AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

শত ব্যস্ততার মাঝেও পুজোয় এই কাজ অবশ্যই করতেন উত্তম কুমার

বর্তমানে মহানায়কের পুত্র গৌতম চট্টোপাধ্যায়, নাতি গৌরব চট্টোপাধ্যায় এবং অন্যান্য পরিবারের সদস্যরা এই পুজোর দায়িত্ব সামলান। পুজোটি ঘরোয়া হলেও সাধারণ মানুষ এবং উত্তমপ্রেমীদের জন্য তা বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। প্রতি বছর বহু দর্শনার্থী এই বাড়ির পুজো দেখতে আসেন।

শত ব্যস্ততার মাঝেও পুজোয় এই কাজ অবশ্যই করতেন উত্তম কুমার
| Edited By: | Updated on: Sep 28, 2025 | 7:00 PM
Share

বাংলা সিনেমার মহানায়ক উত্তম কুমার শুধু রূপালি পর্দার নায়কই নন, তিনি বাঙালির আবেগের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা এক চিরন্তন নাম। বাংলার সংস্কৃতি কালচারের সঙ্গে তিনি ভীষণ জড়িত থাকতে পছন্দ করতেন। সে আচার অনুষ্ঠান হোক কিংবা পুজো, ফ্যাশন হোক কিংবা সংস্কার, তিনিই যেন আদর্শ বাঙালির প্রতিচ্ছবি। তাঁর পরিবারের দুর্গাপুজোও ঠিক ততটাই ঐতিহ্যবাহী। দক্ষিণ কলকাতার টালিগঞ্জের মোহনবাগান লেনে অবস্থিত উত্তম কুমারের পৈতৃক বাড়ি, যেখানে প্রতিবছর হয়ে থাকে এই পারিবারিক দুর্গাপুজো।

এই পুজোর সূচনা হয়েছিল প্রায় ৮০ বছর আগে, উত্তম কুমারের দাদু ও পিতা যৌথভাবে শুরু করেছিলেন এই দুর্গোৎসব। পরে উত্তম কুমার নিজেই এই পুজোর কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠেন। শুটিং ও অন্যান্য ব্যস্ততার মাঝেও তিনি পুজোর সময় চেষ্টা করতেন বাড়িতে থাকতে। বিশেষ করে অষ্টমীর অঞ্জলি ও সন্ধিপুজোয় উত্তম কুমার নিজে উপস্থিত থাকতেন এবং পুজোর বিভিন্ন কাজে অংশ নিতেন।

বর্তমানে মহানায়কের পুত্র গৌতম চট্টোপাধ্যায়, নাতি গৌরব চট্টোপাধ্যায় এবং অন্যান্য পরিবারের সদস্যরা এই পুজোর দায়িত্ব সামলান। পুজোটি ঘরোয়া হলেও সাধারণ মানুষ এবং উত্তমপ্রেমীদের জন্য তা বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। প্রতি বছর বহু দর্শনার্থী এই বাড়ির পুজো দেখতে আসেন।

পুজোর দিনগুলোয় উত্তম কুমারের ছবির সামনে ভক্তরা ফুল দেন, প্রণাম করেন। পরিবারের সদস্যদের কথায়, “এই পুজো আমাদের কাছে শুধু ধর্মীয় আচার নয়, মহানায়কের স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার এক রীতিও বটে।” পুজোর ভোগ রান্না, ধুনুচি নাচ, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা—সবকিছুতেই সেই পুরোনো সাবেকিয়ানা ধরে রাখার প্রথা বর্তমান। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাল্টেছে অনেককিছুই। তবে উত্তমের বাড়ির এই পুজো সাধারণের কাছে আজও সমান আবেগের জায়গা হয়েই রয়ে গিয়েছে।