Heart attack: পরিচিত কেউ হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হলে প্রাথমিক কর্তব্য কী? জেনে রাখুন…

Sudden cardiac arrest: হার্ট অ্যাটাক শব্দটি কিন্তু প্রথম শুনলেই কিন্তু মনে ভয় ধরায়। আর এই ভয় থেকেই প্রাথমিক ভাবে আমরা বুঝতে পারি না ঠিক কী করা উচিত। তবে এসব ক্ষেত্রে কিন্তু আক্রান্তকে প্রথমেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন...

Heart attack: পরিচিত কেউ হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হলে প্রাথমিক কর্তব্য কী? জেনে রাখুন...
প্রাথমিক কর্তব্য হিসেবে যা করবেন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 20, 2022 | 6:43 PM

হার্ট অ্যাটাক (Heart Attack) হলে এক সেকেন্ডও সময় থাকে না নষ্ট করার মতো। বরং উদভ্রান্ত না হয়ে সেই সময়ে দাঁড়িয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া কিন্তু খুবই জরুরি। প্রাথমিক চিকিৎসা যত দ্রুত শুরু হবে এবং হাসপাতালে নিয়ে যাবেন ততই কিন্তু ভাল। আর তাই আমাদের প্রথমেই জেনে রাখা প্রয়োজন হার্ট অ্যাটাক বা হৃদরোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলো কী। হার্ট অ্যাটাকের (Cardiac Arrest) আগে কিন্তু শরীরে বেশ কিছু অস্বস্তি থাকে। বিশেষত বুকে চাপ লাগে। এছাড়াও চোয়াল, কাঁধ, পিঠ, হাতে ব্যথা হয়। শরীরও খুব ক্লান্ত লাগে। দম নিতে অসুবিধে হয়। চিকিৎসকদের মতে হৃৎপিন্ডে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় বলেই কিন্তু এই সব সমস্যা হয়। অনেকের ক্ষেত্রে কথা আটকে যায়। হাত-পা অসাড় হয়ে যায়। এছাড়াও হার্ট অ্যাটাকের সময় শরীরে প্রচুর ঘাম হয় সেই সঙ্গে জ্ঞান হারিয়ে যায়। আর তাই হার্ট অ্যাটাক হয়েছে বুঝতে পারলে কিন্তু একটুও সময় নষ্ট নয়। যত দেরি করবেন ততই পরিস্থিতি হাতের নাগালে চলে যাওয়ার মতো অবস্থা হতে পারে। আর তাই প্রথম কাজ হল

অ্যাম্বুলেন্সের খোঁজ করা। জরুরি পরিষেবা ভিত্তিক যেখানে অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যায় আগে সেখানেই ফোন করুন। মাথায় রাখবেন যত দ্রুত সম্ভব রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে হবে। অ্যাম্বুলেন্স না পেলে অন্য কোনও ভাবে রোগীকে সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালে নিয়ে যান।

এছাড়াও আক্রান্ত ব্যক্তিকে যতটা সম্ভব আরাম দেওয়ার চেষ্টা করুন। আশপাশে ভিড় করে থাকবেন না। তাঁকে নিজের সুবিধে মতো বসতে সুযোগ দিন। সেই সঙ্গে মনে ভরসা দিন। কোনও ভাবেই ভেঙে পড়তে দেবেন না।

যতক্ষণ না চিকিৎসক আসছেন ততক্ষণ পর্যন্ত আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে কথা চালিয়ে যান। তাঁকে সব রকম আশ্বাস দিন। সেই সঙ্গে এটাও বলুন যে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসককেও আপনি খবর দিয়েছেন। তাঁর কোনও ক্ষতি হবে না।

যদি আক্রান্ত ব্যক্তি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তাহলে CPR দেওয়া খুব জরুরি। এতে হৃৎপিন্ডে ধাক্কা দিলে আবারও শ্বাস-প্রশ্বাস চালু হয়। CPR হল জরুরী পরিস্থিতিতে ব্যবহৃত একটি চিকিৎসা পদ্ধতি, যা অনেকের জীবন বাঁচাতে পারে। CPR এর পূর্ণরূপ হল “কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন”। এটি কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট এবং শ্বাসকষ্টের মতো জরুরি পরিস্থিতিতে একজন ব্যক্তির জীবন বাঁচাতে পারে। সোজা কথায়, অনেক সময় হঠাৎ করে কারো শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায় বা কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে কারো শ্বাস বন্ধ হয়ে গেলে সিপিআর দেওয়া হয়, যার ফলে মানুষের জীবন বাঁচানো যায়।

মনে রাখবেন, প্রাথমিক চিকিৎসা যত দেরিতে শুরু করবেন ততই কিন্তু পরিস্থিতি জটিল হয়ে যাবে। খুব নিকট কোনও পরিজনের হার্ট অ্যাটাক হলে ভেঙে পড়া স্বাভাবিক। কিন্তু এই সময় মনকে শক্ত রেখে যত দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাবেন সুস্থ হবার সম্ভাবনা কিন্তু ততই বেশি।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

আরও পড়ুন: Sugar Side Effects: যে সব লক্ষণে বুঝবেন এখনই আপনার চিনি খাওয়া বন্ধ করা উচিত