তিন বছর ধরে সঞ্চিত ডিম্বাণু থেকেই সন্তানের বাবা হচ্ছেন রাজকুমার রাও! মাতৃত্ব নিয়ে কী বললেন পত্রলেখা?
সোহা আলি খানের ইউটিউব চ্যানেলে এসে পত্রলেখা জানালেন, মা হওয়া যে কঠিন কাজ, তা নিজে না হলে বুঝতে হয়তো পারতাম না কোনওদিন। এই জার্নিটা যতটা সুখের অনুভূতি, ততটাই চ্যালেঞ্জিং।

জুলাই মাসেই সংসারে নতুন সদস্য আসার সুখবর দিয়েছিলেন বলিউডের তারকা জুটি রাজকুমার রাও এবং পত্রলেখা। সোশাল মিডিয়ায় জানিয়ে ছিলেন বিয়ের চারবছর পর মা-বাবা হচ্ছেন তাঁরা। অনুরাগীদের ও কাছের মানুষদের আশীর্বাদও চেয়েছিলেন রাজকুমার ও পত্রলেখা। আর এবার নিজের মাতৃত্ব নিয়ে মুখ খুললেন রাজকুমার ঘরনি।
সোহা আলি খানের ইউটিউব চ্যানেলে এসে পত্রলেখা জানালেন, মা হওয়া যে কঠিন কাজ, তা নিজে না হলে বুঝতে হয়তো পারতাম না কোনওদিন। এই জার্নিটা যতটা সুখের অনুভূতি, ততটাই চ্যালেঞ্জিং।
পত্রলেখা আরও জানান, তিন বছর আগে আমার ডিম্বাণু সঞ্চিত রাখা হয়েছিল। আমি আর রাজকুমার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। যখন আমরা মানসিক দিক থেকে প্রস্তুত থাকব, তখনই সন্তানকে পৃথিবীতে আনব। সেই কারণে তিন বছর ধরে ডিম্বাণু সঞ্চিত থাকার পর জুলাই মাসে সিদ্ধান্ত নিই এবার মা হওয়ার সময় এসেছে। তবে তখন বুঝিনি, মা হওয়ার প্রক্রিয়াটা এতটা চ্যালেঞ্জিং হবে। আমি ইয়ং জেনারেশনকে বলব, যদি মনে হয়, তাহলে সাধারণ প্রক্রিয়াতেই সন্তানকে পৃথিবীতে আনা উচিত। না হলে খুবই চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।
সালটা ২০১৪। ‘সিটি লাইট’ ছবিতে জুটি বেঁধেছিলেন রাজকুমার ও পত্রলেখা। সেই ছবির শুটিং ফ্লোর থেকেই শুরু রাজ ও পত্রলেখার প্রেম কাহিনি। তবে প্রেম বাড়লেও, সংসার শুরু করার ক্ষেত্রে দুজনেই নিয়েছিলেন যথেষ্ট সময়। এমনকী, সবার থেকে গোপনও রেখেছিলেন তাঁদের সম্পর্ক।
বহু আগে এক সাক্ষাৎকারে পত্রলেখা জানিয়ে ছিলেন, আলাপ আগে স্ক্রিনে রাজকুমারের অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়ে ছিলাম। তবে এক বিজ্ঞাপনে রাজকুমারকে দেখে মনে হয়েছিল, রাজই আমার স্বপ্নের পুরুষ। সেদিন থেকেই রাজকুমারকে ভাললাগা শুরু।
