Uric Acid: আচমকাই পায়ের পাতা ফুলছে, টিপলে দেবে যাচ্ছে? ভরসা রাখুন এই তিন ভেষজের উপর

How To Control Uric Acid: ইউরিক অ্যাসিড বাড়তে শুরু করলে জয়েন্ট ফুলে যায়। গেঁটে বাতের সমস্যাও কিন্তু আসে এখান থেকেই। এছাড়াও ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে কিডনি স্টোনের সম্ভাবনাও থেকে যায়

Uric Acid: আচমকাই পায়ের পাতা ফুলছে, টিপলে দেবে যাচ্ছে? ভরসা রাখুন এই তিন ভেষজের উপর
এই তিন পাতাতেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে ইউরিক অ্যাসিড
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 31, 2022 | 12:06 PM

ইউরিক অ্যাসিড হল রক্তে পাওয়া একরকম দূষিত পদার্থ। শরীরে পিউরিন ভেঙে গেলে তখনই তৈরি হয় ইউরিক অ্যাসিড। পিউরিন (Purine) মটর, ডাল, পালং শাক, মাশরুম, শুয়োরের মাংস, মুরগির মাংস, মাছ, মাটন, ফুলকপি, রাজমা এবং বিয়ারে পাওয়া যায়। শরীরে উৎপন্ন ইউরিক অ্যাসিডের বেশিরভাগই রক্তে দ্রবীভূত হয় এবং বাকি কিডনির (Kidney) মাধ্যমে নির্গত হয়। শরীরে যখন পিউরিনের পরিমাণ নির্দিষ্ট পরিমাণের তুলনায় বেড়ে যায় তখন কিডনিও তা ফিল্টার করতে পারে না। এর ফলে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়তে থাকে। আর এই ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়তে থাকলে শরীরে দেখা দেয় একাধিক সমস্যা।

ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়লেই অধিকাংশ জন পা ব্যথার কথা বলেন। পা ফুলে যাওয়া, গাঁটে ব্যতা এসবের জন্য দায়ী কিন্তু ইউরিক অ্যাসিড। যেখান থেকে আর্থ্রাইটিসের সমস্যা হয়। আসতে পারে হাইপারইউরিসেমিয়াও। আবার ইউরিক অ্যাসিড বেশি পরিমাণে বাড়তে থাকলে ইউরিক অ্যাসিড ক্রিস্টাল তৈরি হয়। এই ক্রিস্টাল জয়েন্টে জমা হয়ে আর্থ্রাইটিসের সমস্যা বাড়ায়। আর ইউরিক অ্যাসিড জমলে কিডনি স্টোনের সম্ভাবনাও কিন্তু বাড়ে। ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা প্রথম থেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে হাড়, জয়েন্ট ও টিস্যুর ক্ষতি হয়। আসতে পারে কিডনির সমস্যা আর হৃদরোগও। যে কারণে প্রথম থেকেই সচেতন থাকা উচিত। নিয়ম করে বছরে অন্তত একবার ইউরিক অ্যাসিডের পরীক্ষা করিয়ে নেবেন। তবে বেশ কিছু সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে এই তিন পাতা চিবিয়ে খেতে পারলেও ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকে নিয়ন্ত্রণে।

ধনে পাতা- ধনেপাতা শুধুই যে খাবারের স্বাদ বাড়ায় তা নয় একাধিক রোগের হাত থেকেও কিন্তু রক্ষা করে। আর্য়ুবেদে এই ধনের বিশেষ স্থান রয়েছে। রক্তে ক্রিয়েটিনিন ও ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে ধনে। ধনেপাতার মধ্যে আছে ফাইবার, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম। আছে ভিটামিন কে, ভিটামিন সি। এছাড়াও ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, থায়ামিন, ফসফরাস, নিয়াসিন পাওয়া যায় ধনেপাতা থেকে।

কী ভাবে খাবেন- ধনেপাতা ভাল করে ধুয়ে নিয়ে নুন জলে ভিজিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। এবার দুকাপ জলে ধনেপাতা দিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে নিন ১০ মিনিট। এবার তা ঠান্ডা করে ভাল করে ছেঁকে নিয়ে খান। খালি পেটে খেলে সবচেয়ে ভাল উপকার পাবেন।

তেজপাতা- রান্নাঘরে মশলা হিসেবে ব্যবহার করা হয় তেজপাতা। মাংস, মাছ থেকে শুক্তো-পায়েস- তেজপাতা পড়লে রান্নার স্বাদই যায় বদলে। তবে তেজপাতার কিন্তু প্রচুর ভেষজ গুণও রয়েছে। ইউরিক অ্যাসিড কমাতেও কাজে দেয় তেজপাতা। তেজপাতার মধ্যে থাকে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ এবং ফলিক অ্যাসিড। যা শরীরের জন্য ভাল।

কী ভাবে খাবেন- দুটো তেজপাতা জলে ফেলে ফুটিয়ে নিন ভাল করে। এবার তা ভাল করে ছেঁকে নিয়ে দু গ্লাস খান। একবার সকালে একবার বিকেলে।

পান পাতা- পুজো-পার্বণ থেকে শুরু করে যে কোনও শুভ অনুষ্ঠানে কাজে লাগে পানপাতা। হিন্দু শাস্ত্রে এর গুরুত্ব অপরিসীম। বেস কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে এই পান পাতা কিন্তু ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতেও কাজে আসে। তবে পান পাতার মধ্যে শুধুই এলাচ, লবঙ্গ দিয়ে চিবিয়ে খান। কোনও রকম তামাক ব্যবহার করবেন না। তবেই কিন্তু উপকারে লাগবে।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।