Health Tips: জোর দিন মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর! জীবনধারায় আনুন পরিবর্তন…

ডিপ্রেশন, অ্যানজাইটি, মানসিক চাপ এই বিষয়গুলি জ্বর, সর্দির মত একটি রোগ। তাই শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও জোর দিতে হবে।

Health Tips: জোর দিন মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর! জীবনধারায় আনুন পরিবর্তন...
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 21, 2021 | 12:27 AM

আমরা সাধারণত আমাদের শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে চিন্তিত হই। সেই মত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করি। ইন্টারনেটে সার্চ করি সেই সম্বন্ধীয় নিবন্ধ। যেটা আমরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ভাবি না বা এড়িয়ে যাই তা হল আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য। বিষয়টা যতক্ষণ না বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে আমরা ভাবি না আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে। এমনকি আমরা বুঝতেও পারি না যে কীভাবে আমরা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করছি। ডিপ্রেশন, অ্যানজাইটি, মানসিক চাপ এই বিষয়গুলি জ্বর, সর্দির মত একটি রোগ। তাই শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও জোর দিতে হবে।

আমরা কেউই সব কাজে পারদর্শী হই না। এমনকি কোনও মানুষই ‘পারফেক্ট’ হয় না। তাই এই বিষয়ে লজ্জিত হওয়ারও কোনও কারণ নেই। মানুষের জীবনে উত্থান পতন লেগেই থাকে। কিন্তু আপনার যদি মনে হয় এতে আপনার মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব পড়ছে, তাহলে চেষ্টা করুন কোনও বন্ধু বা প্রিয়জনের থেকে সাহায্য নেওয়ার। প্রয়োজনে আপনি কাউন্সেলিংও করাতে পারেন। প্রথমত, আপনি নিজের অনুভূতি গুলিকে ব্যক্ত করুন। কোনও বিষয়ে নিজেকে অকারণে দোষী মনে করবেন না। এতে ক্ষতি হবে আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের। তাই কোনও সমস্যা বা চিন্তা মাথায় এলে চেষ্টা করুন তা কাউকে বলার বা কোনও ডায়েরিতে লিখে রাখার। এতে আপনার মন হালকা হবে এবং আপনি ভাল থাকবেন।

সব সময় যে ওষুধের দ্বারাই রোগকে নির্মূল করা সম্ভব এমনটা নয়। যে কোনও রোগকে গোড়া থেকে নির্মূল করার জন্য প্রথম কাজ হল জীবনধারায় পরিবর্তন আনা। আর মানসিক স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখতে এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ এবং ওষুধ। প্রতিদিন যোগ ব্যায়াম করুন। ব্যায়াম ও যোগা আমাদের মস্তিষ্ককে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। তার সাথে নিজের মধ্যে আত্মসম্মান বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। যোগ ব্যায়াম মানসিক স্বাস্থ্যকে যেমন উন্নত করে তেমনই শারীরিক স্বাস্থ্যকেও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তাই সুস্থ থাকতে প্রতিদিন যোগ ব্যায়াম করুন।

প্রতীকী ছবি

শারীরিক হোক বা মানসিক সুস্থ থাকার জন্য প্রয়োজন সঠিক পুষ্টির, যা আমরা একমাত্র খাদ্যের দ্বারাই গ্রহণ করি। আমাদের মস্তিষ্ককে বিভিন্ন পুষ্টির সংমিশ্রণ দরকার হয়, যা মস্তিষ্ককের কার্যকলাপকে সচল রাখার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাই সবসময় পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করুন, যেখানে প্রোটিন, ভিটামিন থেকে শুরু করে সমস্ত উপাদান থাকবে। পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি প্রয়োজন সঠিক সময় সঠিক পরিমাণে খাদ্য গ্রহণ করা। খাদ্য গ্রহণের বিষয়ে অনিয়ম করলে তা আপনার শরীরের পাশাপাশি ক্ষতি করবে মানসিক স্বাস্থ্যকেও।

আমরা এমন অনেক খাদ্য গ্রহণ করি যেখানে অল্প পরিমাণ অ্যালকোহল রয়েছে। আবার অনেকেই রয়েছেন যাঁরা প্রায়শই অ্যালকোহল পান করেন কিন্তু যাঁরা নিয়মিত অ্যালকোহল সেবন করেন তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্যে গভীর প্রভাব পড়ে। সুতরাং সুস্থ থাকতে অ্যালকোহলকে জীবন থেকে বাদ দিন। বাদ দিন অন্যান্য নেশা বা বদ অভ্যাসকে।

সঠিক পুষ্টিযুক্ত খাবার যেমন দরকার তেমনই দরকার পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম। প্রত্যেক মানুষের শরীরে ঘুম খুব প্রয়োজনীয় বিষয়। সারাদিন কাজের পর মস্তিষ্ককেও আরাম দেওয়ার প্রয়োজন হয়। মস্তিষ্ক যদি আরাম না পায় তাহলে তার প্রভাব পড়ে কাজে। তাই সঠিক সময়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম আপনার শারীরিক দুর্বলতার সাথে মানসিক স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখবে।

বর্তমানে ভার্চুয়ালেই বেশির ভাগই কাজ সম্পন্ন হচ্ছে। মহামারির দরুন জীবনধারায় একাধিক পরিবর্তন এসেছে। তার মধ্যে অন্যতম হল লকডাউন। বাড়িতে বন্দী দশা এক গভীর প্রভাব ফেলে মানসিক স্বাস্থ্যে। উপায় না থাকলেও চেষ্টা করুন মানুষের সাথে মিশতে। মুখোমুখি যোগাযোগ মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর এক দারুণ প্রভাব ফেলে। তাই সম্ভব হলে চেষ্টা করুন বন্ধু-বান্ধব বা আত্মীয়দের সাথে মুখোমুখি দেখা করার। সুতরাং, সম্পূর্ণ রূপে না হলেও জীবনধারায় পরিবর্তন এনে আমরা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখতে পারি এবং ভাল থাকতে পারি।

আরও পড়ুন: জানেন কি কাঁঠালের বীজও বহন করে কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা?