‘জিত্ বহুদিনের বন্ধু হলেও একসঙ্গে ছবি করছি প্রথমবার’, এবার জিত্-টোটা জুটি
অভিনেতা টোটা রায় চৌধুরীর সময়টা বেশ ভাল যাচ্ছে। টলিউড থেকে বলিউডের বিভিন্ন প্রজেক্টে দেখা মিলছে তাঁর। সিনেমা থেকে ওয়েব সিরিজে বিভিন্ন চরিত্র করে মাতিয়ে রাখছেন অভিনেতা। হিন্দি ছবি 'রকি অউর রানি কি প্রেম কাহিনি' থেকে নতুন করে দর্শকদের ভালবাসা পেয়েছেন তিনি। হিন্দি সিরিজ বা বাংলায় সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত সিরিজে ফেলুদার চরিত্রে সকলের মন জয় করেছেন অভিনেতা । এবার খবর বাংলা সিনেমার সুপারস্টার জিতের বিপরীতে দেখা যাবে তাঁকে। ছবির নাম ' কেউ বলে বিপ্লবী কেউ বলে ডাকাত '।

অভিনেতা টোটা রায় চৌধুরীর সময়টা বেশ ভাল যাচ্ছে। টলিউড থেকে বলিউডের বিভিন্ন প্রজেক্টে দেখা মিলছে তাঁর। সিনেমা থেকে ওয়েব সিরিজে বিভিন্ন চরিত্র করে মাতিয়ে রাখছেন অভিনেতা। হিন্দি ছবি ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহিনি’ থেকে নতুন করে দর্শকদের ভালবাসা পেয়েছেন তিনি। হিন্দি সিরিজ বা বাংলায় সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত সিরিজে ফেলুদার চরিত্রে সকলের মন জয় করেছেন অভিনেতা । এবার খবর বাংলা সিনেমার সুপারস্টার জিতের বিপরীতে দেখা যাবে তাঁকে। ছবির নাম ‘ কেউ বলে বিপ্লবী কেউ বলে ডাকাত ‘। এই ছবিতে একজন পুলিশ অফিসারের চরিত্রে দেখা যাবে টোটা রায় চৌধুরীকে। তাঁর চরিত্রের নাম দুর্গা রায়।
এই বিষয়ে টোটা রায় চৌধুরীর সঙ্গে TV 9 বাংলা যোগাযোগ করলে তিন জানান, একের পর এক ভালো চরিত্র পাওয়ার জন্য তিনি খুশি। এই ছবির চরিত্র নিয়ে তিনি বললেন, “একজন অভিনেতা হিসেবে আমি সবসময় চিত্রনাট্যকেই প্রাধান্য দিয়েছি। ‘কেউ বলে বিপ্লবী কেউ বলে ডাকাত’ গল্পটা পড়ার পরই বুঝেছিলাম, এর মধ্যে সেই দৃঢ়তা ও গভীরতা রয়েছে যা আমি খুঁজছিলাম। আমার চরিত্রটির অনেকগুলো স্তর রয়েছে, যেখানে কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য আর সূক্ষ্মতা রয়েছে—যা আমাকে সত্যিই আকর্ষণ করেছে। আমি সবসময় পরিচালক পথিকৃতের (বসু) কাজ পছন্দ করেছি। এই প্রজেক্টে ওঁর সঙ্গে কাজ করতে পারছি বলে খুব ভালো লাগছে। সর্বোপরি, জিৎ আর আমি বহুদিনের বন্ধু হলেও, একসঙ্গে কাজ করা হয়নি। আমি আনন্দিত যে এই ছবি অবশেষে আমাদের প্রথমবারের মতো একসঙ্গে পর্দায় নিয়ে আসছে।”
এই ছবির পরিচালক পথিকৃৎ বসুর কথায়, , তিনি টোটা রায় চৌধুরীর বড় অনুরাগী। পরিচালক সেই কারণে খুব উচ্ছ্বসিত যে তাঁর ছবিতে টোটা রায় চৌধুরীকে পাবেন। ছবিতে টোটার চরিত্রকে অ্যাকশন করতে দেখা যাবে। ছবিটির শুটিং শুরু হবে আর কিছুদিনের মধ্যেই।
প্রসঙ্গত, এই ছবির গল্প ১৯৬০-এর দশকের কলকাতার পটভূমিতে নির্মিত। ছবির প্রধান চরিত্র অনন্ত একজন রহস্যময় ব্যক্তি, যিনি একজন ডাকাত নাকি একজন বিপ্লবী, সেই চিত্র তুলে ধরবে ছবিটা। স্বাধীনতার পর, সামাজিক দুর্নীতি এবং সাধারণ মানুষের শোষণের দ্বারা হতাশ হয়ে, তিনি বঞ্চিতদের মধ্যে সম্পদ পুনর্বণ্টন করার সিদ্ধান্ত নেন। ব্যাংক ডাকাতি করা এবং শক্তিশালী ব্যক্তিত্বদের থেকে কী পাওয়া যেতে পারে, সেদিকে নজর দিয়েছিলেন। ইন্সপেক্টর দুর্গা রায়ের নেতৃত্বে পুলিশ যখন তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করে, তখন অনন্তের সূক্ষ্ম পরিকল্পনা এবং সামরিক দক্ষতা তাকে এগিয়ে রাখে। পুলিশের কাজ কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু অনন্ত কেন এমন পদক্ষেপ করলেন? এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে তার অতীত, তার সহকর্মীদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার জন্য প্রতিশোধ নেওয়ার গল্প। শেষে অনন্তের কর্মকাণ্ড ন্যায়বিচার এবং অপরাধের মধ্যে অস্পষ্ট রেখাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
