তুখোড় অভিনেত্রী। ৮৪ বছর বয়স। তবে সেটি কেবলই একটি নম্বর মাত্র। তিনি আগেও যেমন দাপুটে ছিলেন, এখনও তেমনই আছেন। সমহিমায় অভিনয় করে চলেছেন। তিনি অসামান্য, কাউকে ডরান না… বরং তিনি স্ক্রিনে থাকলে বাকিদের বুক দুরুদুরু। সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। অভিনয়ের প্রসঙ্গ টানলে তাঁর জন্য ব্যবহৃত প্রশংসার সমস্ত বিশেষণ হয়তো ফুরিয়ে যাবে। কিন্তু ফুরোয়নি তাঁর অভিনয়। লড়ে চলেছেন আজও। কখনও ধারাবাহিকে। কখনও সিনেমায়। স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবিতেও রয়েছেন। যেমন ধরুন, ‘ধূসর গোধূলি’। ইংরেজিতে যার নাম (ক্যানভাস অফ মেমরিজ়)। একটি ছোট আকারের ছবি। কিন্তু তাতে কী, সাবিত্রী সেখানেও অসামান্যা। ছবি তৈরি হয়েছে অনেক আগেই। ইতিমধ্যে দেহরাদুন, চণ্ডীগড়, কলকাতা, লন্ডন, লস অ্যাঞ্জেলেসের বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে উচ্চ প্রশংসিত হয়েছে ছবিটি। পেয়েছে পুরস্কারও।
সেই শর্ট ফিল্মের মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। তাঁর চরিত্রের নাম স্মৃতিকণা। সংসার সীমান্তে দাঁড়িয়ে থাকা এক বৃদ্ধা মা। তাঁর মনের মধ্যে জমে রয়েছে সূক্ষ্ম অনুভূতি। সেই অনুভূতির সুতোয় বোনা এক মর্মস্পর্শী সম্পর্কের গল্প বলতে চেয়েছেন পরিচালক প্রিয়দর্শী বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই ছবিতেই সাবিত্রী, থুড়ি স্মৃতিকণার প্রতিবেশির চরিত্রে অভিনয় করেছেন কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। চরিত্রের নাম সম্পূর্ণা। পুত্রবধূ ইপ্সিতার চরিত্রে অভিনয় করেছেন সম্পূর্ণা রায়। গল্পে রয়েছে এক শিশুশিল্পী সার্থক মুখোপাধ্যায়। রয়েছেন অভিজিৎ মজুমদার, বিক্রম কুমারের মতো অভিনেতারাও। শর্টফিল্মের অন্যতম ইউএসপি গান। রবীন্দ্রসঙ্গীত গেয়েছেন জয়তী চক্রবর্তী। ছবির প্রযোজনা করেছেন প্রণব চন্দ্র।
বাংলা থিয়েটার ও সিনেমার উজ্জ্বল মুখ সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে অভিনয় করছেন তিনি। কোনও বিরাম নেই তাঁর। সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার, বঙ্গবিভূষণ, পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হয়েছেন অনেক আগেই।
আরও পড়ুন: EXCLUSIVE-IPL-Bengali Composer: আইপিএল-এর নতুন দলের লোগো থিম মিউজ়িকের দায়িত্ব এক বাঙালির কাঁধে
আরও পড়ুন: Amitabh-Abhishek-Milind: কেরিয়ারের শুরুতে প্রোডাকশন বয় ছিলেন অভিষেক!
আরও পড়ুন: Actor Mainak Banerjee Marriage: কোনও অভিনেত্রী নন, এক গাড়ির ডিজ়াইনারকে বিয়ে করছেন মৈনাক