‘আমি কি উদ্বাস্তু?’ ১০ পদের নীচে খেতে দিলেই রেগে যেতেন রাজেশ খান্না
রাজেশ খান্নার কাছের মানুষ অনিতা আডবাণী সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতার সম্পর্কে এমনই এক অজানা কাহিনি সামনে আনেন। যা শুনলে রীতিমতো অবাক হতে হয়।

বলিউডের প্রথম সুপারস্টার রাজেশ খান্নার অভিনয় ও জনপ্রিয়তা নিয়ে একটা সময় যতই আলোচনা হোক না কেন, তাঁর ব্যক্তিগত জীবনও ছিল রাজকীয়। রাজেশ খান্নার কাছের মানুষ অনিতা আডবাণী সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতার সম্পর্কে এমনই এক অজানা কাহিনি সামনে আনেন। যা শুনলে রীতিমতো অবাক হতে হয়।
অনিতার কথায়, অভিনেতার আশা ছিল প্রতিদিনের খাবারের টেবিলে রাজকীয় আয়োজন থাকবে। তিনি বলেন, “তাঁর বাড়িতে সবসময় ৬-৭ জন কর্মী থাকতেন এবং একজন রাঁধুনি তো সব সময় থাকতেনই। আমিও কখনও-কখনও ওনার জন্য রান্না করতাম। ওনার খুব পছন্দ ছিল ছোলে-ভাটুরা, তাই আমি সেটা শেখারও চেষ্টা করেছিলাম। উনি এই ধরনের খাবার খুব পছন্দ করতেন। এক কথায় বলতে গেলে, উনি বেশ খাদ্যরসিক ছিলেন”।
অনিতার কথায়, “যদি উনি পরোটা খেতে চাইতেন, তখন একটাই নয় – আলু, মুলো আর ফুল কপির আলাদা আলাদা পরোটা বানাতে বলতেন। সব পরোটা থেকে এক এক কামড় করে খেতেন।”
রজেশ খান্নার খাবারের তালিকায় কমপক্ষে দশটি পদ না থাকলে তিনি বেজায় রেগে যেতেন বলে জানান অনিতা। “প্রতিদিন ধোসা চাইতেন। আর যদি পদের সংখ্যাটা ১০টির কম হতো, তবে ওনার মেজাজ খারাপ হয়ে যেত। আমরা অনেক সময় বুঝতেই পারতাম না কীভাবে সামাল দেব,” বলেন তিনি।
তবে এই অতিরিক্ত খাবার কী হতো? রোজ নষ্ট হতো? প্রশ্ন করায় অনিতা বলেন, “না, বাড়ির কর্মচারীরাও একই খাবার খেতেন। আলাদা করে কিছু রান্না হতো না। সবাই একসঙ্গেই আনন্দ করে খাওয়া দাওয়া করতেন।” অনিতা আরও জানান, পদ বেশি না থাকলে রাজেশ খান্না মজা করেই বলতেন, ‘আমরা কি উদ্বাস্তু? যে আমাদের খাবারও ঠিকমতো দেয় না কেউ?’
তবে এত কিছুর পরও, অভিনেতা নিজে খুব বেশি খেতেন না। “অবশ্য শেষে এসে উনি মাত্র দুটি রুটি খেয়ে উঠে যেতেন। খেতে ভালবাসলেও তিনি আসলে অল্পই খেতেন, বরাবর” বলেন অনিতা।
