High Blood Sugar: ডায়াবেটিক নয় এমন মানুষের মধ্যেও বাড়তে পারে রক্তে শর্করা, কেন জানেন….

Type 2 Diabetes: ডায়াবিটিসের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। কিন্তু এমনও অনেক মানুষ আছেন যাঁরা ডায়াবিটিসে আক্রান্ত কিন্তু নিজেরাই জানেন না। শুধুমাত্র সঠিক সময়ে রক্ত পরীক্ষা করান না বলে

High Blood Sugar: ডায়াবেটিক নয় এমন মানুষের মধ্যেও বাড়তে পারে রক্তে শর্করা, কেন জানেন....
সুগার না থেকেও হতে পারে হাই সুগারের সমস্যা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 17, 2022 | 5:52 PM

টাইপ ১ বা টাইপ ২ ডায়াবিটিসে ( Type 2 Diabetes) যাঁরা আক্রান্ত হন তাঁরা সকলেই জানেন, তাঁদের রক্তে সুগারের (Blood Sugar Level) মাত্রা ওঠানামা করে। আর তাই একে নিয়ন্ত্রণে রাখা কিন্তু খুবই জরুরি। যাঁরা নিয়মিত ভাবে সুগারের ওষুধ খান এবং হাই ডায়াবিটিস রয়েছে (High Diabetes), তাঁদেরও কিন্তু কোনও কোনও সময় সুগার ফল করে যেতে পারে। আর তাই যে কারণে সুগার রোগীদের ব্যাগে সব সময় চকোলেট বা মিষ্টি বিস্কুট রাখার কথা বলা হয়। তবে ধারাবাহিক ভাবে যাঁদের হাই সুগারের সমস্যা রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রেই কিন্তু এই হঠাৎ সুগার ফল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এমনকী যাঁরা সুগারে আক্রান্ত নন, তাঁদের ক্ষেত্রেও কিন্তু দেখা যায় এই একই সমস্যা।

রক্তে হঠাৎ করে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেলে এই অবস্থাকে বলা হয় হাইপারগ্লাইসেমিয়া। যাঁদের ডায়াবিটিস রয়েছে তাঁদের তো এই সমস্যা হতেই পারে এমনকী যাঁডের ডায়াবিটিস নেই তাঁদের ক্ষেত্রেও কিন্তু দেখা দিতে পারে এই একই সমস্যা। দীর্ঘদিন ধরে যদি মানসিক চাপ চলতে থাকে বা অন্য কোনও শারীরিক সমস্যায় ভোগেন তাঁদের ক্ষেত্রেও কিন্তু এই একই সমস্যা হতে পারে। ক্রমাগত যদি এই ভাবে রক্ত শর্করার ওঠানামা থাকে তাহলে কিন্তু শরীরের আভ্যন্তরীন অনেক ক্ষতি হয়। অজান্তেই আসে হার্ট, কিডনি, চোখের নানা সমস্যা। খাবার খাওয়ার দু ঘন্টা পরে যদি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা 100-125 mg/dL বা 180 mg/dL-এর বেশি হয় তাহলে সেই অবস্ছাকে হাইপারগ্লাইসেমিয়া বলা হয়। কিন্তু কেন এই সমস্যা হয়?

যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোমে ভুগছেন তাঁদের ক্ষেত্রে কিন্তু এই সমস্যা অনেকটাই বেশি। কারণ এই সমস্যায় ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন হরমোনের মধ্যে ভারসাম্য থাকে না। সেই সঙ্গে শরীরে ইনসুলিনের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এবং অতিরিক্ত পরিমাণ গ্লুকোজ তখন রক্তে জমা হয়। এই জমা থাকা গ্লুকোজ থেকেই কিন্তু হঠাৎ হঠাৎ রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যায়। যে কারণে PCOS-এর সমস্যা থাকলে বছরে দু বার রক্ত পরীক্ষা করানো উচিত।

অতিরিক্ত স্ট্রেসের মধ্যে দিয়ে যাঁরা যাচ্ছেন তাঁদের মধ্যে কর্টিসোল হরমোন এবং অ্যাড্রিনালিন হরমোনের ক্ষরণ বেশি বেড়ে গেলেও কিন্তু এই একই সমস্যা হতে পারে। কারণ মানসিক চাপ এই সব হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দিয়ে ইনসুলিনের কাজে বাধা দেয়।

শরারে যদি দীর্ঘদিন ধরে কোনও সংক্রমণ থেকে থাকে, তাহলেও কিন্তু এই একই সমস্যা হতে পারে। সংক্রমণের কারণেও শরীরে হঠাৎ করে রক্ত শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। এবং তা স্বাভাবিক হতে বেশ খানিকটা সময় লেগে যায়।

নিয়মিত ভাবে ডোপামিন এবং নোরপাইনফ্রিনের মতো ওষুধ খেলে, অতিরিক্ত ওজন জনিত সমস্যা থাকলে সেখান থেকেও কিন্তু হঠাৎ সুগার বাড়তে পারে। শরীরে অতিরিক্ত ক্লান্তি, ঘুম ঘুম ভাব, মাথা ধরে থাকা এসবই হল এর লক্ষণ।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

আরও পড়ুন: Health Tips: ডায়েট থেকে খাদ্যশস্য বাদ দিলে পড়তে পারেন এই সব সমস্যার কবলে!