AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

মেনে নিতে পারেননি উত্তমের মা, তবুও সাহস করে বলতে পারেননি কোন কথা?

উত্তম কুমারের মায়ের বাবার মুখের ওপর উত্তর দেওয়ার ক্ষমতাই ছিল না। নিজের আত্মজীবনী লিখতে গিয়ে শৈশবে মায়ের মুখে শোনা এমনই অনেক গল্প মহানায়ক তুলে ধরেছিলেন ‘আমার আমি’ বইটিতে।

মেনে নিতে পারেননি উত্তমের মা, তবুও সাহস করে বলতে পারেননি কোন কথা?
| Edited By: | Updated on: Sep 05, 2025 | 2:55 PM
Share

উত্তর কুমার। বাংলা ও বাঙালির কাছে এই নাম যেন নস্ট্যালজিয়া। যাঁকে নিয়ে আজও আপামর বাঙালি পরতে-পরতে আবেগে ভাসেন। পর্দায় তাঁর উপস্থিতি মানেই পর্দার স্বর্ণযুগ। তবে জানেন কি, যে উত্তম কুমারের নাম আজ বাঙালির মনে প্রাণে জড়িয়ে, সেই উত্তম কুমারের নাম (অরুণকুমার) মোটেও তাঁর মা চপলাদেবীর মোটেও পছন্দের ছিল না। নামটি ভালবেসে রেখেছিলেন তাঁর বাবা। অর্থাৎ উত্তম কুমারের দাদু। নাম পছন্দ না হলেও উত্তম কুমারের মায়ের বাবার মুখের ওপর উত্তর দেওয়ার ক্ষমতাই ছিল না। নিজের আত্মজীবনী লিখতে গিয়ে শৈশবে মায়ের মুখে শোনা এমনই অনেক গল্প মহানায়ক তুলে ধরেছিলেন ‘আমার আমি’ বইটিতে।

আর সেই স্মৃতিতে ফিরে উত্তম কুমার নিজেই লেখেন, তাঁদের বাড়ির কুলগুরুদেব শ্রীপূর্ণসন্ন্যাসী তাঁকে দেখা মাত্রই কী বলেছিলেন? উত্তম কুমার লেখেন, “কাহিনিটুকু বলতে গিয়ে মায়ের মুখে কেমন যেন ভাবান্তর লক্ষ করলাম। মায়ের সর্বাঙ্গে যেন শিহরণ খেলে গেল। আমি খুব অবাক হলাম। বিস্মিত হলাম। মা বেশ গর্বের সঙ্গে বললেন, গুরুদেব তোর গায়ে হাত রেখেই বলেছিলেন– মা, এই হাসিতে তোর ছেলে একদিন তোদের সবাইকে ভোলাবে। গোটা বাংলাদেশকে মাতাবে। আর তোর বাবার দেওয়া নামের জন্য তোর মনে যে দুঃখ আছে তা থাকবে না। দেখিস, এই নামেই ও একদিন সারা বিশ্বে স্বীকৃতি পাবে।”

উত্তম কুমারের পরিবারের সেই কূলগুরুদেবের সেই ভবিষ্যৎবাণী অক্ষরে-অক্ষরে সত্যি হয়ে যায়। গুরুদেবের সেই কথা শুনে পলকে নাম নিয়ে স্বস্তি পেয়েছিলেন মহানায়কের মা। আজও তাঁর সেই ভূবণ ভোলানো হাসি সকলের মনে দাগ কেটে যায়। তিনি চিরদিনের সুপারস্টার। যুগের পর যুগ যায়, বহু অভিনেতা-অভিনেত্রী সিনেমা জগতে দাপটে সঙ্গে জায়গা করে নিয়েছেন। তবুও তাঁর জায়গা আজও অধরা। তিনি তো স্টারেরদেরও স্টার। বাংলার মহানায়ক।