‘মিথ্যাচার’, প্রাক্তন স্ত্রীর বিরুদ্ধে এবার আইনি পথে হাঁটলেন কুমার শানু
রীতা সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেন, অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালিন কুমার শানু ও তাঁর পরিবার তাঁকে প্রয়োজনীয় খাদ্য ও চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করেছিলেন। এই সব অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও মানহানিকর বলে দাবি করেছেন গায়ক, তার সেই কারণেই আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন রীতাকে।

জনপ্রিয় গায়ক কুমার শানু তাঁর প্রাক্তন স্ত্রীর বিরুদ্ধে এবার আইনি পদক্ষেপ করলেন। গায়কের প্রাক্তন স্ত্রী রীতা ভট্টাচার্যের সাম্প্রতিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আইনি পথে হাঁটলেন এবার গায়ক। রীতা সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেন, অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালিন কুমার শানু ও তাঁর পরিবার তাঁকে প্রয়োজনীয় খাদ্য ও চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করেছিলেন। এই সব অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও মানহানিকর বলে দাবি করেছেন গায়ক, তার সেই কারণেই আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন রীতাকে।
কুমার শানুর আইনজীবী সানা রইস খান এক বিবৃতিতে বলেন, “চার দশকের বেশি সময় ধরে কুমার শানু গানের মধ্যে দিয়ে মানুষকে বিনোদন দিয়েছেন। এমন একজন শিল্পীর সম্মানহানি করতে চাওয়া দুঃখজনক। এই ধরনের মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেব।” তিনি আরও বলেন, “কোনও ব্যক্তি বা মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের অধিকার নেই সম্মান ও পরিবারের মর্যাদা হানির মতো চটকদার খবর তৈরি করার। আমরা তা কিছুতেই মেনে নেব না।”
উল্লেখ্য, রীতা ভট্টাচার্য সিদ্দার্থ কাননের এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “তাঁরা (শানু ও তাঁর পরিবার) আমার সন্তানদের দুধও দিত না। চিকিৎসা থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছিল। এমনকি বন্যার সময় সন্তানদের খোঁজ নেওয়ার প্রয়োজনও বোধ করেননি তিনি।” তাঁর দাবি, বিবাহবিচ্ছেদের সময় তিনি মাত্র ১০০ টাকা পান। ফলে বেঁচে থাকার জন্য গয়না বিক্রি করতে হয়েছিল। শানুর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয় ১৯৮০ সালে, বিচ্ছেদ ১৯৯৪-এ। বর্তমানে শানু তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী সলোনি ভট্টাচার্য এবং দুই কন্যার সঙ্গে থাকেন। তবে এই অভিযোগ মেনে নিতে নারাজ গায়ক। ফলে এবার কড়া পদক্ষেপ করলেন তিনি।
