কাউকে বুঝতে দেননি, মধ্য রাতে টানা ২ ঘন্টা ধরে এই কাজ করে চলেন মিঠুন, তারপর…
‘ইনি যে মিঠুন চক্রবর্তী?’ গর্বের সঙ্গে সেদিন জনি লিভার জানিয়েছিলেন, মিঠুন চক্রবর্তী ঠিক এতটাই সহজ মানুষ। যিনি বিনা প্রতিবাদে টানা ২ ঘণ্টা অত্যাচার হাসি মুখে সহ্য করেছিলেন।

বলিউডের অন্দরমহলে এমন অনেক গল্প রয়েছে, যা আজও দর্শকদের কাছে অজানা। নানা সময় ক্যামেরার সামনে সেলেবরা তেমনই নানা খবর শেয়ার করে থাকেন। তেমনই ব্যাড বয় ছবির প্রচারে ব্যস্ত তখন মিঠুন চক্রবর্তীর ছেলে নমোশি চক্রবর্তী। ছবির প্রচারে কখনও মুম্বই, কখনও আবার পৌঁছে যাচ্ছিলেন কলকাতায়। বাবার শো ডান্স বাংলা ডান্সও বাদ পড়েনি তাঁর প্রচার তালিকা থেকে। সেখানেই একবার জনি লিভারকে নিয়ে হাজির হতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। যেখানে জনি লিভার তাঁর চেনা লুকেই ধরা দিয়েছিলেন। জনি লিভার মানেই পর্দায় এক হাসির আমেজ। রসিকতা যাঁর মজ্জায় মজ্জায়। বলিউডে বহু বছরের তাঁর সফর। দেখেছেন মিঠুন চক্রবর্তীর যুগকেও, আবার তাঁর ছেলের সঙ্গেও পর্দায় কাজ করছেন তিনি। তবে দীর্ঘ এই সফরে জমা হতে থাকা হাজারও স্মৃতি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই না বলা থেকে যায়। তেমনই এক কাহিনি এবার সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিতে দেখা গিয়েছিল জনি লিভার।
‘ইনি যে মিঠুন চক্রবর্তী?’ গর্বের সঙ্গে সেদিন জনি লিভার জানিয়েছিলেন, মিঠুন চক্রবর্তী ঠিক এতটাই সহজ মানুষ। যিনি বিনা প্রতিবাদে টানা ২ ঘণ্টা অত্যাচার হাসি মুখে সহ্য করেছিলেন। মিঠুন চক্রবর্তী বরাবরই সকল স্টারের খুব কাছের মানুষ। যাঁকে সহজের সবটা বলা যায়, যাঁর মধ্যে স্টার সুলভ আচরণ এক কথায় নেই বললেই চলে। একবার রাতে সকলকে না জানিয়ে টানা ২ ঘণ্টা তিনি প্রত্যেককেই জাগিয়ে রেখে ডিজের কাজ করে। সকলে নাচতেও শুরু করে। একের পর এক গানের অনুরোধ তিনি রেখে যাচ্ছিলেন সেদিন। অবশেষে সকলে খুশি হয়ে জিজে-কে ৫০০ টাকা দিতে গেলে টুপি খুলে মারতে ছোটেন ডিজে, কারণ তিনি অন্যকেউ ছিলেন না, ছিলেন খোদ মিঠুন চক্রবর্তী। পরবর্তীতে যখন সেই ব্যক্তি লজ্জায় পড়ে যান, মিঠুন চক্রবর্তী হাসি মুখেই তাঁকে কাছে টেনে নিয়েছিলেন।
