Morning Sickness: গর্ভবতী মহিলাদের মর্নিং সিকনেস খুব সাধারণ ঘটনা, জেনে নিন কোন কোন ঘরোয়া পদ্ধতি মেনে চলবেন…

প্রেগন্যান্সির সময় মাঝে মধ্যে বমি হওয়া বা মাথা ঘোরার মতো সমস্যা হওয়াটা স্বাভাবিক ঘটনা। তাতে চিন্তার কোনও কারণ নেই। কিন্তু অনবরত বমি হতে থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।

Morning Sickness: গর্ভবতী মহিলাদের মর্নিং সিকনেস খুব সাধারণ ঘটনা, জেনে নিন কোন কোন ঘরোয়া পদ্ধতি মেনে চলবেন...
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 23, 2021 | 8:12 AM

গর্ভবতী মায়েদের শরীরে নানা ধরনের হরমোনাল পরিবর্তন হয়ে থাকে। সেই কারণে এমনিতেই প্রেগন্যান্সির সময় নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা তৈরি হয়। সেই সঙ্গে যোগ হয় মর্নিং সিকনেসের মতো সমস্যাও। এক্ষেত্রে ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই বার বার বমি হওয়া, মাথা ঘোরা এবং দুর্বল লাগার মতো সমস্যাগুলি দেখা দেয়।

আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে গর্ভবতী মহিলাদের শরীরে পিত্ত দোষ দেখা দেওয়ার কারণেই এমন ধরনের সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। আর ঠিক সেজন্যই কোনও ভাবে যদি পিত্ত দোষ দূর করা যায়, তাহলেই মর্নিং সিকনেসের মতো সমস্যাকে খুব সহজেই বাগে আনা যাবে।

মর্নিং সিকনেস দূর করার কয়েকটি ঘরোয়া উপায়:

১) নিয়মিত ক্যামোমাইল চা খেলে উপকার পাওয়া যাবে। ইচ্ছা হলে এর সঙ্গে এক কাপ করে পুদিনা পাতা দিয়ে তৈরি চাও খেতে পারেন।

২) মর্নিং সিকনেস দূর করতে মৌরির উপরও ভরসা রাখতে পারেন। এবার থেকে যখনই মনে হবে গা গোলাচ্ছে বা বমি পাচ্ছে, তখনই অল্প করে মৌরি মুখে ফেলে দেবেন।

৩) প্রতি ঘণ্টায় এক গ্লাস করে জল খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। কারণ, শরীরে জলের ঘাটতি দূর হলেও এমন সমস্যার নিরাময়ে বিশেষ সময় লাগে না।

৪) মিনিটে মিনিটে পাতি লেবুর গন্ধ নিলেও কিন্তু উপকার পাবেন। এক্ষেত্রে বারে বারে বমি হওয়ার আশঙ্কা তো কমবেই, সঙ্গে মাথা ঘোরার মতো সমস্যাও দূর হবে।

Pregnancy Morning Sickness

৫) দিনে তিনটে মিলের পরিবর্তে অল্প অল্প করে ছ’বার খেতে হবে। তাতে খাবার যেমন ঠিক মতো হজম হওয়ার সুযোগ পাবে, তেমনই মর্নিং সিকনেসের প্রকোপও কমবে।

৬) ভাজাভুজি জাতীয় খাবার, জাঙ্কফুড খাওয়া চলবে না।

প্রেগন্যান্সির সময় মাঝে মধ্যে বমি হওয়া বা মাথা ঘোরার মতো সমস্যা হওয়াটা স্বাভাবিক ঘটনা। তাতে চিন্তার কোনও কারণ নেই। কিন্তু অনবরত বমি হতে থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না। কারণ, এই সময় অনেক মহিলাই হাইপারএমেসিস গ্র্যাভিডুরাম নামক এক ধরনের রোগে আক্রান্ত হন। যাতে বমি থামতেই চায় না। এক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ মতো ওষুধ খাওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না। তবে এছাড়াও আরও কতগুলি পরিস্থিতিতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেই হবে। যেমন…

১) বারে বারে গাঢ় হলুদ রঙের প্রস্রাব হচ্ছে, সঙ্গে মারাত্মক মাথা ঘুরছে। এমন ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলতে দেরি করবেন না।

২) বারে বারে বমি হচ্ছে, আর বমির সঙ্গে মাঝে মধ্যে রক্তেও পড়ছে। এই ধরনের লক্ষণ দেখা দিলেও কিন্তু চিন্তার বিষয়।

৩) যোনিদেশে মারাত্মক ব্যথা হলেও চিকিৎসকের দারস্ত হতে হবে।

৪) দ্রুত ওজন কমতে থাকলে চটজলদি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে প্রয়োজনীয় সব পরীক্ষা করে দেখে নিতে হবে, মা কিংবা বাচ্চার শরীরিক কোনও সমস্যা হয়েছে কিনা।

আরও পড়ুন: International Men’s Day: Erectile Dysfunction: বিশেষজ্ঞের থেকে জেনে নিন ১৬ থেকে ২৬ বছর বয়সী যুবকের ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের সমস্যায় কী করণীয়…

আরও পড়ুন: World Toilet Day 2021: মহিলারা ইউরিনের বেগ চেপে রাখছেন! বাড়ছে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের ভয়!

আরও পড়ুন: Eye Problems: ডিজিটাল স্ট্রেন আর কাজের চাপ থেকে চোখকে সুরক্ষিত রাখবেন কীভাবে?