দশমীতে শোকের ছায়া, প্রয়াত কিংবদন্তি সঙ্গীত শিল্পী ছন্নুলাল মিশ্র
পণ্ডিত মিশ্র ২০১০ সালে পদ্মভূষণ এবং ২০২০ সালে পদ্মবিভূষণ সম্মানে ভূষিত হন। তিনি তাঁর এক পুত্র—তবলাবাদক রামকুমার মিশ্র এবং তিন কন্যাকে রেখে গেলেন। চার বছর আগে তাঁর স্ত্রী প্রয়াত হন। আজ বিকেল ৫টায় বারাণসীতে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।

দশমীতে মন খারাপের খবর। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের কিংবদন্তি শিল্পী পণ্ডিত ছন্নুলাল মিশ্র পাড়ি দিলেন না ফেরার দেশে। বৃহস্পতিবার ভোর ৪টায় উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরে তাঁর ছোট মেয়ের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন শিল্পী। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। সূত্রের খবর দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন।
বুধবার রাতে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, তবে প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করার খানিক পরই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। শিল্পীর কন্যা নম্রতা মিশ্রের কথায়, “গত ১৭-১৮ দিন ধরে বাবা অসুস্থ ছিলেন। আজ ভোররাতে আমাদের সবার সামনে বাড়িতেই তিনি চিরবিদায় নেন।”
আজমগড়ে ১৯৩৬ সালে জন্মগ্রহণ করা এই শিল্পী বেনারস ঘরানার একজন উজ্জ্বল প্রতিনিধি ছিলেন। খেয়াল, ঠুমরি, দাদরা, চৈতি, কাজরি ও ভজনসহ একাধিক শৈলীতে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। সঙ্গীতের প্রাথমিক শিক্ষা তিনি পান পিতা বদ্রি প্রসাদ মিশ্র, কিরানা ঘরানার ওস্তাদ আব্দুল গণি খান এবং ঠাকুর জয়দেব সিংয়ের কাছ থেকে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সোশ্যাল মিডিয়ায় শোকবার্তায় জানান। লেখেন, “ছন্নুলালজীর স্নেহ ও আশীর্বাদ পাওয়া আমার সৌভাগ্য। ২০১৪ সালে বারাণসী থেকে প্রার্থী হওয়ার সময় তিনি আমার প্রস্তাবকদের একজন ছিলেন।” পণ্ডিত মিশ্র ২০১০ সালে পদ্মভূষণ এবং ২০২০ সালে পদ্মবিভূষণ সম্মানে ভূষিত হন। তিনি তাঁর এক পুত্র—তবলাবাদক রামকুমার মিশ্র এবং তিন কন্যাকে রেখে গেলেন। চার বছর আগে তাঁর স্ত্রী প্রয়াত হন।আজ বিকেল ৫টায় বারাণসীতে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
