশন হত। সেটা আমরা মেনে নিতাম, তবে এখন তো পুকুর চুরি হচ্ছে , এখন প্রায় আটানব্বই শতাংশ ম্যানুপলেশন হয়।”
তিনি আরও বলেন, “এই যেমন, ‘স্কাই ফোর্স ‘ ছবির কথাই বলা যায়, ছবি যখন চলে না, তখন পাঁচশো বাল্ক টিকিট কেটে প্রযোজক বলেন হল ভরিয়ে দাও। তবে মনে রাখতে হবে ছবির বিষয় ভালো না থাকলে ফ্রিতেও কেউ ছবি দেখতে যাবেন না। পাঁচশো টিকিট কাটলে, পঞ্চাশ জন দর্শকদের হলে জোর করে আনতে পারবে, তবে বাকি লোক জোগাড় করা অসম্ভব। সেই কারণে ‘স্কাই ফোর্স’ এর মত ছবিতে, প্রেক্ষাগৃহে হাউসফুল বোর্ড থাকলেও হলে মাত্র চারজন দর্শক বসে থাকতে দেখা যায়, আর সেখানেই ভিডিও করে আমি জানিয়েছি। আসলে আগেও চুরি হত। তবে এখন সেটা বেড়েছে। ছবির প্রচারে একটু-আধটু বলাই যায়, ছবি ভালো চলছে। তবে হলে লোক নেই আর প্রযোজক টাকা দিয়ে হলের সব টিকিট কেটে হাউসফুল বলা চুরির সমান। ”
এই পডকাস্ট দেখে বাংলা ছবির দর্শকদের মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে , বাংলা ছবির ক্ষেত্রেও কি এমন কিছু ঘটনা ঘটে? উত্তর পাওয়া খুব কঠিন নয়। ছবির সাফল্য নিয়ে নয়-ছয় হতেই পারে, তবে তাতে কি সত্যি ছবির কোন উন্নতি হবে? ছবির প্রোমোশনের নামে জোর করে হাউসফুল বোর্ড ঝোলানোর বদলে যদি ছবির কন্টেন্ট নিয়ে মনোযোগী হন প্রযোজক-পরিচালকরা, তা হলে দর্শকরা হল ভরে ছবি দেখতে যাবেন। ভবিষ্যতে বাংলা ছবির ক্ষেত্রেও এই রকম কিছু ঘটছে কিনা সেই দিকে নজর থাকবে।
