UTI: প্রস্রাবের সময় তীব্র জ্বালা, ইনফেকশন হচ্ছে বারবার? গরমের এই ফলই আপনার সুরক্ষা কবচ…

UTI Problem: গরমের দিনে জল কম খেলেই প্রস্রাব হলুদ হয়ে যায়। সঙ্গে জ্বালা, ব্যথা, ইউরিন ইনফেকশনের সমস্যা তো থাকেই। তাই রোজ গরমের দিনে একগ্লাস করে তরমুজের জুস খেলে এই সমস্যার সমাধান হবে...

UTI: প্রস্রাবের সময় তীব্র জ্বালা, ইনফেকশন হচ্ছে বারবার? গরমের এই ফলই আপনার সুরক্ষা কবচ...
ইউরিন ইনফেকশনের সমস্যায় উপকরার পাবেন এই ফলে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 29, 2022 | 11:21 AM

গরমের দিনে জল পরিমাণে কম খাওয়া হয়। অনেকেই তা বুঝতে পারেন না।  এছাড়াও আবহাওয়ার কারণেই এই সময় শরীর তাড়াতাড়ি জল টেনে নেয়। ফলে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা হয়। আর গরমকালে যে কোনও ব্যাকটেরিয়াই জাঁকিয়ে বসে।  ফলে ইনফেকশনও বাড়ে। গরমকালে খুব সাধারণ সমস্যা হল প্রস্রাব করতে গিয়ে জ্বালাবোধ হওয়া। পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে এই সমস্যায় ভোগেন। প্রস্রাবে জ্বালা সমস্যা ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের অনেক বেশি হয়। এছাড়াও প্রয়োজনেই পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করতে হয়। যেখান থেকে মেয়েদের ইউরিন ইনফেকশনেরও সমস্যা হয়। ইউরিন ইনফেকশন একটানা ফেলে রাখাও ঠিক নয়। সংক্রমণ অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। বিশেষত মেয়েদের ক্ষেত্রে। আর তাই গরমের দিনে মেয়েদের একটু বেশিই সাবধাণে থাকা উচিত। সেই সঙ্গে জল, ডিটক্স ওয়াটার বেশি করে খেতে হবে। বাড়ির বাইরে বেরোলে অবশ্যই সঙ্গে রাখুন টয়লেট স্প্রে। গরমের দিনে যে সব ফল পাওয়া যায় তা কিন্তু আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। সব ফলের মধ্যেই থাকে প্রচুর পরিমাণে জল। ইউরিন ইনফেকশন বা প্রস্রাবে সমস্যায় খুব ভাল কাজ করে তরমুজ। তরমুজের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ জল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।

তরমুজ আমাদের হার্টের জন্যেও খুব ভাল। তরমুজের মধ্যেও রয়েছে প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আছে লাইকোপোপেন যা কিন্তু কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। সেই সঙ্গে শরীরে জলের চাহিদা বজায় রাখে। চর্বি কমাতেও কিন্তু ভূমিকা রয়েছে তরমুজের। প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধক হিসেবেও কাজ করে তরমুজ। প্রস্রাবের বেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও ভূমিকা রয়েছে এই তরমুজের। গরমের সময় প্রস্রাবের কং বদলে যায়। অনেকের ক্ষেত্রে ঘন হলুদ রঙেরও প্রস্রাব হয়। এক্ষেত্রে বার বার যদি তরমুজের জুস খাওয়া যায় তাহলে কিন্তু ভাল। ইউরিনিরি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের হাত থেকেও কিন্তু বাঁচায় তরমুজ। শরীরে অতিরিক্ত টক্সিন জমলে কিডনিও ক্লান্ত হয়ে পড়ে। আর এই অতিরিক্ত টক্সিন বের করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে তরমুজ।

তরমুজ সংক্রমণ রোধ করতেো খুব ভাল কাজ করে। ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ধ্বংস করতে তরমুজের জুড়ি মেলা ভার। শরীর থেকে অতিরিক্ত তাপ দূর করে রক্তচাপ বজায় রাখতে সাহায্য করে। যে কারণে স্মুদি, শেক বা জুস হিসেবে তরমুজ খান। এতে শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে যায়। সেই সঙ্গে মূত্রনালীও থাকে পরিষ্কার।

তবে রোগা হতে চেয়ে বা অতিরিক্ত ডিটক্সিফিকেশন করতে গিয়ে কিন্তু বেশি পরিমাণে তরমুজ খাবেন না। এতে কিন্তু রক্তে বেশি মাত্রায় লাইকোপোপেন জমা হয়। এখান থেকে অ্যালার্জির সমস্যা হয়। সঙ্গে বমি বমি ভাব, অন্ত্রের সমস্যা, ডায়ারিয়া, কার্ডিওভাস্কুলার নানা সমস্যাও কিন্তু আসতে পারে। তরমুজ কেটে ফ্রিজে রেখেও খাবেন না। এতে পেট ফেঁপে যায়, বদহজম হয়।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।