Weight loss: ওজন কমাতে ব্রেকফাস্টে এই ৬টি সাধারণ ভুল একেবারেই করবেন না!
চিকিত্সকদের মতে, কখনও সকালের খাবার খাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ক্ষুধার্ত বোধ হলে , ফোলা বা ক্লান্ত বোধ করে তাহলে ব্রেকফাস্টের খাবারে কিছু পরিবর্তন আনার সময় এসেছে।
দিনের প্রথম খাবারটাই রাজার মতো হওয়া উচিত। কারণ ব্রেকফাস্টের খাবারের পুষ্টিগুণেই সারাদিন আপনি সক্রিয় থাকার শক্তি সঞ্চয় করেন। বেশিরভাগ ডায়াটিশিয়ানদের মতে, সকালের খাবার এড়িয়ে যাওয়া মানেই নিজের বিপদ ডেকে আনা। অনেকে আবার দুপুরের খাবারের সঙ্গে প্রাতঃরাশ একসঙ্গে খান। যাকে মোদ্দা কথায় ব্রাঞ্চ বলে। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ রাতে ঘুমানোর ফলে পেট অনেকটাই খালি থাকে। আর তাতে শক্তির পরিমাপ মোটেই ভাল থাকে না।
চিকিত্সকদের মতে, কখনও সকালের খাবার খাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ক্ষুধার্ত বোধ হলে , ফোলা বা ক্লান্ত বোধ করে তাহলে ব্রেকফাস্টের খাবারে কিছু পরিবর্তন আনার সময় এসেছে।
এই ৬টি সাধারণ ভুল ব্রেকফাস্টের সময়ে একেবারেই করবেন না।
অত্যাধিক চিনি খাওয়া- ব্রেকফাস্টের মেনুতে সময় বাঁচানোর জন্য শর্টকাট পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন! ক্রসেন্ট, সিরিয়াল ও বেকড পণ্য খাচ্ছেন! অথবা প্যাকেজড কমলালেবুর রস খাচ্ছেন নাকি! যদি তাই খেতে হয় তাহলে সময় বাঁচানোর জন্য টাটকা ফল থেকে রস বের করেখেতে পারেন। কারণ তাতে ফাইবার, কম চিনি ও কম ক্যালোরি থাকে। বেকড পণ্য, সিরিয়াল ও বিস্কুটগুলি সুস্বাদু হতে পারে, কিন্তু তাতে চিনির পরিমাণ বেশ অনেকটাই থাকে। সকালে উঠে চিনি-যুক্ত খাবার খেলে ওজন বৃদ্ধির প্রবণতা তৈরি হয়। এছাড়া ক্ষুধা কমিয়ে দেওয়ার মতোও উপসর্গ দেখা যায়।
অনেক বেশি ফাঁকা ক্যালোরি খাওয়া- খালি বা ফাঁকা ক্যালোরি কী?সমস্ত খাবারেই ক্যালোরি থাকে। আর সেই ক্যালোরিই শরীরে শক্তির যোগান দেয়। ভবিষ্যতে শক্তির উত্স হিসেবে গ্লাইকোজেন হিসেবে সঞ্চয় করে বা চর্বিতে পরিণক হয়। একটি সময়ের মধ্যে কত ক্যালোরির খাবার খান, তার উপর নির্ভর করে। যদি কোনও খাবারে পুষ্টি উপাদান না থাকে বা যদি চিনি ও চর্বি থেকে পাওয়া ক্যালোরি খাবারে পাওয়া পুষ্টি উপাদানের চেয়ে বেশি হয়, তাহলে সেটি খালি ক্যালোরির উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়। খালি ক্যালরির উত্সগুলির মধ্যে রয়েছে কোমল পানীয়, স্পোর্টস ড্রিংকস, মিষ্টি চা, লেবুনেড এবং এনার্জি ড্রিংকস, অ্যালকোহল, জাঙ্ক ফুড এবং ফাস্ট ফুড, ক্যান্ডি, হার্ড ক্যান্ডি সহ মিষ্টি বা টক চিবানো, কেক এবং ডোনাট ইত্যাদি। যখন আপনি লাঞ্চে পোচ করা ডিম, বা স্মোকড স্যামন, বা অ্যাভোকাডো, বা চিকেন স্যান্ডউইচ ইত্যাদির মতো স্বাস্থ্যকর মেনু বেছে নেন, আপনি রাতের খাবারের আগে আপনার দৈনিক ক্যালোরি গ্রহণের পরিমাণ অতিক্রম করতে পারেন।
পর্যাপ্ত প্রোটিন বা চর্বি না খাওয়া- প্রোটিন আপনার পেশী তৈরি করতেই শুধু সহায়তা করে না, ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সহায়তা করতে পারে। তাই খাবারের তালিকা থেকে যেন প্রোটিন না বাদ যায় তা লক্ষ্য রাখা দরকার। নন-ভেজিটেরিয়ান পিৎজা বা প্রসেসড মিট সসেজ দিয়ে আপনার প্লেট সাজিয়ে তুলবেন না। সয়াবিন, কুমড়োর বীজ, চিনাবাদাম, ছোলা, কুটির পনির, এডামেম বিনস, কুইনোয়া, বাদাম, গ্রীক দই, দহি, বাদামের মাখন, পনির বা দুধের মতো চর্বিহীন বিকল্পগুলি বেছে নিন। যা হার্টের সুস্থতার জন্যও প্রয়োজন। ব্রেকফাস্টের জন্য ন্যূনতম চর্বিযুক্ত স্কিমড দুধ বেছে নিতে পারেন। একটি স্বাস্থ্যকর প্রাতঃরাশের চাবিকাঠি হল নিশ্চিত করা যে এতে সামান্য কিছু আছে – প্রোটিন, চর্বি এবং কার্বোহাইড্রেট।
চর্বিযুক্ত ভাজাভুজি না খাওয়া- বেকন, সসেজ, ডিম এবং আরও অনেক কিছু ব্রেকফাস্টে পরিবেশন করা হয়। অল্প পরিমাণে চর্বি ঠিক আছে কিন্তু চর্বিযুক্ত ফ্রাই আপ স্যাচুরেটেড চর্বি, প্রচুর ক্যালোরিতে পূর্ণ খাবার খুব কম সময়ের মধ্যে অলস বোধ তৈরি করতে সক্ষম। এছাড়া উচ্চ রক্তচাপ এবং ক্যান্সারের মতো গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যাগুলির জন্য সংবেদনশীল করে তোলে।
ব্রেকফাস্টের সময় তাড়াহুড়ো নয়- দিনের শুরুতেই অফিস বা কাজের জন্য দেরি হয়ে গেলে তাড়াহুড়ো করে প্রাতঃরাশ সারার প্রবণতা থাকে অনেকের। দ্রুত খাওয়া স্থূলতার লক্ষম। সকালের খাবার ধীরে, অনেকক্ষণ চিবিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করুন।
আরও পড়ুন: Winter Health Tips: শীতকালে ঠান্ডা লাগার ধাত থাকলে এই ৫ খাবার অবশ্যই খাবেন! জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরাই