মাধ্যমিক না দিয়েও কীভাবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েন চিরঞ্জিত?
Chiranjit Chatterjee: যে সময় বোর্ডের পরীক্ষা দিয়েছিলেন অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তী, সেই সময় দশম শ্রেণির মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুই হয়নি। ক্লাস ইলেভেনের ইন্টারমিডিয়েট হত। সেই বোর্ডের পরীক্ষায় কত নম্বর পেয়েছিলেন অভিনেতা, জানলে চোখ কপালে উঠে যেতে পারে।
মিত্র ইনস্টিটিউশন। কলকাতার নামকরা স্কুল। সেই স্কুলে পড়তেন অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। ভাল ছাত্র ছিলেন তিনি। পরবর্তীকালে ভর্তি হয়েছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। জয়েন্টে দুর্দান্ত ব়্যাঙ্ক করে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ঢুকেছিলেন জেইউতে। আজ, ২ মে, মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত হয়েছে। TV9 বাংলা ডিজিট্যালের ওয়েবসাইটে রোল নম্বর দিয়ে ছাত্রছাত্রীরা জেনে নিয়েছে ফলাফল। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় স্থানাধিকারীরা জানিয়েছে তাদের প্রতিক্রিয়া। এ সব দেখে সাধারণ মানুষের মতো স্মৃতির সরণি দিয়ে হেঁটেছেন তারকারাও। বিশেষ করে চিরঞ্জিতের মতো মেধাবী তারকারা। TV9 বাংলা নম্বর ডায়েল করে চিরঞ্জিতের।
চিরঞ্জিত যা বললেন…
ফোন পাওয়া মাত্রই চিরঞ্জিতের কণ্ঠের উৎফুল্লভাব ধরা পড়ল। প্রথমেই মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ সকল ছাত্রছাত্রীকে অভিনন্দন জানালেন চিরঞ্জিত। তারপর হাঁটলেন ফেলে আসা সময়ের রাস্তা দিয়ে। বললেন, “আপনি তো আমাকে নস্ট্যালজিক করে দিলেন।” তারপরই চিরঞ্জিতের পরিচিত রসিকতা, “আমি তো রামচন্দ্রের যুগে বোর্ড পরীক্ষা দিয়েছি। সেই সময় মাধ্যমিক ছিল না।” চিরঞ্জিত বোর্ডের পরীক্ষা দিয়েছিলেন ১৯৬৭ সালে। সেই সময় সত্যি মাধ্যমিক ছিল না। ছিল ইন্টারমিডিয়েট। ক্লাস ইলেভেনের পরীক্ষাটাই প্রধান ছিল। সেটাই ছিল বোর্ড। চিরঞ্জিত বললেন, “আমি জানেন, ভালই ছিলাম পড়াশোনায়। ৬৬০ নম্বর পেয়েছিলাম ৮০০তে। ওই সময় আমাদের স্কুল মিত্র ইনস্টিটিউশনের রেকর্ড রেজ়াল্ট হয়েছিল। ওটা কেউ বিট করতে পারেনি।”
এই খবরটিও পড়ুন
কীভাবে রেজ়াল্ট ভাল হয়েছিল চিরঞ্জিতের, সেটাও অভিনেতার কাছে গল্প করার মতো বিষয়। বাড়ির পাশে এক পড়ুয়া থাকতেন। চিরঞ্জিতের ঘর থেকে তাঁর পড়ার ঘর দেখা গেলেও, তাঁর ঘর থেকে চিরঞ্জিতের ঘরটা দেখা যেত না। চিরঞ্জিতের টার্গেট ছিল, সেই পড়ুয়ার ঘরের আলো নিভলে তবেই তাঁর ঘরের আলো নেভাবেন। অর্থাৎ, পড়া শেষ করবেন। সেটা করতে গিয়েই বেশি পড়ে ফেলতেন। চিরঞ্জিত বলেছেন, “এটা একটা মজার বিষয় ছিল। আমার কিন্তু ওই জন্যই রেজ়াল্ট ভাল হয়েছে।”
এখনও স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ আছে অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর। মন খুলে বললেন, “আমার স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে এখনও যোগাযোগ রেখেছি। আমাদের একটা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ আছে। সেটার নাম–মিত্র আসর!”