AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Pharyngitis: সকালে ঘুম থেকে উঠলেই সর্দি জমে থাকে গলায়? ফ্যানেনজাইটিস কিনা বুঝবেন কীভাবে?

Pharyngitis: গলার সর্দি জমা থাকার একাধিক কারণে হতে পারে – যেমন ঠান্ডা লাগা, অ্যালার্জি, টনসিল, কিংবা অ্যাসিড রিফ্লাক্স। তাহলে এটি ফ্যানেনজাইটিস কিনা বুঝবেন কীভাবে? সাবধান হবেন কীভাবে?

Pharyngitis: সকালে ঘুম থেকে উঠলেই সর্দি জমে থাকে গলায়? ফ্যানেনজাইটিস কিনা বুঝবেন কীভাবে?
| Updated on: Jul 26, 2025 | 8:23 PM
Share

সকালে ঘুম থেকে উঠেই যদি গলায় কফ বা সর্দি জমে থাকার মতো মনে হয় তাহলে প্রথমে ভাবেন ঠান্ডা লেগেছে। কিন্তু এই ঘটনা রোজ ঘটলে অনেকেই ভাবেন এটি ফ্যারিনজাইটিস। সত্যিই কি তাই? বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বলছেন সবসময় তা না-ও হতে পারে। গলার সর্দি জমা থাকার একাধিক কারণে হতে পারে – যেমন ঠান্ডা লাগা, অ্যালার্জি, টনসিল, কিংবা অ্যাসিড রিফ্লাক্স। তাহলে এটি ফ্যানেনজাইটিস কিনা বুঝবেন কীভাবে? সাবধান হবেন কীভাবে?

ফ্যানেনজাইটিস কী?

ফ্যারিনজাইটিস মূলত গলার পিছনের অংশে (ফ্যারিংস)-এ সংক্রমণের ফলে হওয়া এক ধরনের প্রদাহ। সাধারণত ঠান্ডা লাগা, ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জার ফলে এটি হতে পারে।

ফ্যারিনজাইটিসের লক্ষণগুলি কী কী?

১। গলা খুসখুসে বা জ্বালা ভাব

২। গিলতে কষ্ট হওয়া বা ব্যথার অনুভব হওয়া

৩। গলা শুকিয়ে যাওয়া বা চুলকানি

৪। গলার স্বর ভেঙে যাওয়া বা গলা বসে যাওয়া

৫। জ্বর বা মাথাব্যথা

৬। কখনও সাদা বা হলদে সর্দি জমে থাকা

৭। গলার lymph node বা গ্রন্থি ফুলে যাওয়া

কফ জমা মানেই কি ফ্যানেনজাইটিস?

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সবসময় তা হয় না। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে কফ জমে থাকার পেছনে আরও কিছু কারণ থাকতে পারে।

১। নাক বন্ধ বা সাইনাস ইনফেকশন: রাতে শোওয়ার সময় পেছন দিকে সর্দি গড়িয়ে গলায় জমে যেতে পারে।

২। অ্যালার্জি বা ধূলাবালি: রাতে বালিশ বা বিছানার ধুলোর জন্য গলায় সমস্যা হতে পারে।

৩। এসিড রিফ্লাক্স (GERD): রাতে পেটে অ্যাসিড উঠে গলায় গিয়ে কফের মতো জমে থাকতে পারে।

৪। দীর্ঘক্ষণ ফ্যান বা এসি’র সরাসরি হাওয়া: এতে গলা শুকিয়ে গিয়ে খুসখুসে ভাব বা কাশি হতে পারে।

কী করবেন?

যদি গলা ব্যথা ৩-৪ দিনের বেশি থাকে সঙ্গে জ্বর বা কাশি বাড়তে থাকে তাহলে সাবধান হন। গিলতে খুব কষ্ট হলে বা শ্বাসকষ্ট হলে, গলায় গ্রন্থি ফুলে যায় বা পুঁজ জমে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এই ক্ষেত্রে ENT বিশেষজ্ঞ বা সাধারণ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।