World Heart Day 2022: হার্ট পাবে ঘোড়ার মত শক্তি! কোলেস্টেরল কমিয়ে হার্টকে সুস্থ রাখতে শুধু ব্যবহার করুন এই ৫ ভেষজ
Ayurveda Tips: কুঅভ্যেসই ধীরে ধীরে আমাদের রক্তে বাড়িয়ে তোলে কোলেস্টেরলের মাত্রা। রক্তচাপের সমস্যাতেও আক্রান্ত হন কেউ কেউ।
আয়ুর্বেদ (Ayurveda) মতে আমাদের শরীরের অন্যতম প্রধান অঙ্গ হল হার্ট (Heart)। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে রক্তের মাধ্যমে পুষ্টিগুণ ও অক্সিজেন পরিবহণের কাজটি করে হার্ট। অথচ আধুনিক জীবনশৈলীর কারণে আমাদের হার্ট দ্রুত তার কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে। ফলে অল্পবয়সেই হার্টের রোগের কারণে প্রাণ নিয়ে পড়ে যাচ্ছে টানটানি। অথচ প্রতিদিন কিছু ভেষজ নিয়মিত গ্রহণ করলে আমাদের হার্ট হতে পারে অত্যন্ত শক্তিশালী।
আধুনিক জীবন মানেই প্রবল স্ট্রেস-এ ভোগা। স্ট্রেস কাটাতে তখন অনেকেই শরণাপন্ন হন অ্যালকোহল, তামাক সেবনের। সেইসঙ্গে যোগ হয় তৈলাক্ত খাদ্য গ্রহণ, ফাস্টফুড খাওয়ার অভ্যেস। শরীরচর্চাও কেউ করেন না। এই সব ধরনের কুঅভ্যেসই ধীরে ধীরে আমাদের রক্তে বাড়িয়ে তোলে কোলেস্টেরলের মাত্রা। রক্তচাপের সমস্যাতেও আক্রান্ত হন কেউ কেউ। ধীরে ধীরে হার্টের আর্টারিতে জমতে থাকে কোলেস্টেরল সহ আরও কিছু উপাদান যাকে চিকিৎসা পরিভাষায় বলা হয় প্লাক। এই প্লাকের সঙ্গে ধাক্কা লেগে রক্ত জমাট বাঁধার আশঙ্কা থাকে। রক্ত জমাট বেঁধে হার্টের রক্তবাহী ধমনীতে রক্তপ্রবাহ থেমে গেলে হতে পারে হার্ট অ্যাটাক। এছাড়া রক্তচাপ বাড়ার কারণেও হার্ট ফেলিওর হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
সম্প্রতি পালিত হল ‘ওয়ার্ল্ড হার্ট ডে’। বিশ্ব হৃদযন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে হার্টের স্বাস্থ্য নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন একাধিক আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানিয়েছেন, অ্যালকোহল সেবন, ধূমপান, তামাক সেবনের সঙ্গে ভুল খাদ্য গ্রহণের অভ্যেসও হার্টের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলছে। তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত, খাদ্যে কিছু ভেষজ উপাদান যোগ করা। এই উপাদানগুলি হার্টের কর্মক্ষমতা জোরদার করতে সাহায্য করে।
হার্টের জন্য ভেষজ!
অর্জুন: পূর্ণবয়স্ক অর্জুন গাছ আকারে বিরাট বড় হয়। এই উদ্ভিদ পর্ণমোচী। মহাভারতের বিখ্যাত বীর অর্জুনের নাম থেকে এই গাছের নামকরণ হয়েছে। অর্জুন যেমন অনায়াসে শত্রুনিধন করতেন ও পরিবারকে রক্ষা করতেন, ঠিক তেমনভাবেই অর্জুন গাছের ছাল বা বল্কলও আমাদের হৃদযন্ত্রকে রক্ষা করে। দেখা গিয়েছে, নিয়মিত অর্জুন গাছের ছাল সেবনে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে।
আমলকী: এই ফলকে ধাত্রীফলও বলা হয়। এছাড়া আমলকীকে আমৃতফল নামেও অভিহিত করেন কেউ কেউ। এই ফলে রয়েছে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা রক্তে অতিরিক্ত কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। প্রত্যেকরই প্রতিদিন দু’টি করে আমলকী খাওয়া উচিত। এছাড়া আমলকী রসও অত্যন্ত উপকারী।
হলুদ: আমাদের রক্তবাহী নালীগুলিকে পরিষ্কার রাখে হলুদ। এছাড়া রক্ত শোধনও করে। কমায় কোলেস্টেরলের মাত্রা। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনে। হজমে সাহায্য করে। শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দেয়। ফলে হার্ট হয় অত্যন্ত শক্তিশালী। কাঁচা হলুদ সেবন শ্রেষ্ঠ। তবে গরম জলে এক চিমটে হলুদ মিশিয়ে পান করলেও উপকার মেলে।
আদা: রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক করে ও খাদ্য হজমে সাহায্য করে আদা। রান্নায় আদা ব্যবহার করা যায় অনায়াসে।
রসুন: রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও রক্ত তরল রাখতে সাহায্য করে রসুন। ফলে নিয়মিত রসুন খেলে রক্তবাহী নালীতে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকে। প্রতিদিন ২ থেকে ৩ কোয়া কাঁচা রসুন খাওয়া যায়।
অন্যান্য নিয়ম
• মাত্রাতিরিক্ত ভাজাভুজি খাওয়া চলবে না। খাওয়া যাবে না অতিরিক্ত মিষ্টি, কোল্ডড্রিংকস, ফাস্টফুড, আইসক্রিম, রেড মিট।
• প্রতিদিনের ডায়েটে শাকসব্জি ও ফল যোগ করতেই হবে।
• শুধু ভেষজ খেলেই হবে না। করতে হবে যোগা ও প্রাণায়াম।
অতএব নিয়ম পালন করুন। ভেষজ সেবন করুন। সুস্থ থাকুন।