AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Syphilis: অসুরক্ষিত যৌন সঙ্গমেই ছড়াচ্ছে সিফিলিস! রোগটা আসলে কী? কতটা ভয়ানক?

Syphilis: মূলত অসুরক্ষিত যৌনসংসর্গ, রক্তের সংক্রমণ বা গর্ভবতী মায়ের থেকে শিশুর দেহে ছড়িয়ে যেতে পারে। কিন্তু কেন ভয়ংকর সিফিলিস? এই রোগ হলে কী হয়? সেই সব নিয়ে জানতেই টিভি৯ বাংলা ডিজিটাল যোগাযোগ করেছিল প্রখ্যাত ত্বক চিকিৎসক গৌতম ব্যানার্জির সঙ্গে। কী বললেন তিনি?

Syphilis: অসুরক্ষিত যৌন সঙ্গমেই ছড়াচ্ছে সিফিলিস! রোগটা আসলে কী? কতটা ভয়ানক?
সিফিলিস আসলে কী?Image Credit: Yana Iskayeva/Moment/Getty Images
| Updated on: Jul 28, 2025 | 2:45 PM
Share

সিফিলিস (Syphilis) এমন এক রোগ যা নিয়ে সর্বসমক্ষে কথা বলতেই কুন্ঠা বোধ করেন অনেকে। ত্রিপোনেমা পালিডাম (Treponema pallidum) নামক এক ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা সংক্রমিত হয় এই রোগ। কিন্তু কেন এই রোগ নিয়ে এত লুকোছাপা। আসলে সিফিলিস একধরনের যৌনবাহিত রোগ বা Sexually Transmitted Disease (STD)। মূলত অসুরক্ষিত যৌনসংসর্গ, রক্তের সংক্রমণ বা গর্ভবতী মায়ের থেকে শিশুর দেহে ছড়িয়ে যেতে পারে। কিন্তু কেন ভয়ংকর সিফিলিস? এই রোগ হলে কী হয়? সেই সব নিয়ে জানতেই টিভি৯ বাংলা ডিজিটাল যোগাযোগ করেছিল প্রখ্যাত ত্বক চিকিৎসক গৌতম ব্যানার্জির সঙ্গে। কী বললেন তিনি?

গৌতমবাবু জানান, সিফিলিস প্রাথমিক পর্যায়ে তেমন সমস্যা না করলেও, চিকিৎসা না করলে মস্তিষ্ক, হার্ট, চোখ, স্নায়ু সহ পুরো শরীরে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।

সিফিলিসকে মূলত ৩ ভাগে ভাগ করা যেতে পারে।

১। প্রাথমিক পর্যায় (Primary Stage) –

এই পর্যায়ে যৌনাঙ্গ, মুখ বা পায়ুপ্রদেশে ছোট ঘা হতে পারে। কিংবা ফুলে যেতে পারে লিম্ফগ্রন্থি। তবে তাতেখুব একটা ব্যথা হয় না, কিংবা আমাদের শরীরের আলাদা করে কোনও সমস্যা তৈরি হয় না। আর তাই অনেকেই বিষয়টিকে এড়িয়ে যান। তাতেই আরও বাড়ে সমস্যা। রোগটি তখন আরও বেড়ে সেকেন্ডারি স্টেজে পৌঁছে যায়।

২। দ্বিতীয় পর্যায় (Secondary Stage) –

এই সময়ে সারা শরীরে লালচে গুটি বা দাগের মতো হতে পারে। যদিও তাতে কোনও চুলকানি হয় না। সঙ্গে হতে পারে জ্বর, গলাব্যথা, লিম্ফ গ্রন্থি ফুলে যাওয়া, মাথাব্যথা, ক্লান্তি বা ওজন কমে যাওয়ার মতো সমস্যা।

৩। টার্সিয়ারি স্টেজ –

কোনও উপসর্গ না থাকলেও ব্যাকটেরিয়া শরীরে সক্রিয় থাকে। এই স্টেজ থেকেই বাড়তে থাকে জটিলতা। মস্তিষ্ক, স্নায়ু, হার্ট ইত্যাদিতে আক্রমণ করতে পারে এই রোগের জীবাণু। যা সময়ের সঙ্গে চিকিৎসা না হলে পক্ষাঘাত, অন্ধত্ব, মানসিক সমস্যার কারণ হয়ে উঠতে পারে।

গৌতম বাবু বলেন, “এই স্টেজে মানুষ আর আমাদের কাছে আসেন না। হয়তো কিডনির কোনও সমস্যা হল, হার্টে কোনও অসুবিধা ধরা পড়ল কিংবা অন্য কোনও সমস্যা নিয়ে ডাক্তারবাবুর কাছে গেলেন। এবার তাঁরা টেস্ট করে বুঝতে পারলেন আসল রোগটা সিফিলিস। তখন সেই অনুসারে চলে চিকিৎসা।”

সুস্থ থাকতে কী করবেন?

গৌতম বাবু বলেন, “সুস্থ থাকার একমাত্র উপায় হল সুরক্ষিত যৌন সম্পর্ক গড়ে তোলা। নিজের পার্টনারের উপর ভরসা রাখুন। এক পার্টনার থাকলে এই রোগ হওয়ার সুযোগ কম থাকে। তবে আজকাল সেই ক্ষেত্রে অনেকেই উন্মুক্ত। ওয়ান নাইট স্ট্যান্ডের মতো বিষয় রয়েছে। সেই ক্ষেত্রে কন্ডোম ব্যবহার করাটা মাস্ট। যদি পুরুষের কন্ডোমে অ্যালার্জিজনিত সমস্যা থাকে তাহলে মহিলার উচিত কন্ডোম ব্যবহার করা।”

গৌতম বাবু আরও জানান, ইন্টারকোর্স ছাড়াও মুখমেহন বা গভীর চুম্বনের মাধ্যমে ছড়াতে পারে এই রোগ। তাই রোগের লক্ষণ দেখা দিলে, সামাজিক ট্যাবু ছেড়ে ভরসা রাখতে হবে ডাক্তারের উপর। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। মনে রাখবেন একটি সচেতন হলে এই রোগ থেকে সম্পূর্ণ রূপে মুক্ত হওয়া সম্ভব।