Kidney Failure: এসব অভ্যাসের ফলে বিকল হতে পারে কিডনি, শুধরে নিন নইলেই বিপদ

kidney Disease: ধূমপান এবং মদ্যপান হার্ট এবং ফুসফুসের পাশাপাশি কিডনিরও ক্ষতি করতে পারে। ধূমপানের ফলে প্রস্রাবে প্রোটিনের মাত্রা বেড়ে যায়, যা কিডনির ক্ষতি করে বসে।

Kidney Failure: এসব অভ্যাসের ফলে বিকল হতে পারে কিডনি, শুধরে নিন নইলেই বিপদ
কিডনির বিকল অবস্থা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 31, 2023 | 12:46 PM

কিডনি হল মানব শরীরে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। একে বলা হয় ‘সাইলেন্ট কিলার’ বা নীরব ঘাতক। অর্থাৎ কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা অনেক পড়ে জানান দেয়। আর যখন বোঝা যায় তখন অনেকটাই দেরি হয়ে যায়। তখন আর কিছু করার থাকে না। তাই কিডনির প্রতি আমাদের বাড়তি যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন।

টক্সিন হল এমন পদার্থ যা আমাদের শরীরে হজমের পর তৈরি হয়। এই টক্সিন শরীরের জন্য বিপজ্জনক। শরীরে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের প্রবেশের মাধ্যমেও কিছু টক্সিন তৈরি হয়। কিডনি এই ক্ষতিকারক টক্সিনকে শরীর থেকে বাইরে বের করে দেয়। এই টক্সিন কোনও কারণে শরীরে জমতে শুরু করলেই কিডনি বিকল হতে পারে। একে ‘Kidney Faliure’ বলে। বিশেষজ্ঞদের মতে, জীবনযাত্রার উপর নির্ভর করে কিডনির স্বাস্থ্য। তাই জীবনযাত্রায় লাগাম টানলে এই কিডনি বিকলের ঝুঁকি অনেকটাই হ্রাস করা সম্ভব। তার জন্য চিরতরে পাত থেকে বাদ দিতে হবে কিছু খাবার। কারণ এইসব খাবারগুলি কিডনি ফেলিওয়ের অন্যতম কারণ। আসুন জেনে নেওয়া যাক কী সেগুলি…

প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া- প্রক্রিয়াজাত খাবারে সোডিয়াম ও ফসফরাস বেশি থাকে। কিডনি রোগীদের ফসফরাস খাওয়া কমাতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন গবেষণা দ্বারা প্রমাণিত যে পক্রিয়াজাত খাবার খেলে বিকল হয় কিডনি।

অত্যধিক মাংস খাওয়া- অনেকেই অত্যধিক পরিমাণে মাংস খান। যার কারণে অ্যাসিডোসিস হতে পারে। ফলে কিডনি শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন ও অ্যাসিড বের করতে অক্ষম হয়। আর ফলে একাধিক শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।

লবণের অপব্যবহার- উচ্চ লবণযুক্ত খাবারে সোডিয়াম বেশি থাকে, যা রক্তচাপ বাড়ায় এবং কিডনির ক্ষতিও করে। অনেকেই পাতে কাঁচা নুন খান। এটি অত্য়ন্ত খারাপ একটি অভ্যাস। কিডনি বাঁচাতে হলে এই অভ্যাস অবিলম্বে ত্য়াগ করুন।

চিনির অপব্যবহার- শরীরের জন্য চিনি বিষের চেয়ে কোনও অংশে কম নয়। চিনি স্থূলতা বাড়ায় বাড়ায়। এছাড়া উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতেও এর জুড়ি নেই। যার সরাসরি প্রভাব পড়ে কিডনির উপরও। তাই জীবন থেকে চিনিকে চিরতরে বাদ দিন।

ব্যথানাশক গ্রহণ করা- অনেকেই কথায়-কথায় পেইনকিলার বা ব্যথানাশক খান। ওভার-দ্য-কাউন্টার ড্রাগ লা ব্যথা উপশমকারী যেমন- NSAIDS (ননস্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ড্রাগস) হয়তো সাময়িক ব্যথা কমাতে পারে, কিন্তু এর ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ে কিডনির উপর। যা কিডনি বিকল হয়ে যাওয়ার অন্য়তম প্রধান কারণ। তাই এই ধরনের ওষুধ খাবেন না।

পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান না করা- সুস্থ থাকতে একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির দিনে ২-৩ লিটার জল পান করা জরুরি। তবে অনেকেই এই নিয়ম মেনে চলেন না। আর শরীরে এই জলের ঘাটতি ধীরে-ধীরে কিডনির অসুখের দিকে ঠেলে দেয়।

ধূমপান- ধূমপান এবং মদ্যপান হার্ট এবং ফুসফুসের পাশাপাশি কিডনিরও ক্ষতি করতে পারে। ধূমপানের ফলে প্রস্রাবে প্রোটিনের মাত্রা বেড়ে যায়, যা কিডনির ক্ষতি করে বসে। সেই সঙ্গে অ্যালকোহলও কিডনির অত্যন্ত ক্ষতি করে। তাই যদি কিডনিকে সুস্থ রাখতে হয় তবে আজ থেকেই আর ধূমপান ও মদ্যপান নয়।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।