Health Tips: এই ৬ বদ অভ্যাস অজান্তেই শরীরকে ভিতর থেকে ফাঁপা করে দেয়,দু নম্বরটি সবচেয়ে মারাত্মক
Bad Health Habits: খাওয়ার পর ব্রাশ করা খুব ভাল অভ্যাস। যদিও অধিকাংশ সেই অভ্যাসের ধার ধারেন না। এতে দাঁতের অ্যানামেল নষ্ট হয়ে যায়
পুঁথিগত শিক্ষা যতই থাক না কেন সুস্থ থাকতে কিছু সুঅভ্যাস সকলকেই রপ্ত করতে হবে। এর প্রথম হল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা এবং যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চললে শরীর খারাপ হতে বাধ্য। আবার এমনও অনেকে আছেন যাঁরা নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন, সময় ধরে খাবার খান। কিন্তু তারপরও অসুস্থ থাকেন। কিন্তু ভেবে দেখেছেন কি এর পিছনে কি কারণ থাকতে পারে। আসলে খাওয়া-দাওয়া সম্পর্কিত এমন কিছু অভ্যাস রয়েছে যা আমরা কেউই ঠেকভাবে মেনে চলি না। ফলে সেখান থেকে রোগ-ভোগের ঝুঁকি বাড়ে। যেমন খাবার খাওয়ার পর ব্রাশ না করা, ভাত আধসিদ্ধ করে খাওয়া, ঠিক মতো সিদ্ধ না করে আলু খাওয়া, টাইট পোশাক পরা ইত্যাদি। এই কোনও অভ্যাসই ভাল নয়। এতে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে অজান্তেই। আর এই সব অভ্যাসের দিকে অধিকাংশই কোনও দৃষ্টি দেন না। আর এই সব অভ্যাস দিনের পর দিন চললে শরীরকে ভিতর থেকে বিষিয়ে দেয়।
সম্প্রতি NCBI থেকে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। আর সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে চালের মধ্যে বি সোরিয়াসিস ব্যাকটেরিয়া থাকে। যা মূলত মাটিতেই পাওয়া যায়। এবার এই ব্যাকটেরিয়া কম সিদ্ধ বা আধা সিদ্ধ চাল থাকলে কিছুতেই মরে না। আর তা শরীরের মধ্যে গেলে মারাত্মক ক্ষতি হয়। দিনের পর দিন চলতে থাকলে ভিতর থেকে একরকম ক্ষয় হয়।
খাওয়ার পর ব্রাশ করা খুব ভাল অভ্যাস। যদিও অধিকাংশ সেই অভ্যাসের ধার ধারেন না। এতে দাঁতের অ্যানামেল নষ্ট হয়ে যায়। দাঁত ক্ষয়ে যায়। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে কেনও টক খাবার খাওয়ার ঠিক পরই ব্রাশ করতে নেই। তবে খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট পর ব্রাশ করে তবেই জল খাওয়া উচিত।
অনেকে খাবার খাওয়ার পর মুখ না ধুয়ে জল দিয়ে কুলকুচি করে নেন। এই পদ্ধতিও একদম ভাল নয়। এতে মুখের মধ্যে ব্যাকটেরিয়া থেকে যায়। আর তাই খেয়ে জল দিয়ে খুব ভাল করে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। তাতেই সব ব্যাকটেরিয়া বেরিয়ে আসে। মুখ গহ্বরেও কিছু জমা থাকে না।
আলু পটাশিয়াম এবং প্রয়োজনীয় খনিজের খুব ভাল উৎস। তবে পুরনো আলু খাওয়ার আগে সতর্ক থাকুন। আলু সবুজ হয়ে গেলে তার মধ্যে সোলানিনের মত বিষাক্ত পদার্থ তৈরি হয়। এই আলু খেলে পেট ব্যথা হয়। সেই সঙ্গে জ্বর, বমির মত সমস্যা হয়। কিছু ক্ষেত্রে পক্ষাঘাতও হতে পারে।
আজকাল বডিকন পোশাকের খুব চল হয়েছে। এছাড়াও অনেকে টাইট জামা পরতে ভালবাসেন। এই জামা আমাদের গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। যে কারণে টাইট ফিটিং জামা না পরাই ভাল। আর এর ফলে হজম প্রক্রিয়াও কিন্তু ধীর হয়ে যায়।
পপকর্ন খেতে তো সকলেই ভালবাসেন। কিন্তু এই পপকর্ন কখনই মাইক্রোওভেনে বানানো ঠিক নয়। কারণ এর মধ্যে থাকে ডায়াসিটাইল নামের একরকম রাসায়নিক উপাদান। পপকর্নের সঙ্গে তা বিক্রিয়া করে ফুসফুসের ক্ষতি করে।