Passive Smoking: ধূমপানের থেকেও মারাত্মক ক্ষতি করে প্যাসিভ স্মোকিং! জানুন কী হয়
সরাসরি ধূমপান না করলেও প্যাসিভ স্মোকিং হতেই থাকে। আর সেটাই কিন্তু বড় বিপদের কারণ আপনার জন্য। শুনলে অবাক হবেন, সরাসরি ধূমপানের চেয়ে কিন্তু অনেক বেশি ক্ষতিকারক প্যাসিভ স্মোকিং। জানেন, প্যাসিভ স্মোকিং করলে কী কী ক্ষতি হয়?

ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক তা সকলেই জানেন। এটি যে ধীরে ধীরে আপনার ফুসফুসকে নষ্ট করে দেয় তাও প্রায়শই দেখা যায় বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে এবং নানা স্থানে। অবশ্য আজকাল অনেকেই স্বাস্থ্য সচেতন। তাই ধূমপানের দিকে যান না। এদিকে হয়তো আপনি এমন কোনও পরিবেশে থাকছেন, যেখানে কেউ না কেউ ধূমপান করেন। অর্থাৎ সরাসরি ধূমপান না করলেও প্যাসিভ স্মোকিং হতেই থাকে। আর সেটাই কিন্তু বড় বিপদের কারণ আপনার জন্য। শুনলে অবাক হবেন, সরাসরি ধূমপানের চেয়ে কিন্তু অনেক বেশি ক্ষতিকারক প্যাসিভ স্মোকিং। জানেন, প্যাসিভ স্মোকিং করলে কী কী ক্ষতি হয়?
১. ফুসফুসের কার্যক্ষমতা হ্রাস পায় – যেসব শিশু পরোক্ষ ধূমপানের সংস্পর্শে আসে, তাদের ফুসফুসের ক্ষমতা ধূমপানমুক্ত পরিবেশে বেড়ে ওঠা শিশুদের তুলনায় দুর্বল হয়। তাদের শ্বাসনালী আকারে ছোট এবং এখনও বিকাশমান। ফলে ক্ষতিকারক রাসায়নিকের প্রভাব তারা সহজে গ্রহণ করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি ফুসফুসের বৃদ্ধি ব্যাহত করে এবং শ্বাস নেওয়ার সক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
২. হাঁপানির ঝুঁকি বাড়ে – প্যাসিভ স্মোকিং শিশুদের হাঁপানির একটি পরিচিত কারণ। সামান্য সময়ের এক্সপোজারও শ্বাসনালীতে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলে শোঁ শোঁ শব্দ, কাশি ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। আগে থেকেই হাঁপানি-আক্রান্ত শিশুদের ক্ষেত্রে আক্রমণ আরও ঘন ঘন ও গুরুতর হতে পারে।
৩. সংক্রমণের ঝুঁকি – প্যাসিভ স্মোকিংয়ে ধোঁয়ার বিষাক্ত কণাগুলো শ্বাসতন্ত্রকে দুর্বল করে তোলে। এর ফলে শিশুদের ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া ও কানের সংক্রমণ হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। বারবার সংক্রমণ শুধু তাত্ক্ষণিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে না, বরং দীর্ঘমেয়াদে ফুসফুসের স্বাস্থ্যের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
৪. অ্যালার্জি ও দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি – তামাকের ধোঁয়ার সংস্পর্শে আসা অ্যালার্জেনের প্রতি সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে তোলে, যা দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসযন্ত্রের সমস্যার কারণ হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, প্যাসিভ স্মোকিং প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (COPD)-এর ঝুঁকি বাড়ায়।
