শরীর সুস্থ রাখতে চা-এর জুড়ি মেলা ভার। তবে দুধ-চিনি দিয়ে চা নয়, লিকার চা খান। যাঁরা নিয়মিত ভাবে চিনি ছাড়া লিকার চা খান তাঁরা অন্যদের তুলনায় অনেক বেশিদিন পর্যন্ত সুস্থ থাকেন। সম্প্রতি এক গবেষণা সামনে এসেছে। আর সেই গবেষণাতেই বলা হয়েছে চায়ের মধ্যে এমন কিছু উপাদান থাকে যা প্রদাহ জনিত সমস্যা থেকে রেহাই দিতে পারে। চিন এবং জাপানের বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে সেখানকার মানুষরা নিয়ম করে গ্রিন টি খান বলেই এত সুস্থ থাকেন।
ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা যেমন জানিয়েছেন স্বাস্থ্য, আর্থ সামাজিক অবস্থা, খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান-অ্যালকোহলের মাত্রা বেশি হলে সেখান থেকেও থেকে যায় ক্যানসারের সম্ভাবনা। কিন্তু যাঁরা দিনের মধ্যে ২ কাপ লিকার চা খান তাঁদের ক্ষেত্রে ক্যানসারের সম্ভাবনা অনেকটাই কম।
অ্যানালস অফ ইন্টারনাল মেডিসিনে প্রকাশিত আরও এক গবেষণা বলছে বর্তমানে ক্যানসারে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। এর জন্য দায়ী মানুষ নিজেই। তাঁদের রোজকার অভ্যাসের ফলেই বাড়ছে নানা বিধ জটিলতা।
চায়ের মধ্যে থাকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। অফিসেও কাজের ফাঁকে ক্লান্তি দূর করতে বেশ কয়েকবার চা পান হয়েই থাকে। আবার বাড়িতে সন্ধ্যের দিকে চা পানের রীতি প্রায় সব বাড়িতেই আছে। চা শরীরের জন্য উপকারি নিঃসন্দেহে, কারণ চায়ে আছে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান আইসোফ্লাভন, পলিফেনল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
আর তাই উপকারিতা তখনই পাওয়া সম্ভব যখন দুধ-চিনি ছাড়া চা খাওয়া হবে। ব্ল্যাক টি এর মধ্যে যে অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে তা মন ভাল রাখতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে স্ট্রেস হরমোনের মধ্যে এতটা সমতা বজায় রাখে। হার্টের জন্যেও খুব উপকারী হল এই ব্ল্যাক টি। এছাড়াও ব্ল্যাক টি ত্বক আর চুল ভাল রাখতেও সাহায্য করে।
মুখের যে কোনও দাগ দূর করতেও ভাল কাজ করে গ্রিন টি বা ব্ল্যাক টি। যাঁরা নিয়মিত ভাবে চিনি ছাড়া ব্ল্যাক টি খান তাঁদের ত্বক ভাল থাকে। এছাড়াও গ্রিন টি ব্যাগ ব্যবহার করলেও উপকার পাবেন। চোখের তলার যাবতীয় ডার্ক সার্কল দূর হয়ে যাবে।
রোজ গ্রিন টি খেলে ক্ষতিকর UV- রশ্মির হাত থেকেও রেহাই পাওয়া যায়। ব্ল্যাক টি থেকেও এই একই উপকার পাওয়া যায়। এছাড়াও ব্ল্যাক টি খেলে ত্বক ভাল থাকে। এছাড়াও যাঁরা নিয়মিত ভাবে লিকার চা খান তাঁদের এজিং সমস্যা অনেক পরে আসে।