AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Uric Acid: বাড়ছে ইউরিক অ্যাসিড, মাত্রা বজায় রাখতে যা বাদ দিয়ে দিন ডায়েট থেকে…

Food For Uric Acid: ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে প্রথমেই প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়া বন্ধ করতে হবে। মাছ, মাংসের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ পিউরিন...

Uric Acid: বাড়ছে ইউরিক অ্যাসিড, মাত্রা বজায় রাখতে যা বাদ দিয়ে দিন ডায়েট থেকে...
সুস্থ থাকতে যা কিছু মেনে চলবেন
| Edited By: | Updated on: Jan 24, 2023 | 9:15 AM
Share

শীতে বাড়ে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা। আগেকার দিনে পরিবারের বয়স্করা গাঁটের ব্যথায় কাতর হতেন আর এখন খুব কম বয়স থেকেই দেখা দিচ্ছে এই সমস্যা। পায়ের আঙুল, গোড়ালি এবং হাঁটুতে ব্যথা, ফোলভাব এইসবই হল ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির লক্ষণ। শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা 7mg/dl- হলেই বুঝতে হবে তা মাত্রাতিরিক্ত। শরীরে অস্বস্তি, হাঁটতে কষ্ট এমন নানা উপসর্গ থাকে ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে। যে কারণে আগে থেকেই সতর্ক থাকতে হবে। বাড়িতে ইউরিক অ্যাসিডের যদি পূর্ব ইতিহাস থাকে তাহলে নিয়মিত ভাবে রক্তপরীক্ষা করিয়ে রাখা প্রয়োজন। দরকারে পরামর্শ নিন চিকিৎসকের। মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। আর তাই ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখার মূল হল খাদ্যাভ্যাস। এছাড়াও ওষুধ খেয়ে এবং জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এনেও তা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

শরীরের বর্জ্য পদার্থ হল ইউরিক অ্যাসিড। পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার হজমের ফলে সেখান থেকে বর্জ্য হিসেবে তৈরি হয় ইউরিক অ্যাসিড। সোজা কথায় প্রোটিন বিপাকের ফলে শরীরে তৈরি হয়ে যায় ইউরিক অ্যাসিড। ইউরিক অ্যাসিড প্রাকৃতিক ভাবেই শরীরের ভিতরে থাকে। এই ইউরিক অ্যাসিড পরিমাণে বেড়ে গেলে তখনই সমস্যা বেশি হয়। আবার ওবেসিটি থেকেও হতে পারে ইউরিক অ্যাসিড। অতিরিক্ত পরিমাণ মানসিক চাপের মধ্যে থাকলে সেখান থেকেও হতে পারে এই সমস্যা।

কী কী কারণে বাড়তে পারে ইউরিক অ্যাসিড

কিডনির সমস্যা ডায়াবেটিস হাইপারথাইরয়েডিজম চর্মরোগ ক্যানসার

কী খাবেন না?

ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে প্রথমেই প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়া বন্ধ করতে হবে। মাছ, মাংসের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ পিউরিন। যা ইউরিক অ্যাসিডে পরিণত হয়ে গাঁটে জমা হয়, যেখান থেকে গাঁটের ব্যথা হয়। আর তাই ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকলে ইলিশ, ভেটকি, চিতল, বোয়াল এইসব মাছ একেবারেই খাওয়া চলবে না। মাংসওব যতটা সম্ভব কম খেতে হবে। রোজ চিকেন খাবেন না। সপ্তাহে একদিন খান। রেড মিট, গলদা চিংড়ি, ইলিশ, মাশরম, মটরশুঁটি, ডাল, কলা এসব এড়িয়ে যেতে পারলেই ভাল।

রোজের ডায়েট থেকে চর্বিজাতীয় খাবার একেবারেই ছেঁটে ফেলতে হবে। স্যাচুরেটেড ফ্যাট একেবারেই এড়িয়ে চলুন।

ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে যা খাবেন-

অ্যাপেল সিডার ভিনিগার- ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে খুবই কার্যকরী হল অ্যাপেল সিডার ভিনিগার।

লো ফ্যাট দুধ- দুধ বেশি খেলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়ে। তাই লো ফ্যাট দুধ খান। দুধের পরিবর্তে সোয়া মিল্ক খেতে পারলেও ভাল

গ্রিন টি- গ্রিন টি- এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা ইউরিক অ্যাসিড তৈরি করে এরকম এনজাইমগুলিকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। যার ফলে গাঁটের ব্যথাও কমে।