‘গন্দি বাত’– বাংলায় তর্জমা করলে দাঁড়ায় নোংরা কথা। এরকমই এক ওয়েব সিরিজ নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল গোটা দেশ। হয়েছিল আলোচনা সমলোচনাও। কিন্তু জনপ্রিয়তা পৌঁছেছিল শিখরে। এতটাই জনপ্রিয় হয়েছিল যে একটি-দুটি নয় পর পর বেশ কয়েকটি সিজন আনতে হয়েছিল এএলটি বালাজির ওই ওয়েব শো’কে। মাখোমাখো যৌনদৃশ্য, রগরগে সংলাপে ঠাসা ওই ওয়েব সিরিজ কি নেহাতই টিআরপি’র মোহ? গন্দি বাতের এক সিজনে অভিনয় করা ফ্লোরা সাইনি এই সিরিজ নিয়ে মুখ খুললেন টাইমস অব ইন্ডিয়ার কাছে।
ফ্লোরা সাফ জানান, ওই সিরিজ ছিল তাঁর কাছে এক চ্যালেঞ্জ। সিরিজটি তাঁকে দিয়েছে জনপ্রিয়তা। করতে হয়েছে শারীরিক পরিশ্রম। তাই তাঁকে যদি কেউ বলে থাকেন ওই রগরগে ওয়েব সিরিজের জন্যি তিনি বিখ্যাত হয়েছেন তা ফ্লোরা প্রশংসা হিসেবেই নেবেন। তাঁর কথায়, “আমার কোনও গডফাদার ছিল না। কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করা আমার কাছে ছিল ভীষণ বড় ব্যাপার। কেউ ভাবেনি আমি পরীক্ষামূলক ভাবেই কাজটা করেছি। এমন এক ইন্ডাস্ট্রি যেখানে সবাই সুন্দরী হতে চায় সেখান এমন এক ভিন্ন ধাঁচের চরিত্র বেছে নিলেও কেউ একটা বাক্যও খরচ করেনি।” সিরিজটি বোল্ড ছিল, তবে এই সিরিজি ২০১৮-তে সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরিজ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিল সেই কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন ফ্লোরা।
অনেকেই হয়তো জানেন না, রাজকুমার রাও ও শ্রদ্ধা কাপুর রচিত ‘স্ত্রী’ ছবিতে স্ত্রী অর্থাৎ সেই প্রেতিনীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ফ্লোরা। গোটা ছবি জুড়ে ভূতের মেকআপ ও ঘোমটায় মুখ ঢেকে থাকার ফলে গোটা ছবি জুড়ে তাঁর আসল মুখ দেখতে পাননি দর্শক। তাঁর কথায়, “টিভিতে কাজ করার ইচ্ছে ছিল সুযোগ হয়নি। ছবিতে ছোট ছোট চরিত্র পেলাম। অনেকেই বলেছিল স্ত্রীতে একবারও তোমার মুখ দেখলাম না। তাই এই অফার পেতেই করার সিদ্ধান্ত পেলাম।” ওটিটিতে যে তাঁর কাছে নয়া দিগন্ত খুলে দিয়েছে এ কথা স্বীকার করেই ফ্লোরা যোগ করেন, “হিরো-হিরোইনের কন্সেপ্টকেই ওটিটি ধূলিসাৎ করে দিয়েছে। প্রতিটি সিজনের মাঝে বিরতিও থাকে। মাঝে করা যায় অন্য কাজও।” গন্দি বাত তাঁকে পরিচয় দিয়েছে, দিয়েছে জনপ্রিয়তা। তিনি লজ্জিত নন একেবারেই, বরং বেশ গর্বিত।