Bruce Lee: কোন জিনিস খুব বেশি খেয়ে মৃত্যু ব্রুস লির, প্রায় ৫০ বছর পর জানা গেল সত্যি

Sodium Deficiency: প্রায় ৫০ বছর পর আবার শিরোনামে উঠে এসছেন কিংবদন্তি ব্রুস লি। সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠে এসেছে তাঁর মৃত্যুর কারণ। জানা গিয়েছে, অতিরিক্ত জল পানের কারণে মৃত্যু হয়েছিল ব্রুস লি।

Bruce Lee: কোন জিনিস খুব বেশি খেয়ে মৃত্যু ব্রুস লির, প্রায় ৫০ বছর পর জানা গেল সত্যি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 23, 2022 | 11:21 AM

১৯৭৩ সালে মারা গিয়েছিলেন কিংবদন্তি মার্শাল আর্টস শিল্পী এবং ‘এন্টার দ্য ড্রাগন’ ছবির মুখ্য অভিনেতা ব্রুস লি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ৩২ বছর। প্রায় ৫০ বছর পর আবার শিরোনামে উঠে এসছেন কিংবদন্তি ব্রুস লি। তাঁর কাজের জন্য নয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠে এসেছে তাঁর মৃত্যুর কারণ। জানা গিয়েছে, অতিরিক্ত জল পানের কারণে মৃত্যু হয়েছিল ব্রুস লি। কিন্তু হঠাৎ করে কেন এমন দাবি জানাচ্ছে গবেষকরা? তাছাড়া যিনি প্রথম থেকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী ছিলেন, তাঁর কীভাবে অতিরিক্ত জল পানের কারণে মৃত্যু হতে পারে?

১৯৭৩ সালে হঠাৎ করে মারা যান ব্রুস লি। সেই সময় ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গিয়েছিল, ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়ার জন্য মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়। এটাই ৩২ বছরের ব্রুস লির মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু ‘এন্টার দ্য ড্রাগন’-এর অভিনেতা স্বাস্থ্য সচেতন ছিলেন। খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রেও তিনি কোনও অনিয়ম করতেন না। সুতরাং ব্যথানাশক ওষুধ কিংবা অন্য কোন কারণে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়, সেটা স্পষ্ট জানা যায়নি। কিন্তু সম্প্রতি যে তথ্য উঠে এসেছে তাতে জানা গিয়েছে অভিনেতার মৃত্যুর পিছনে ‘হাইপোনেট্রিমিয়া’ দায়ী। ক্লিনিক্যাল কিডনি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই তথ্য।

হাইপোনেট্রিমিয়া কিডনির কার্যকারিতার সঙ্গে সম্পর্কিত। হাইপোনেট্রিমিয়া হল একটি শারীরিক অবস্থা যেখানে রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা অস্বাভাবিক ভাবে কমে যায়। শরীরে হঠাৎ করে সোডিয়ামের মাত্রা কমে গেলে মানুষের মৃত্যু অবধি ঘটতে পারে। এটাই ঘটেছিল ব্রুস লির জন্য। তার চেয়েও আশ্চর্যজনক বিষয় হল, ব্রুস লি অতিরিক্ত মাত্রায় জল পানের জন্য হাইপোনেট্রিমিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল।

শরীরে সোডিয়ামে মাত্রা বেশি হয়ে যাওয়াও যেমন ক্ষতিকারক, তেমনই হঠাৎ করে সোডিয়ামে মাত্রা কমে যাওয়া মৃত্যু ডেকে আনতে পারে। সোডিয়ামের মাত্রা অনেক সময় ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে কমে যায়। কিন্তু ব্রুস লির ক্ষেত্রে তা হয়নি। ব্রুস লির অতিরিক্ত পরিমাণে জল খাওয়ার জন্য এই সমস্যা দেখা দিয়েছিল। ব্রুস লির সুস্বাস্থ্যের মন্ত্র ছিল, ‘বি ওয়াটার, মাই ফ্রেন্ড’। আসলে চিনাদের বিশ্বাস জল খেয়ে সব রোগকে দূরে রাখা যায়। কিন্তু ব্রুস লির ক্ষেত্রে এই তত্ত্ব খাটেনি।

অতিরিক্ত জল পানের কারণে কিডনির উপর চাপ সৃষ্টি হয়। কিডনিকে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি কাজ করতে হয়। ফলে কিডনি অতিরিক্ত তরল ছেঁকে দূষিত পদার্থ শরীর থেকে বের করতে পারে না। এর ফলে শরীরের বিভিন্ন অংশে ওই জল জমতে থাকে। গবেষকদের ধারণা ব্রুস লির মস্তিষ্কেও জল জমতে শুরু করে। এর ফলে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এটাই মৃত্যু ডেকে আনে ব্রুস লির জীবনে।