Vitamin C Deficiency: দেহের এই ৫ লক্ষণ বলে দিতে পারে ভিটামিন সি-এর অভাব রয়েছে কি না
Symptoms Of Vitamin C Deficiency: যদি আপনার দেহে ভিটামিন সি-এর ঘাটতি থাকে, আপনি ঘন ঘন রোগে আক্রান্ত হবেন। এই পুষ্টির অভাব থাকলে কোনওভাবেই আপনার শরীরে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারবে না। কিন্তু আপনার দেহে যে ভিটামিন সি-এর ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তা বুঝবেন কীভাবে?

জ্বর-সর্দি হলেই আগে একটা প্যারাসিটামল খেয়ে নেন। শরীর ঠিক না হলে অ্যান্টিবায়োটিকের সাহায্য নেন। কিছুদিন শরীর সুস্থ থাকে, আবার ঘুরে ফেরে আসে একই সমস্যা। শারীরিক ক্লান্তি দূর করতে ৮-৯ ঘণ্টা ঘুমিয়ে নেন। কিন্তু তারপরেও দুর্বলতা কাটে না। এত ঘন ঘন রোগে আক্রান্ত হওয়ার পিছনে দায়ী আপনার ইমিউনিটি সিস্টেম। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হলে রোগ, সংক্রমণ এড়ানো সম্ভব নয়। আর ইমিউনিটি বাড়াতে গেলে প্রয়োজন ভিটামিন সি। আরও সহজ করে বলা যাক। যদি আপনার দেহে ভিটামিন সি-এর ঘাটতি থাকে, আপনি ঘন ঘন রোগে আক্রান্ত হবেন। এই পুষ্টির অভাব থাকলে কোনওভাবেই আপনার শরীরে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারবে না। কিন্তু আপনার দেহে যে ভিটামিন সি-এর ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তা বুঝবেন কীভাবে? এরও কিছু লক্ষণ রয়েছে। সেগুলো কী-কী, জেনে নিন।
ক্লান্তি: কায়িক পরিশ্রমের পর শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু পরিশ্রম না করেই যদি সারাদিন ঝিমুনি ভাব থাকে এবং আরাম নেওয়ার পরও দুর্বলতা না কাটে, তাবলে বুঝবেন দেহে ভিটামিন সি-এর অভাব তৈরি হচ্ছে। ভিটামিন সি শরীরে কার্নিটিন নামক একটি অণু উৎপাদনে সাহায্য করে। এটা ফ্যাটকে শক্তিতে রূপান্তর করতে সাহায্য করে।
ত্বকের সমস্যা: ভিটামিন সি-এর অভাবে ত্বকের সমস্যা বাড়ে। ত্বকে ব্রণর পরিমাণ বেড়ে যায়, বলিরেখা দেখা দেয়। ত্বক শুকিয়ে যায়, চুলকায় ও নিস্তেজ দেখায়। ভিটামিন সি দেহে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং ত্বকে কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে। এই কোলাজেন প্রোটিন ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
মাড়ি থেকে রক্তপাত: ভিটামিন সি দাঁতের স্বাস্থ্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দেহে ভিটামিন সি-এর ঘাটতি থাকলে মাড়ি থেকে রক্ত পড়ে। অনেক সময় স্কার্ভি রোগও দেখা দেয়।
ক্ষত দ্রুত নিরাময় হয় না: এক সপ্তাহ পুরনো ক্ষত সারছে না? ভিটামিন সি-এর ঘাটতি থাকলে ছোটখাটো ক্ষত সারতেও সময় নেই। ক্ষত নিরাময়ের প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। পাশাপাশি সংক্রমণের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কমে যায়: দেহে ভিটামিন সি-এর ঘাটতি থাকলে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়। এর জেরে আপনি ঘন ঘন সর্দি-কাশিতে ভুগতে পারেন। এমনকি দেহে আয়রনের শোষণে বাধা তৈরি হয়। এর জেরে রক্তাল্পতার ঝুঁকি তৈরি হয়।
