Roopa Ganguly Exclusive: মেগা করলেও বন্যার সময় খিচুড়ি নিয়ে আমাকেই যেতে হবে: রূপা গঙ্গোপাধ্যায়
Rupa Ganguly Exclusive: বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ধারাবাহিকে ফিরছেন, এই মুহূর্তে টলি-পাড়ায় খবর এটাই। ধারাবাহিকের নাম 'মেয়েবেলা'। সেখানে তিনি মুখ্য চরিত্রে। তার মানে কি রাজনৈতিক কেরিয়ারে ইতি? মেগা মানে তো অনেক ঝক্কি। সময়ই বা বের হবে কী করে? TV9 বাংলার সঙ্গে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে রূপা।
বিহঙ্গী বিশ্বাস
প্রশ্ন: শুভেচ্ছা…
রূপা: কেন? (অবাক হয়ে)
প্রশ্ন: এই যে এতদিন পর ধারাবাহিকে …
রূপা: (হাসি) ওহ, সবাই জেনে গিয়েছে তা হলে
প্রশ্ন: অবাকও হয়েছে, কতদিন পর ফেরা হচ্ছে?
রূপা: আট বছর পরে। ২০১৫-তে আমার দু’একটা কাজ রিলিজ করেছিল। ২০১৪ সালে সে সবের শুটিং হয়। এর পর ডিসেম্বরে ঠিক করেছিলাম আর শুটিং করব না।
প্রশ্ন: তাহলে হঠাৎ সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেন যে… কোনও নির্দিষ্ট কারণ?
রূপা: (একটু ভেবে) না্। কোনও কারণ তো নেই। সুন্দরবনে বন্যা হলে খিচুড়ির হাঁড়ি নিয়ে আমাকে তো যেতেই হবে। মশারি নিয়েও হাজির হতে হবে। বাবার তো জমিদারি নেই। মানুষের জন্য কিছু না কিছু করতে পারার জন্যই তো জন্ম হয়েছে।
প্রশ্ন: ধারাবাহিকে সময় দেওয়ার ক্ষেত্রে অসুবিধে হবে না?
রূপা: না, না, একেবারেই নয়। আমি এটাও খুব মন দিয়ে করব। সুন্দরভাবে কাজ করব। আমার সময়ের ভাগটাও সুষ্ঠু ভাবে করা হবে, করা হয়েছে। বহু বছর ধরে বহু বন্ধুআবার অভিনয়ের কথা বলছিল। এই মুহূর্তে হাতে একটু সময় রয়েছে। সেই কারণেই ধারাবাহিকে কাজের সিদ্ধান্ত।
প্রশ্ন: ধারাবাহিকের ট্যাগলাইন বলছে ‘মেয়েরা মেয়েদের শত্রু’, আপনি সহমত?
রূপা: কিছুটা তো বটেই। বহু বছর ধরে সেটা ভাঙারই প্রচেষ্টা চলছে। কিছু জায়গায় সফলতা লাভ করা গিয়েছে, কিছু জায়গায় চেষ্টা চলছে। তবে এই ধারাবাহিকের ক্ষেত্রে ওই একটা লাইন ধরে নিলেই চলবে না। ধারাবাহিকটি বৈচিত্র্য রয়েছে অনেক।
প্রশ্ন: শহরে চলচ্চিত্র উৎসব চলছে, মিঠুন চক্রবর্তী আমন্ত্রণ পাননি। আর আপনি?
রূপা: অনেক বছর ধরে এই সব আমন্ত্রণ পাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাতে সত্যিই আমার কিছু যায় আসে না। বরং আমি তো বলব ভালই হয়েছে। পোস্টারে ভরা সাদা-নীল দেখতে তো আর আমি উৎসবে যাব না। যদি ইচ্ছে থাকত, তবে টিকিট কেটেও যেতে পারতাম। পাস জোগাড় করেও যেতে পারতাম। কেউ তো আমায় আটাকাত না। কিন্তু আগ্রহই নেই আমার। কথা হচ্ছে, আমন্ত্রণ জানানোর মতো যে ভদ্রতাবোধ, সেটা ওদের নেই। কমিটি থেকে অনেককে বাদ দিয়েছে, যাদের মুখের কথা ওদের পছন্দ হয়নি। আসলে এখন সবটাই রাজনীতি। সবটাই রঙ দেখে করা হয়।