Apple Cider Vinegar: রোজ সকালে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার দিয়ে দিন শুরু করেন? পড়তে পারেন এই ৫ জটিল সমস্যায়…

Apple Cider Vinegar Side Effects: নিয়মিত ভাবে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায়। এছাড়াও ওজন কমানো থেকে শুরু করে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ একাধিক সমস্যার সমাধান হয়। হতে পারে গ্যাস্ট্রোপেরেসিস

Apple Cider Vinegar: রোজ সকালে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার দিয়ে দিন শুরু করেন? পড়তে পারেন এই ৫ জটিল সমস্যায়...
কেন খাবেন অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 28, 2022 | 11:18 AM

ওজন কমাতে বেশ কয়েক বছর ধরে ট্রেন্ডিং এ রয়েছে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার। জেলা, রাজ্য, দেশ থেকে শুরু করে বিদেশ- সর্বত্রই রয়েছে এই অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারের কদর। আপেলের মধ্যেকার ম্যালিক অ্যাসিড থেকেই তৈরি করা হয় এই ভিনিগার। এছাড়াও বেশ কিছু খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা হয় এই ভিনিগার। ব্যবহার রয়েছে রূপচর্চাতেও। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে ওজন কমানোর পাশাপাশি এই ভিনিগার গ্যাস, অম্বলের সমস্যা থেকেও আমাদের দূরে রাখে। এছাড়াও অ্যাপেল সাইডার ভিনিগাররের মধ্যে থাকে বেশ কিছু পরিমাণ পুষ্টি। থাকে ভিটামিন। যা আমাদের বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। তবে নিয়মিত এই ভিনিগারও শরীরের পক্ষে একেবারেই ভাল নয়। সেখান থেকে হতে পারে গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা।

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ, রক্তচাপ কমানো, রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো থেকে শুরু করে রক্তশর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখা- একাধিক ভূমিকা রয়েছে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারের। রোজ নিয়ম মেনে খেলে যে ওজন কমে তা প্রমাণিত, এর পাশাপাশি অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারের বেশ কিছু ক্ষতিকর দিকও কিন্তু রয়েছে। রোজ যদি এই ভিনিগার খান তাহলে পড়তে পারেন একাধিক সমস্যায়।

গ্যাস্ট্রোপেরেসিস হতে পারে

অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার আমাদের পেট ভরিয়ে রাখে বেশ কিছুক্ষণের জন্য। যে কারণে খিদে কম পায়। আর এই কম খিদে থেকে হতে পারে গ্যাস্ট্রোপেরেসিস। এতে পেটের শিরা ঠিক মত কাজ করে না। ফলে তখন খালি পেটে থাকলেই ওজন বাড়ে। সাধারণত টাইপ ১ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি হয়। এবার এর মধ্যে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার খেলে আরও বেশি সমস্যা হয়। অম্বল, ফোলা ভাব, বমি ভাব-এসব হল এই রোগের লক্ষণ।

দাঁতের ক্ষয়

এই ভিনিগার বেশি করে খেলে দাঁতেরও ক্ষতি হয়। এমনকী দাঁত হলুদও হয়ে যেতে পারে। বেস কিছু সমীক্ষাতেই তা প্রমাণিত। অ্যাপেল সিডার ভিনিগারের মধ্যে এমন কিছু উপাদান থাকে যা দাঁতের সংবেদনশীলতা বাড়ায়।

পটাশিয়ামের মাত্রা কমে যায়

নিয়মিত ভাবে এই ভিনিগার খেলে রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা কমে যায়। হতে পারে হাইপোক্যালেমিয়া। অতিরিক্ত পরিমাণ এই ভিনিগার খেলে হাড়ের ঘনত্বও কমে যায়। এর ফলে হাড় ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনাও তখন জোরদার হয়। যে কারণে অস্টিওপরোসিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের এই ভিনিগার খেতে মানা করা হয়।

গলা জ্বালা করে

যেহেতু এর উপাদানের মূল হল অ্যাসিড তাই এই ভিনিগার খেলে গলা জ্বালা করে। এছাড়াও খাদ্যনালী পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে যদি রোজ খাওয়া হয়। পাশাপাশি গলা ব্যথাও হতে পারে। হঠাৎ করে গলাব্যথার এই কারণ আপনি খুঁজেও পাবেন না। একই সঙ্গে ত্বক বা চুলে কখনও এই ভিনিগার সরাসরি লাগাবেন না। অ্যাসিড থাকায় ত্বক পুড়িয়ে যায়। তাই জলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করুন।

অ্যাপেল সিডার ভিনিগার ব্যবহার করার সঠিক উপায়

একদিনে বেশি নয়। রোজ অল্প পরিমাণে খান। ৩০ মিলি জলে ২ চামচ এই ভিনিগার মিশিয়ে নিন। ইষদুষ্ণ জলে মিশিয়েই সব সময় খাবেন। অন্য কোনও কিছুর সঙ্গে নয়। স্যালাডের ড্রেসিং হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন। ত্বক বা কোনও জ্বালাপোড়া রুখতে সরাসরি এই ভিনিগার ব্যবহার করবেন না।