Diabetes in Children: ছোট বয়সেই ডায়াবেটিসের শিকার? সন্তানের রোজের পাতে এই ৫ খাবার রাখতে ভুলবেন না
Foods for Blood Sugar: শুধুমাত্র বয়স বাড়লেই যে টাইপ ২ ডায়বেটিসের ঝুঁকি বাড়ে, এমন নয়। অস্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল, খাদ্যাভ্যাস, শরীরচর্চার অভাব, বাড়তি ওজন—এই সব কিছুর জেরে বাড়তে পারে টাইপ ২ ডায়বেটিস। ছোট বয়স থেকে উচ্চ ক্যালোরি, চিনি, ফ্যাট যুক্ত খাবার যদি বেশি করে খেতে থাকে, কোনওভাবেই আটকাতে পারবেন না ডায়াবেটিসকে।
বিশ্বজুড়ে ৫৩০ মিলিয়ন প্রাপ্তবয়স্ক ডায়াবেটিসে ভুগছেন। তাদের মধ্যে ৯৮% টাইপ-২ ডায়াবেটিসের শিকার। কিন্তু জানেন কি, বর্তমানে কত শতাংশ শিশু টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত? প্রায় ৬৫২ হাজার বাচ্চা। টাইপ-১ ডায়াবেটিস হল এমন একটি শারীরিক অবস্থায়, যেখানে শরীর ইনসুলিন হরমোন উৎপাদন করতে পারে না। এতে শরীরের প্রতিটা কোষে পর্যাপ্ত পরিমাণ শর্করা পৌঁছায় না এবং প্রয়োজনীয় শক্তিও উৎপন্ন হয় না। প্রতি ১ লক্ষ শিশুর মধ্যে ৩ জন শিশু টাইপ ১ ডায়বেটিস রোগের শিকার। টাইপ ১ ডায়বেটিসকে প্রতিরোধ করা ক্ষমতা কারও হাতে থাকে না। কিন্তু আপনি সন্তানকে টাইপ ২ ডায়বেটিসের হাত থেকে বাঁচাতে পারেন।
শুধুমাত্র বয়স বাড়লেই যে টাইপ ২ ডায়বেটিসের ঝুঁকি বাড়ে, এমন নয়। অস্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল, খাদ্যাভ্যাস, শরীরচর্চার অভাব, বাড়তি ওজন—এই সব কিছুর জেরে বাড়তে পারে টাইপ ২ ডায়বেটিস। ছোট বয়স থেকে উচ্চ ক্যালোরি, চিনি, ফ্যাট যুক্ত খাবার যদি বেশি করে খেতে থাকে, কোনওভাবেই আটকাতে পারবেন না ডায়াবেটিসকে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে বাচ্চারই ক্ষতি। তাই ছোট বয়স থেকে কোন-কোন খাবার রোজ খাওয়ালে সুগারের ঝুঁকি কমবে, জেনে নিন।
আপেল: উচ্চ ফাইবারের পাশাপাশি ভিটামিন সি-তে পরিপূর্ণ আপেল। এই ফলের মধ্যে পলিফেনম রয়েছে, যা টাইপ-২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সক্ষম। আর বাচ্চাদের মধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতেও সহায়ক আপেল।
এই খবরটিও পড়ুন
গাজর: ডায়াবেটিসে রোগীদের মিষ্টি স্বাদের আনাজ থেকেও দূরে থাকাই ভাল। কিন্তু বাচ্চাদের ডায়েটে সব রকম খাবার রাখাই ভাল। উচ্চ পরিমাণ কার্বোহাইড্রেটেড থাকা সত্ত্বেও গাজর ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য উপকারী। গাজরে স্টার্চ নেই, তাই এই আনাজ খাওয়া যায়।
কমপ্লেক্স কার্বস: দানাশস্য, ব্রাউন রাইস, ওটস, বার্লি, কিনোয়ার মতো খাবারগুলো বাচ্চাদের জন্য উপকারী। আর যদি আপনার সন্তান ইতিমধ্যেই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়, সেক্ষেত্রে এসব দানাশস্যের পাশাপাশি মিষ্টি আলু, ভুট্টা, ডাল, বিনস, রাজমা, কাবুলি চানা এসব ডায়েটে রাখতে পারেন। ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইবারের পাশাপাশি এতে কমপ্লেক্স কার্বস রয়েছে।
চিয়া সিড: এই বীজের মধ্যে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ভিটামিন, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। টাইপ-২ ডায়াবেটিসে ভুগলে চিয়া সিডকে অবশ্যই ডায়েটে রাখুন।
টক দই: অন্ত্রে ভাল ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বাড়ানো থেকে শুরু করে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে টক দই। প্রোবায়োটিকের সমৃদ্ধ উৎস টক দই ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্যও উপকারী।